বাংলাদেশ ক্রিকেট দল মহা অগ্নিপরীক্ষার সম্মুখীন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তৃতীয় সারির দলের সঙ্গে হারলে সঙ্গত কারণেই বাংলাদেশ দলের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। প্রশ্ন উঠব বাংলাদেশের টেস্ট স্ট্যাটাস নিয়ে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ২৩৮ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩০৭ রান করেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে ৬৯ রানে। এই ৬৯ রান শেষ পযর্ন্ত জয়-পরাজয়ের নিয়ামক হতে পারে।
এ খেলায় বাংলাদেশের সম্ভাবনা শেষ হয়ে গেছে তা বলা যাবে না। কারণ, দলটি ওয়েস্ট ইন্ডিজ নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ-এ দলও নয়, বড়জোর ওয়েস্ট ইন্ডিজ-বি দল। কাজেই আশা একটা আছে। দেখা যাক, বাঘের বাচ্চারা (থুক্কু বিড়ালের বাচ্চারা) শেষ পযর্ন্ত কী করে!
চতুর্থ দিন অর্থাৎ আজকের (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টা থেকে) খেলার দিকে চেয়ে থাকবে পুরো বাংলাদেশ।
লিখতে শুরু করেছিলাম হতাশা থেকে। পারলাম না।
বাংলাদেশ দলের জন্য শুভ কামনা। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৫০ রানের বেশি করলেই জেতা সম্ভব। বাংলাদেশর দ্বিতীয় ইনিংসের রেকর্ড খুব ভালো না হলেও মাঝেমধ্যে জ্বলে ওঠার নজির আছে। এক্ষেত্রে সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি হচ্ছে আশরাফুল, তাঁরই রয়েছে বড় ইনিংস খেলার যোগ্যতা। বাংলাদেশের বেশির ভাগ জয়ে রয়েছে তাঁর অবদান। দুজন ব্যাটসম্যান ফিফিট করলেই হবে।
অধিনায়ক মাশরাফির আহত হওয়া একটা বড় শঙ্কট। তবুও আমার বিশ্বাস, তাঁর অনপুস্থিতি বোলিংয়ে সমস্যা হবে না। কারণ, চতুর্থ ইনিংসের জয় নির্ভর করবে সাকিব আর মাহমুদুল্লাহ- এই দুই স্পিনারের ওপর।
আজ সারা রাত খেলা দেখতে চাই।
ঘুরে দাঁড়াও বাংলাদেশ।