বছর ঘুরে প্রতিবছরই একবার করে দুয়ারে হাজির হয় রমজান মাস। যান্ত্রিক জীবনে রোজা আর আগের মত ফিলিংস নিয়ে আসে না। অফিস আর বাসার ফাঁকে বাজারের উত্তাপ জানান দেয় রমজান মাস এসে হাজির। আজকাল এক মহা ঝামেলায় পড়েছি আশপাশের কয়েকজন শুদ্ধচারী উচ্চারণবিদের উপস্থিতির কারণে। তারা রমজান না বলে রামাদান বলা শুরু করেছেন। বাঙালী জিহবার একবার কিছু ভালো লেগে গেলে সে স্বাদ কিছুতেই ভূলতে পারে না। আমিও রমজান বলা ছাড়তে পারছি না। হিজরী ক্যালেন্ডারের রমজান নবমতম মাস। ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত কয়েকটি ভাষায় রমজানকে উচ্চারণ কয় হয় এভাবেঃ আরবি: رمضان রমাদ্বান, ফার্সি: رَمَضان রমাজ্বান; উর্দু: رَمْضان রমজান; তুর্কী: রামাজান। বাংলার সাথে উর্দুর সংঘাত থাকলে একদা দুই ভাষা পাশাপাশি সহাবস্থান করেছে এবং আমার ধারণা আমরা রমজান শব্দটি উর্দু থেকেই শিখেছি। মাঝে মাঝে অফিসে কাজের ফাঁকে চেয়ারে হেলান দিয়ে সেই সব দিনে ফিরে যাই। ছেলেবেলার দিনগুলোর কথা আজকাল খুব মনে পড়ে। আহ কি মজার দিন ছিলো। রমজান মাস আসতো উৎসবের আমেজ নিয়ে। নগরচারী এই জীবনে সেই ছেলেবেলার গ্রামীন রমজান মাসের কিছু গল্প আজ আমি সবার সাথে শেয়ার করতে চাই। যখন রমজান আসত পারষ্পরিক সৌহার্দ্য, সম্প্রীতি, সমমর্মিতা এবং ভ্রাতৃত্ব বোধ নিয়ে। সময় বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে চারপাশ। কিন্তু রমজানের শিক্ষা আজো অটুট রয়েছে।
চাঁদ দেখাঃ রমজান আসার কয়েকদিন আগেই আলোচনা শুরু হয়ে যেত, মসজিদে, ঘরের বারান্দায় কবে নাগাদ চাঁদের দেখা মিলবে। যারা ভালো পঞ্জিকার হিসেব বোঝেন তারা হিসাব কষে বলতে শুরু করেন কখন দ্যুতে লাগবে, ত্যুতে লাগবে(দ্বিতীয়া, তৃতীয়া)। যারা একটু ঘাড় ত্যাঁড়া, অন্যের মতে বাঁ হাত দেয়া অভ্যেষ তারাও একটা যুক্তি দাঁড় করানোর চেষ্টা করতেন। আমরা ছোটরা পাশে বসে হা করে চেয়ে থাকতাম। চাঁদ উঠলেই হলো। চাঁদ ওঠার এত হিসেব দিয়ে আমাদের কি কাজ! সন্ধ্যা আকাশে চাঁদ উঠতো। আমরা আনন্দে হই হই করে নেঁচে উঠতাম।
প্রথম দিকের রোজাঃ আমাদের পরিবার মোটামুটি ধর্মভীরু বলা চলে। খুব কড়াকড়ি না থাকলেও ধর্মীয় বিধিবিধান মেনে চলা হয়। বিশেষ করে রোজার মাসটাকে উৎসব মুখর বলেই মনে হত। আকাশে বাতাসে ঘরের আঙিনায় রোজার আমেজ ছড়ানো থাকতো। আমি অল্প বয়সেই রোজা রাখা শিখেছি। রোজা রাখা খুব গর্বের কাজ বলে মনে করতাম। সমবয়সী মহলে গণনা চলতো কে কয়টা রোজা রাখতো। কিছু কিছু মুরুব্বী ছিলো আরেক কাঠি সরেস। তারা আমাদের বয়সী কাউকে দেখলেই ডেকে জিজ্ঞেস করতো আজ কয়টা রোজা হলো।
গার্ডিয়ানরা অনেকসময় চাইতো না যে আমরা রোজা রাখি। কত কি বুঝ দিত। পাশের বাসার খালাম্মা শিখিয়ে দিত যে রোজা রেখে গলা শুকিয়ে গেলে পুকুরে নেমে ডুব মেরে পানি খেলে কিচ্ছু হবে না। কেউ তো আর দেখতে পাচ্ছে না। আবার খুব বেশী খিদে লাগলে ঘরে দরজা লাগিয়ে চুপিচুপি ভাত খেয়ে নিলেই হলো। কে দেখতে যাচ্ছে।
কে শুনতো কার কথা। আমি তখন সহি শুদ্ধভাবে রোজা রাখায় ব্যস্ত। মুখে থুতু জমুক আর নাই জমুক থু থু করে থুতু ফেলে রোজার বিশুদ্ধতা বজায় রাখতে সদা সচেষ্টা থাকতাম। ওদিকে গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যেত। আছরের পর সময় যেন থমকে দাঁড়ায়। কিছুতেই আর এই সময়টুকু পেরোতে চায় না। মুখ শুকিয়ে আমসি হয়ে যায়। পায়ে গায়ে বল পাইনা। হাঁটুতে মুখ গুঁজে বসে থাকি। আম্মা বকা দেন। এত কষ্ট করে রোজা রাখার কি দরকার!
রোজা রাখার কি দরকার মানে! একটা রোজা না রাখলে যে পরে ষাইটটা রোজা রাখতে হবে। ওদিকে নামাজ না পড়লে যে দুই কোটি অষ্ট আশি লক্ষ বছর দোযখে পুড়তে হবে সেই হিসেব কিন্তু আর মনে থাকেনা। সেক্ষেত্রে আমি অংকে বড়ই কাঁচা। আম্মা বারবার জিজ্ঞেস করেন নামাজ পড়তে এত কিসের কষ্ট হয়!
নানী আমার মত বেনামাজী রোজাদারদেরকে বলে বাঁদুরে রোজাদার। বাঁদুর পাখি যেমন এক সন্ধ্যায় সেহেরী খায় আর অন্য সন্ধ্যায় ইফতারী করে। মাঝখানে নামাজ লাগেনা। শুধু গাছের ডালে উলটো হয়ে ঘুমায়। আমরাও নাকি বাঁদুরের মত। সন্ধ্যায় মসজিদ থেকে ভেসে আসা মুয়াজ্জিনের আজান বড়ই সুমধুর হয়ে কানে এসে আঘাত করে। হাপুস হুপুস ওযু সেরে এসে ইফতারীর সামনে বসে যাই। আব্বু মিলিয়ে দেখেন ঠিকমত ওযু করেছি কিনা। কপালের সব অংশ ভিজেছে কিনা। আযান হওয়ার সাথে সাথে ইফতারীর উপর হামলে পড়ি।
আম্মা বলেন পরদিন রোজা থাকার দরকার নেই। আমি গাল ফুলাই। সেহেরিতে ডাকেন না। সকালে উঠে পারলে তো কেঁদে ফেলি অবস্থা। আমার একটা বাজে রোগ আছে। অল্প কিছুতেই চোখ ছলছল করে। আম্মা আমাদের দুই ভাইয়ের জন্য ভাত ঢেকে রেখেছেন। সকালে রাগ করে ভাত খাইনা। অবশ্য দুপুর না আসতেই রাগ শীতল হয়ে যায়। আস্তে আস্তে গিয়ে প্লেট নিয়ে খেতে বসি। আম্মা টের পেলেও কিছু বলেন না। তখন কিন্তু মনে হত আম্মাকে ফাঁকি দিয়ে ভাত খেয়ে নিলাম। টেরই পেলো না। আমি কত্ত সাবধানী!
এখন সেহরীতে আমাকে কেউ ডাকে না। ডাকার দরকার হয় না। কি এক উদ্ভট জিনিস শিখেছি গত রমজান থেকে। একবারে সেহেরী খেয়ে ঘুমাই। আর উঠি সেই দুপুরে। তারপর গোছল সেরে নামাজ পড়ে ফেসবুক নিয়ে বসি। আজ একটা ম্যুভি দেখলাম। হোটেল রুয়ান্ডা। তুতসী জনগোষ্ঠীর উপর হুতু জনগোষ্ঠীর অত্যাচারের এক করুন চিত্র। মানুষ এত নিষ্ঠুর হয় কিসের আসায়।
রোজা আমাদের ত্যাগের মহিমা শেখায়। সত্যিকারে আমরা যদি রোজা পালন করতে পারি তাহলে আমরা আমাদের মাঝের ক্ষুদ্র স্বার্থের বিভেদগুলি ভুলতে পারবো। নিজেদের স্বার্থপরতাকে কুরবানী দিয়ে মানুষকে ভালোবাসতে পারবো।
গ্রামের মসজিদে ইফতারীঃ মাগরিবের আর বেশী বাকি নেই। গ্রামের ছেলে যুবক বুড়ো সবাই পানির ছোট জগ হাতে মসজিদের দিকে চলেছে। সময়টা তখন ৯৫/৯৬ সাল হবে। আমাদের গ্রামের মসজিদের ইটের দেয়ালের গায়ে সিমেন্টে খোদাই করে লেখা ছিলো ভাগবাহ পূর্বপাড়া জামে মসজিদ। মসজিদেরও যে নাম থাকে তা আমি এই মসজিদ দেখেই প্রথম জানি। ইটের দেয়ালের উপর গোলপাতার ছাউনি ছিলো। পরে টিনশেড দেয়া হয়। বছর দুয়েক আগে একবার গ্রামে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিলো। তখন দেখেছিলাম মেঝেতে টাইলস বসানো হয়েছে। এখন শুনেছি মসজিদে ছাদ দেয়া হয়ছে। অনেকদিন যাওয়া হয় না।
বাবার চাকরি সুত্রে আমি বড় হয়েছ পাশের থানায়। রোজায় পুরো মাস স্কুল ছুটি হয়ে যেত। আমিও পাখির মত নাচতে নাচতে গ্রামের বাড়ি গিয়ে হাজির হতাম। মজার ব্যাপার হলো আমার নানা বাড়ি দাদা বাড়ি একই গ্রামে। এই পাড়া থেকে ওই পাড়ায় যেতে পাঁচমিনিটও লাগেনা। একই পাড়া বলা চলে। রাস্তার এপাশে ওপাশে দুই বংশ। ছোট বেলায় আমি খোঁজ রাখতাম কোন বাড়িতে কি রান্না হচ্ছে। যেখানে ভালো রান্না হচ্ছে সেখানেই খেতে বসে যেতাম।
কৈশোরে আমি দেখেছি মসজিদের বারান্দায় মাটির সানকি গাদা করে রাখা হত। যিনি ইফতারী করাবেন তার বাড়ি থেকে গুড়ের পায়েস এসে হাজির হত মসজিদের বারান্দায়। মাটির সানকিতে পায়েস বেড়ে রাখা হতো। মসজিদের লাগোয়া গাছে বাঁধা ছিলো গ্রামের একমাত্র মাইক। মাইকে ইমাম সাহেব কিছুক্ষণ দোয়া দরুদ পড়ে মোনাজাত ধরেন। মসজিদের বারান্দায় সবাই হুজুরের সাথে হাত তোলে। বাড়িতে মা চাচী খালা দাদীরা সবাই হাত তুলে মোনাজাতে শরীক হয়। হুজুর দোয়া করেন ফসলের জন্য, হুজুর দোয়া করেন মাছের জন্য, হুজুর দোয়া করেন সুন্দরবনে যারা জীবিকার সন্ধানে গেছে তাদের জন্য, হুজুর দোয়া করেন সেই সব মানুষের জন্য যাদের পদচারণায় মুখর ছিলো এই গ্রামের ধূলিমাখা পথ যারা আজ শুয়ে আছে মাটির কবরে। মোনাজাত শেষে হুজুর আজান দেন। সবাই ইফতারী খুলতে ব্যস্ত। ইফতারী খেয়ে যার যার মাটির সানকি পুকুরে ধুয়ে বারান্দায় নির্ধারিত জায়গায় রেখে জামাতে শরীক হয় সবাই।
সময় একটু একটু করে বেশ গড়িয়েছে। মসজিদের পুকুরে সান বাঁধানো ঘাট হয়েছে। মাটির সানকির জায়গায় এসেছিলো প্লাস্টিকের প্লেট। সেই জায়গা দখল করেছে মেলামাইনের প্লেট। গুড়ের পায়েসের জায়গা নিয়েছে সেমাই, ছোলা মুড়ি, চপ পেঁয়াজু। মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তবে এখনো মাগরিবের আধা ঘন্টা আগে ছেলে জোয়ান বুড়ো সবাই বোতলে পানি নিয়ে মসজিদে ইফতারী করতে আসে। একত্রে বসে সবাই মিলে ইফতারী করে। আশে পাশে আরো কয়েকটি মসজিদ হয়েছে। মসজিদের ছাদে রাখা জোড়া মাইকে ইমাম সাহেবের আযানের সুর প্রতিধ্বনিত হয় গ্রামের আকাশে বাতাসে।
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে রোজাঃ বিশ্ববিদ্যালয় রোজার মাসে ছুটি হয়ে যেত। ছাত্রজীবনে রমজান শুরু হলেই আমি বাড়ি চলে যেতাম। কেউ আমাকে আর আটকে রাখতে পারতো না। ত্রিশটি দিন একই রুটিনে কেটে যেত। তবু কত মধুর ছিলো সেই ফেলে আসা দিন। সেহেরি খেয়ে ঘুমিয়ে যেতাম। উঠতাম সকাল আটটায়। তার পরে ঘুমানো আম্মার সংবিধান অনুসারে অবৈধ। আমরা না উঠতে চাইলে তিনি হাঁড়ি কুড়ি এত খটরমটর করবেন যে ঘুমানোর উপায় থাকে না।
আম্মা বলতেন কুরআন শরীফ নিয়ে বস। কলিকালের পোলা আমি। আমি বসতাম ডেক্সটপে। ম্যুভি দেখে অথবা গেম খেলে দুপুর গড়িয়ে দিতাম। আম্মা গোছলের জন্য তাগাদা দিতেন। দুপুরে নামাজ পড়ে কোরআন শরীফ তেলওয়াত করতাম। আসরের নামাজ পড়ে মোবাইলটা হাতে করে নদীর ঘাটে গিয়ে বসে থাকতাম। প্রথম দিকে মিগ৩৩ এর চ্যাটে পরের বছরগুলোতে ফেসবুকে মেতে থাকতাম। ২০০৭ সালে মিগে আমার এক ইন্দোনেশিয়ান বান্ধবী হয় মিগে। আজো থিয়া পুস্পিতাসারির সাথে বন্ধুত্ব টিকে আছে ফেসবুকে। তার কাছ থেকে শেখা গুটিকয়েক ইন্দোনেশীয় বাক্য আজো আমার ঠোঁটস্থ হয়ে আছে। নদীর নাম চুনকুড়ি নদী। এর এক মাথা মিলেছে পশুর নদীর সাথে। পশুর নদীর পাড়ে মংলা সমুদ্র বন্দর অবস্থিত। অন্য মাথায় শিবসা নদী। শিবসা সুন্দরবনের গাঁ ঘেঁসে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে। নদী দিয়ে অনবরত নৌকা ট্রলার ছুটে চলেছে গন্তব্যে। দক্ষিণ দিক থেকে শরীর জুড়ানো বাতাস ভেসে আসে। দখিনা হাওয়ায় মন উতলা হয়।
মাগরিবের আধা ঘন্টা আগে আমি বাসায় ছুটতাম। আম্মা তখনও রান্নাঘরে ইফতারীর আইটেম বানাচ্ছেন। আম্মা একেকদিন একেকটা আইটেম বানান। কোনদিন বেগুনী, কোনদিন পেঁয়াজু, ছোলাটা কমন থাকে। চুলা ফিচফিচ শব্দে মুখর। আব্বা বারান্দায় এক গাঁদা কাগজপত্র নিয়ে বসে আছেন। লেবুর সরবত বানানো। চিনির পরিমান নিয়ে বেশীরভাগ সময়ে গড়বড় লেগে যেত। চিনি কম হলে আব্বু অনুযোগ করতেন আর বেশী হলে আম্মু। তাই ক্যালকুলেশান করে চামচ মেপে চিনি দেয়ার চেষ্টা করতাম। আখ, পেয়ারা, আনারস ইত্যাদি কেটে পিস করা এগুলা ছিলো আমার দ্বায়িত্ব। এমনকি আজান পড়ার মিনিট দুই আগে ছোলা মুড়ি মাখাতে হবে। না হলে মুড়ি ঠান্ডা হয়ে যাবে।
ছোট ভাইটা মসজিদে চলে যেত ইফতারী করতে। আমাদের এলাকায় এখনো রোজার মাসে রোজাদারদের মসজিদে ইফতারী করানো হয়। আমার ছোটবেলা থেকে মসজিদে যেতে কেন জানি সংকোচ হত। আমি বাসাতেই ইফতারী করতাম। মাদ্রাসার মসজিদ থেকে আজান ভেসে আসতো। ইফতারীর দোয়া জিভের আগায় এসে বসে আছে, আল্লাহুম্মা ছুমতু লাকা...। আব্বু, আম্মু আর আমি তিনজন মিলে ইফতারী করতাম। দিন শেষে এক গ্লাস লেবুর সরবত প্রশান্তি বয়ে আনতো। দিনগুলো বড় মধুর ছিলো।
চাকরী পাওয়ার পরে আমি আর রোজার মাসে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ করে উঠতে পারিনি। এই নিয়ে তৃতীয় রমজান চলছে। অফিসের কলিগদের সাথে বসে ইফতারী করি। ইফতারীর আইটেমও থাকছে অনেক। বাড়িতে থাকতো হাতে গোনা কয়েকটা। তবুও যখন ইফতারী সামনে নিয়ে বসি। বাড়ির কথা খুব মনে পড়ে। ছোট ভাইটা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইফতারীর সন্ধ্যাগুলো আব্বু আম্মু দুজন নিরব ঘরে বসে কাটিয়ে দিচ্ছেন।
আল্লাহ তকদিরে চাকরি করা যখন লিখেছ তখন এটুকু অন্তত লেখো যেন বাবা মায়ের কাছাকাছি থেকে ভালো কোন চাকরি করতে পারি। এবং পবিত্র রমজানের উছিলায় যেন সকল দুঃখী অসহায় ব্যক্তির কষ্ট দূর হয়ে যায়।