২০.০৩.২০১৫
ঘুম ভাঙলো সকাল সাতটায়। ব্রাশ করে এসে দেখলাম নাস্তা চলে এসেছে। নাস্তা সেরে চা খেলাম। সবার সাথে দেখা হলো। দিল্লী পৌছালাম ১০টার দিকে। আমরা দিল্লী স্টেশনের আজমীর গেট দিয়ে বের হলাম। আমাদের গাইড আসতে একটু দেরি করলো। একটি বাসে করে হোটেলের দিকে রওনা দিলাম। দিল্লী অসাধারন একটা শহর। এটাকে গ্রীণসিটি বলা হয়। রাস্তার চারপাশে বড় বড় অট্টালিকা আর সবুজ গাছ। অসাধারন পরিকল্পনার ফসল এই নয়াদিল্লী শহর। না দেখলে এটা বিশ্বাস করা অনেক দুরূহ। ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে আমরা হোটেলে পৌছালাম। আমরা ছিলাম ক্যারোল বাগ মেট্রোর পাশে হোটেল ভেদাস হেরিটেজে। গোসল সেরে ঠিক দুপুর ২টায় আমরা দিল্লীর সাইট সিয়িংয়ের উদ্দেশ্যে বের হলাম। আমাদের সাথে একজন গাইড ছিলো। সে আমাদের কোথায় কোথায় ঘুবারে সেগুলো বললো। সে ইংরেজি, জার্মান ও স্প্যানিশসহ কয়েকটি ভাষা জানতো।
প্রথমে আমরো গেলাম ইন্দিরা গান্ধি মেমোরিয়ালে। সেখানে রয়েছে ইন্দিরা গান্ধি ব্যবহৃত শাড়ি, ব্যবহৃত তৈজসপত্র, অসংখ্য ছবি, ডকুমেন্ট। এতো সব জিনিস, ঐতিহাসিক ছবি দেখতে সারাদিন লেগে যাবে। প্রতিদিন বেশ দর্শনার্থী আসে এখানে। বেশ প্রশস্ত এলাকা নিয়ে জাদুঘরটি করা হয়েছে।
এরপর গেলাম লোটাস টেম্পল। বাহাই ধর্মাবলম্বীদের উপসানালয়। এখানে সুন্দর একটি লেক ও বাগান আছে। খুব সুন্দর একটি জায়গা। স্মৃতি বড় বেরসিক। সব ফিকে হয়ে গেছে।
এরপর গেলাম কুতুব মিনার। কুতুবউদ্দীন আইবেক ও তার জামাই ইলতুতমিশ এটা বানিয়েছিল। অনেক লম্বা মিনারটি। এছাড়া পুরাতন ভবনের কিছু অংশ টিকে আছে।
রাতে গেলাম রেড ফোর্টে ‘লাইট এন্ড সাউন্ড’ শুনতে। রাতের রেড ফোর্টও সুন্দর। আমরা যেন আধাঘন্টার জন্য ফিরে গেছিলাম মোঘল আমলে। হোটেলে ফিরে রাতে ঘুম দিলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে জুন, ২০১৫ রাত ৮:২৮