যতদুর মনে পরে, রানা প্লাজার নির্মান কাজ প্রথম বন্ধ করা হয় ২০০৬ সালে ৷ আমি (তত্কালীন Town planner, Savar Paurashava) এবং একজন Sub-assistant Engineer সাইট ভিসিট করে নির্মান কাজ বন্ধ করাই ৷ উল্লেখ্য, মেয়র একাজে প্ল্যানিং ডিপার্টমেন্টকে যথাযথ সহযোগিতা করেন ৷ পরের দিন রানা সাহেব এবং তার বাবা পৌরসভায় আসেন, তাদের কে ‘প্লান’ জিনিসটা কি, কেন তাকে প্লান পৌরসভা এবং রাজুক থেকে পাস করাতে হবে, ইত্যাদি বোঝানো হয় ৷ এরপর তারা অনুমোদনের জন্য প্লান জমা দেন এবং যথারীতি rejected হয় ৷ পরবর্তিতে প্লান পাসের জন্য তারা মরিয়া হয়ে ওঠেন কারণ অনুমোদিত প্লান ছাড়া গ্যাস সাপ্লাই পাওয়া অসম্ভব ৷ পরবর্তী দুই বছরে পর পর চারবার বিল্ডিংকোড বিল্ডিং কোড অনুযায়ী তারা প্লান সংশোধন করে এবং পৌরসভা নানা অজুহাতে সেগুলো নাকচ করতে থাকে ৷ সম্ভবত ২০০৯ সালের উপজেলা election এর পরে, পলিকাল কারনে, মেয়র Planning Department কে বিল্ডিং কোড অনুযায়ী রানা প্লাজার ৬ তলা অনুমোদনের নির্দেশ দেন ৷ অতঃপর,'structural-design এর দায়-দায়িক্ত না রেখে’ রানা প্লাজার ৬ তলার লে-আউট প্লান মেয়র অনুমোদন করেন - এটাই আজকের ‘রানা-প্লাজার’ ইতিহাস
সংগ্রহিত , লেখক ফারজানা লিসা . প্রাত্তন টাউন প্ল্যানের , সাভার পৌরসভা .
Click This Link
প্লিজ এটা ছড়িয়ে দিন। কেও এটা পত্রিকায় ছাপানোর বেবস্থা করেন।
এবার নিজের কিছু কথা বলি। ভাই আপনারা কেও আওয়ামী এমপি মুরাদ জং এর কথায় ভুলবেন না। এই জানওয়ার সকাল বেলা রানা কে বিল্ডিং এর থকে উদ্ধার করে নিয়ে লুকায়ে রাখসে। এখন বিকালে ফেসবুক য়ে স্টেটাস দিচ্ছে যে রানা কে খুঁজে বিচার করা হবে। সাপ হয়ে দংশন ওঝা হয়ে ঝারার বাল সাল নীতির মুখে থুথু মারুন সবাই। দেশের এই শত্রু কে চিনে রাখুন।
এবার দ্বিতীয় প্রসঙ্গ . ভাই রা আমার BNBC বাস্তবায়ন এর দাবি তুলুন ঘরে ঘরে, সবার আত্তীয় সজন আছে সরকারী অফিস গুলায় তাদের কে বুঝান, চাপ দেন। না হলে সামনে আরো রানা প্লাজা, তাজরিয়ান অপেক্ষা করছে।
ঢাকা ও চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র এলাকার বাইরে, অশিক্ষিত চেয়ারম্যানরা নকশা অনুমোদন দেবেন আর কতদিন ? আর কতদিন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী/ রাজমিস্ত্রির নির্দেশনায় ভবন তৈরি হবে?
BNBC (Bangladesh National Building Code) বাস্তবায়নের জন্য কবে কোন একটি সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হবে?
যতদিন আপনার উত্তর হবে ‘জানি না’, ততদিন পর্যন্ত ঠিক এমন ঘটনা ঘটতেই থাকবে।
আমার বেক্তিগত ধারণা দীর্ঘদিন সরকারী আমলা হলে মানুষ নির্বোধ টাইপ এর হয়ে যায়। মখা আলমগীর একজন প্রাত্তন আমলা আওমিলিগ থেকে আনুগত্যের পুরস্কার হিসাবে মন্ত্রী পদ পেয়েছে। বাসি কয়েকজন গার্মেন্টস কর্মীর লাশ পাঠিয়ে দেয়া হোক। লাশ পচে গলে গন্ধ বের হলে টের পাবে কত ধানে কত চাল। কিছু লাশ পাঠানো হোক বিভাগীয় ইন্গিনিয়ার এর বাসায় , মুরাদ জং আর যুবলীগ নেতা রানার বাসায়। কিছু লাশ যাক গার্মেন্টস মালিক গুলার বাসায়। মালিক এর আদরের সন্তান গুলা দেখুক "ড্যাডি" কি করে তাদের বিলাস বহুল জীবন যাত্রা এরেঞ্জ করে।
৬ টা লাশ পাঠান মাননীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার কাছে। দেখুক ঘটনার ৬ ঘন্টা, এবং হরতাল শেষ হবার তিন ঘন্টা আগে নাম মাত্র হরতাল প্রত্যাহার এর ফলাফল কি . ধিক
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৩ সকাল ১১:২৩