রাজনীতিক মনোভাবে আছেন?
একাত্তরের দামাল সেনানীর জন্য মন নরম হয়ে আছে?আপাতত বন্ধ রেখে লিখাটি পড়বেন কি?
রাজনীতির মার প্যাচে না প্যাচিয়ে আপনার বিবেকের প্যাচেই প্যাচান।
.
.
.
সকালে ঘুম থেকে উঠে বন্ধুরে ফোন দিলাম।
দোস্ত,তুই কই?
এইতো বাসায়।
বের হ।
অকে।
কিয়ত্্ক্ষন পর দোস্ত আসল।
তারে বললাম..
কোথায় বসবি?
স্কুলের মাঠের দিকে চল।
অকে পরিবেশটা ভালো,একটু শান্ত,নিরিবিলি।
মাঠে গিয়ে মাইকের আওয়াজ শুনে বুজতে পারলাম স্কুলে বিজয় দিবসের অনুষ্ঠান হচ্ছে।
দুজন মিলে মজা করতে করতে মনোযোগ দিয়ে শুনতে লাগলাম।
একটা সময় মাইকে প্রাত্যহিক সমাবেশের ঘোষনা এলো।
প্রাত্যহিক সমাবেশ প্রায় শেষ।
আর এই শেষটায় এসে যেন খটকা লাগলো।
অবাক হচ্ছেন?
একটু মনোযোগ দিবেন প্লিজ।
ভুল হচ্ছে কি বেশী বুঝা হচ্ছে বুঝতে পারছি না।
সেই ক্লাস সিক্স থেকে ক্লাস টেন পর্যন্ত প্রাত্যহিক সমাবেশের শেষে বলতাম_
"বাংলাদেশ বাংলাদেশ,জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ"
কিন্তু আজকে আমাদের অনুজরা চেচিয়ে বলছে_
"বাংলাদেশ বাংলাদেশ,চিরজীবি হোক চিরজীবি হোক"
এই পরিবর্তনটা কেনো?
একদল বলে জয় বাংলা তাই বলে আরেকদল ভুলেও জয় বাংলা মুখে না এনে বলেন বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
বুঝিনা ভাই অতকিছু।
সত্যিই মহাকাব্যিক।
একদল শহীদ জিয়ার সেক্টর কমান্ডার,সাবেক প্রেসিডেন্ট তকমাটা কালো কালি দিয়ে লেপ্টে দিতে সদা প্রস্তুত।
আরেকদল সুযোগ পেলেই হয়তো বলতেন_
বঙ্গবন্ধু?সেটা আবার কে?
হা হা হা।
মজা পেলাম।
আরে ভাই মজা না পেলে কেউ কি রাজনীতিতে ছুটে?
একদল নাড়ার বীজগুলোকে ভাত বলে,আরেকদল সেইগুলোকে অন্ন বলার পায়তারা করে।
কিন্তু আমরা আম পাবলিক কোনটা বলব তা খুজতেই সন্দিহান।
ভাত বললেও পাপ,অন্ন বললেও মহাপাপ।
আমরা কি বেরুতে পারবো এই শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিড়ে?
চুপ,একদম চুপ।
তোরাও তো এই রাজনীতির অংশ।
বেরুনোর কথা বলবে একদম বুক ধাতব বুলেটে ঝাঝরা করে দিবো।
ভুল হয়ে গেছে।এই যে নাকে খর দিচ্ছি বেরুনোর নাম মুখেই আনবো না।সামনের মাটিগুলো দূষিত।এই নিন,আমাদের উদ্দাম বুক পেতে দিলাম,বুকের উপরেই পাড়া দিন।
চাষাভুষার দল,এতো দেরিতে হলেও বুঝলি।
হা হা হা।
আহত বিবেক,অসহায় জাতি।
মাথা মোটারা আমাদের শাসায়।
আমরা ভয় পেয়ে বলি,"আর জীবনেও এই কাজ করবো না"
ভয় হয়,সত্যিই প্রচন্ড ভয় হয় একাত্তরের বীর সেনানীদের নিয়েও রাজনীতি হবে না তো?
তাদেরকেও বিভক্ত করা হবে না তো কোনো রাজনীতিক দলে?
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৭