মাইজভান্ডারী তরিকার সাথে আজকে পরিচিত হব .
নবী হজরত মোহাম্মদ (স) এর বংশধর হজরত আহমেদুল্লাহ (১৮২৬-১৯০৬) কাদরী আহমেদিয়া সিলসিলার প্রবর্তক .
১৯০৬ সালে তার ওফাত এর পর থেকে , মাইজ ভান্ডারী তরিকা লক্ষ লক্ষ ভক্তের মাঝে ছড়িয়ে পরেছে . যা কিনা খোলা বা মুক্ত তরিকা নাম ও পরিচিত .
মাইজভান্ডারী তরিকা আরো তিন কাদেরী , চিশতি আর খিজির তরিকা মিলিয়ে একটি যুগ উপযোগী তরিকা রচনা করেছে।
মাইজ ভান্ডারী বা কেবলা কাবার জন্মের ৫৮৬ বছর আগে , বিখ্যাত ধর্মীয় শিক্ষক হজরত মহিউদ্দিন ইবনে আরবি , জন্মের ভবিষত বাণী করেছিলেন . তার পিতা , নবী (স) এর কাছে থেকে নির্দেশ পেয়ে নাম রাখেন আহমেদ উল্লাহ .
পরবর্তীতে গদিনাসীন হন, তার সুযোগ্য ভাতিজা হজরত শাহ সুফী মৌলানা সায়েদ গোলামুর রহমান (বাবা ভান্ডারী) (১৮৬৫)
বর্তমান য়ে গদিনাসীন পীর , শাহাজাদায়ে গাউসুল আজম হজরত শাহ সুফী আলহাজ মাওলানা সৈওদ মজিবুল বশর আল হাসানি আল মাইজভান্ডারী কেবলা .
মাইজভান্ডার তরিকা বিসসাস করে কোরানে , আল্লাহ পাক যার যার ধর্ম পালন করার সীকৃতি এবং স্বাধীনতা দিয়েছেন . . যেমন সুরা কাফিরুন য়ে আল্লাহ বলেছেন
" আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
..............................
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে। "
এবং বিভিন্ন ধর্ম ও ভাষা তৈরী করেছেন এটা পরীক্ষা করতে যে মানুষ মানবিক ভাবে চলা ফেরা করে কিনা পরস্পর এর সঙ্গে , . আল্লাহ পাক বলেছেন সুরাহ ইব্রাহিম আয়াত ৪ য়ে
আমি সব পয়গম্বরকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে। অতঃপর আল্লাহ যাকে ইচ্ছা, পথঃভ্রষ্ট করেন এবং যাকে ইচ্ছা সৎপথ প্রদর্শন করেন। তিনি পরাক্রান্ত, প্রজ্ঞাময়।
এবং মাইজভান্ডার তরিকা মনে করে যে, সমস্ত জীব জগত কে রক্ষা করে, প্রকিতি কে টিকিয়ে রেখে চলা টা , শ্রেষ্ট জাত মানুষ হিসাবে আমাদের কর্তব্য। আল্লাহ পাক কোরানে বলেছেন , সুরাহ আল হজ আয়াত ১৮
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং অনেক মানুষ।
ইবাদত , গান আর প্রকিতি হল মাইজ ভান্ডার তরিকার তিন অংশ .শত শত গান লেখা হয়েছে দয়াল বাবা কেবলা কাবা কে নিয়ে . আসুন আজ দুটা গানের সাথে পরিচিত হই .
গওসুল আজম বাবা মাইজ ভান্ডারী
গাউসুল আজম বাবা নুরে আলম
তওরানে ওয়ালা তুমি বাচানে ওয়ালা
তুমার নুর য়ে তে বাবা পাহাড় ও জ্বলে
বাবা , মুসা নবী হইল নূরে উতলা .
হুর ,পরি, ফেরাস্তা, রবি শশী
বাবা , দিবা নিশি জপে নামের মালা .
তুমি ইসমে আজম বাবা তওরানে ওয়ালা
নাম ধরেছ বাবা হক ভান্ডারী,
তুমি তৌহিদের কান্ডারী নুরে মউলা
মানুষ রূপ য়ে তুমি আসিলে ধরায়
তোমায় না চিনে রমেশের গেল বেলা .
ইস্কুল খুইলাছে রে মউলা ইশকুল খুলছে
গাউসুল আজম মাইজ ভান্ডারী ইশকুল খুইলাছে .
সেই ইস্কুলের এমনি ধারা বিচার নাই রে জওয়ান বুড়া
সিনায় সিনায় লিখা পড়া শিক্ষা দিতাসে।
মাস্টার মাহিনা ছাড়া এলমে লুদনি পড়া
কাগজ কলম দোয়াত কালির কি দরকার আছে ?
নফ্সা নিয়ত ভাগ বিয়োগ, রুহানিতে পুরুন যোগ
ইমান ও সাহিত্য তার নির্দিষ্ট আছে
খেদমতে বিজ্ঞান ও যার, দয়া করলে হেডমাস্টার
তামাম ও দুনিয়া হবে নজরের কাছে
ওরে সহস্তে দস্তখত দিয়াছ গুলামী খত
আলাস্তুবি রাব্বিকুম স্মরণ নিয়েছে
ভান্ডারীর ইস্কুলে যাও কদম খাতায় নাম লিখাও
রেজিস্টারি কবুল হলে তবে প্রাণ বাচে .
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১:৪১