ধার্মিক মানুষ দের ভিতর, আধুনিক বিশ্বের সিংহ ভাগ ধার্মিক ক্রিষ্টান, মুসলিম আর ইহুদি ধর্মের . আমার কাছে যেটা আজব লেগেছে তা হল , এই তিন ধর্মের বই পড়লে মনে হয়। আরব এর ছোট একটা বর্গ ভূমি ছাড়া দুনিয়া তে কোথাও কিছু নাই . জায়গাটা জেরুসালেম এর কয়েক শত মাইল এর ভিতরে। এবং এই বিশ্ব মহাবিশ্বের যাবতীয় ঘটনা ঘটে গেসে এই কয়েকশ মাইল এলাকায় ভিতর ।
সর্ব শক্তিমান খোদা বা আল্লাহ, তার যাবতীয় দিক নির্দেশনা মূলক জ্ঞান এর ভান্ডার , মানব জাতির ইতিহাস এর ব্রোঞ্জ যুগের এক কাঠ মিস্তিরি (ক্রিষ্টান) আর মধ্য যুগের এক রাখল এর কাছে দিয়ে গেছেন . মুসা পর্যন্ত নাই গেলাম . যখন পার্মানেন্ট লেখার বস্তুর এতই বিরল যে, কাঠ, পাতা আর শ্রুতি মূলক অনির্ভরযোগ্য মাধ্যমে যাবতীয় জ্ঞান সংরক্ষিত হইত , একটু কষ্ট করে এই জ্ঞান এর ভন্ডার চীন দেশে "নাজিল" করলে অন্তত চিনা নবীরা পার্মানেন্ট বই এর মাধ্যমে এই প্রাপ্ত জ্ঞান বা ওহি লিখে রেখে যাইতে পারতেন।
তৌরাত এর পৃথিবী বর্ণনা শুনলে করুনা হয়।পৃথিবী সমতল, আর আকাশে আছে পানির আস্তরণ বা কেনপি।!
বেচারা বাইবেল লেখক রা পরে গেসেন আরো বিপদে, তাদের দৃষ্টি তে পৃথিবী গোল না, ফ্লাট ছিল এবং আকাশে খোদা বসে খোদা গিরি করতেসেন। কোরান লেখকরা যেহেতু আরো ৬০০ বছর পরে আসছেন তাদের পৃথিবী আর একটু উন্নত। কিন্তু তাদের সূর্য ও শয়তান এর সিঙ্গার নিচে অস্ত যায় . আর শীত গ্রীষ্ম আসে "দোজখের" তপ্ত আর শীতল নিশ্বাস থেকে. "বিজ্ঞান" ময় কোরান আকাশের তারকারাজি "শোভা বর্ধন কারী "
বেচার মধ্যযুগের লেখক বুঝতে পারে নাই " তারকারাজি" আসলে কি আর কত দুরে , তারা কি "শোভা বর্ধন কারী " নাকি একেকটা তারা মানে একেকটা মহা বিশ্ব . এবং সর্বপরি এই মহাবিশ্ব এতই বিশাল যে, আমাদের সমগ্র পৃথিবী তো দুরে থাক। আমদের মিল্কি ওয়ে গেলাক্সী একটা ধুলার কনার সমান। কিন্তু ভুইলেন না, এদের "সৃষ্টি" কর্তা খেয়াল করতেসে আপনে ইন্টারনেট য়ে সনি লিওন রে দেখতেসেন না জোকার নায়েক রে। আপনে ব্রোঞ্জ যুগের কাঠ মিস্তিরির কাস থেকে "জ্ঞান বিজ্ঞান" শিক্ষা নিচ্ছেন , নাকি মধ্যযুগীয় রাখল এর কাছ থেকে। এটা তার কাসে খুবই গুরুত্ব পূর্ণ , এবং এখানে ভুল হইলে আপনাকে ইনফিনিটি পর্যন্ত আগুনে পুড়ানোর বা নানাবীধ শাস্তির বেবস্থা উনি তৈরী করে রেখেছেন। ভুলেন না উনি আবার আপনাকে খুবই ভালোবাসেন . এবং তাই একটা ধর্ম না পাঠিয়ে উনি নানান ধর্ম পাঠিয়েছেন সময়ে সময়ে, এবং সব গুলা দাবি করছে, ইহাই সহিহ, ইহাই শেষ। এবং ইহাই একমাত্র পথ।
বিজ্ঞানের অগ্রগতির সাথে সাথে, পাঠানো ধর্মের প্রকোপ কমতে কমতে এখন শুন্যের কোঠায় . মহা শক্তিমান এর "অলৌকিক" মোজেজা , ভিডিও ক্যামেরা ,ইন্টারনেট আসার পর থেকে আশঙ্কাজনক ভাবে কমতে কমতে শুন্যের কোঠায় . তখন মনে মনে প্রশ্ন ঝিলিক মারে , সুনামি, ভূমিকম্প আল্লাহর সৃষ্টি, নাকি আল্লাহ সুনামি , ভূমিকম্প, বজ্র পাত দ্বারা সৃষ্টি ? আল্লাহ খালি এমন রোগ কেন ভালো করতে পারে যা কিনা এমনি এমনি ভালো হয় বা মানুষের চিকিত্সায় ভালো হয় , কেন কখন প্রার্থনায় কারো নতুন হাত পা গজায় না ? কেন কেম থেরাপি শুরুর পর থেকে ক্যান্সার কমানোর দোয়া কাজ করে ?
মানব চেতনার উন্মেষের শুরুতে, বজ্র, বাতাস, গাছ পালা , আগুন এরাই ছিল খোদা . মানুষ আগুন নিয়ন্ত্রণ করা শেখার সাথে সাথে আগুন দেবতা থেকে হয়ে উঠলো, দেবতার পাঠানো নেয়ামত। এরপর মানুষ যত দিন যেতে লাগলো আসতে আসতে বুঝতে শিখল, বজ্র , বৃষ্টি , আগুন, গাছ এগুলা কোনটাই খোদা না, ধর্ম চেঞ্জ হয়ে আসলো এদের নিয়ন্ত্রণ কারি আকাশ চারি দেবতাগণ। এবং তাদের প্রেরিত পুরোহিত গণ।
জ্ঞান এর আরো বিকাশ এর সাথে সাথে অনেক দেবতা থেকে বের হল "প্রধান" দেবতা। আরো সময় গেল, তারপর আসল প্রধান নয় একটাই দেবতা বা মনথিস্ট ধর্ম . জ্ঞান আরো বিকাশের সাথে সাথে, মানুষ সিধান্তে আসল একটা দেবতার ও প্রমান মিলছে না। তাই প্রমান না মেলা পর্যন্ত আমি জ্ঞান বিজ্ঞান এর পুজারী এবং সংশয় বাদী . (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:০০