কাকতালীয় ব্যাপার। একেবারে একবছর পর ব্লগটা ওপেন করলাম।আসলে ঘুম আসছিলো না। পরে একে একে সোশ্যাল সাইটগুলো সব চেক করছিলাম। তারই ধারাবাহিকতায় এসে স্যামু ওপেন করলাম। সে কথা থাক। গতবছর ভারতে গেছিলাম। সেই ভ্রমণ কাহিনী লেখা শুরু করেছিলাম গতবছর। আজ থেকে ঠিক একবছর আগে পর্ব ০২ পর্যন্ত লিখেছিলাম। আজ আবার লিখতে মন চাইলো। কিন্তু সেসব স্মৃতি আজ প্রায় ফিকে হতে চলেছে তাই আজ শেষ করে দিবো ভাবছি।
দিল্লী টু আগ্রা।
প্রায় ২০০ থেকে ২৫০ কিলো রাস্তা। সকাল আটটায় আমরা দিল্লির হোটেল ছেড়ে দিয়ে বাসে উঠলাম। দুপুর নাগাত পৌছালাম তারপর দুপুরে খাবার খেয়ে আমরা গেলাম শাহজাহানের তাজমহল দেখতে। টিকেট কাটতে গিয়ে হলো ভেজাল। ভারতীয়দের ২০ রুপি আর সার্ক দেশসমুহের দর্শনার্থীদের ৫০০ রুপি আর অন্যান্য দেশ ৭০০ রুপি। আমাদের বন্ধুদের অনেকেই ২০ রুপির টিকেট কেটে গেটে ধরা খেয়ে আবার ৫০০ রুপি দিয়ে টিকেট কেটেছিল। আমি অবশ্য প্রথমেই ৫০০ রুপির টিকেট কেটেছিলাম। আমাদের একজন বন্ধু মাত্র ঐ ২০ রুপির টিকেটে ঢুকতে পারছিলো।
ভাই, তাজমহলের সৌন্দর্য আমার পক্ষে বর্ণনা করা সম্ভব না। শ্বেত পাথরে মনে হয় চুমু খাই। আর কিছু বললাম না। জায়গা অল্প। কিন্তু তিন ঘন্টা আমরা তাজমহলের ভিতর ঘুরেছিলাম।
এরপর আমরা গেছিলাম আগ্রা ফোর্ট। আগ্রা ফোর্ট খুবই চমৎকার চায়গা।
আগ্রা টু জয়পুর।
পরদিন খুব ভোরে আমরা জয়পুরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দিলাম। ঘন্টা দুই পরে আমরা ফতেপুর সিক্রিতে একঘন্টা অবস্থান করি। ফতেপুর সিক্রিতে যোধা আকবর ছবির শুটিং হয়েছিলো। সন্ধ্যায় আমরা জয়পুর পৌছালাম। আমাদের হোটেলের নাম ছিলো সারাং প্যালেস। জয়পুরে আমরা দুই দিন ছিলাম। পরদিন সকালে গেলাম আম্বার ফোর্ট। পাহাড়ের উপর এতো চমৎকার দুর্গ কল্পনা করা য়ায়। আমার দেখা ভারতের সেরা দুর্গ। আর জন্তর মন্তর, জলমহল, শীষমহল, হাওয়া মহল এগুলোর কথা মনে পড়লে আবার যেতে মন চাই। আগেই্ বলেছি স্মৃতি ফিকে হয়ে গেছে। জাস্ট দায়সারা লেখা।
পরদিন বন্ধূরা গেছিলো আজমীর শরীফ আর পুশকার দেখতে সাথে মরুভুমি ফ্রি। আমার শরীর খারাপ হওয়ার কারণে আমি গেছিলাম না। আমার আরো দুই বন্ধু রেজা আকাশ আর শাহরিয়রও না যাওয়াই আমরা জয়পুর শহরটা ঘুরেছিলাম। আমার বিরলা মন্দির, এ্যালবার্ট হল জাদুঘর, বিরলা প্লোটেনেরিয়াম এসব ঘুরেছিলাম।
জয়পুর টু দিল্লী
পরদিন জয়পর থেকে দিল্লী এসে রাতে ঘূমালাম।
দিল্লী টু শিমলা
আমাদের দেখা সবথেকে সুন্দর জায়গা ছিলো শিমলা। সকালে দিল্লি থেকে উঠে রাত আটটায় শিমলা পৌছায়। শিমলাতে তখন অফ সিজন। তাপমাত্রা ৬ থেকে ৭ ডিগ্রি হবে। পাহাড়ের শহর শিমলা। ঘোড়াই চড়ে কুফরি গিয়ে বরফের জলকেলি, বরফে স্কিইয়িং ইত্যাদি। দুপুরে দিল্লীর উদ্দেশ্যে রওয়ানা। রাত তিনটায় পোছালাম।
দিল্লী টু কোলকাতা
কোলকাতাতে সম্ভবত ২ দিন ছিলাম। একদিন ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল , সাইন্স সিটি একদিন শপিং, সিনেমা দেখা এলিট সিনেমা হল। ছবির নাম হান্টার।
কোলকাতা টু ঢাকা
আবার মৈত্রী এক্সপেসে ঢাকা ফেরত। এই আমাদের ভারত সফর।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুন, ২০১৬ রাত ১:২৭