এই বইটা বাংলার ঘরে ঘরে, এবং মসজিদের সামনে যে কোন বই বিক্রেতার কাছে পাওয়া যায়। এখান থকে মুখস্থ করতে হয়েছে অনেক দোআ কালাম। কোরান শরীফের সাথে সাথে সেল্ফ য়ে যে কয়টা বই পওয়া যাবে সবার বাড়িতে তা হলো মরণের আগে ও পরে, এবং নুরানী নামাজ শিক্ষা। আসুন প্রয়োজনীয় কিছু মসলা মাসায়েল জেনে নেই। কোরান যে যেহেতু নামাজ কিভাবে পড়তে হবে স্টেপ বাই স্টেপ বলা নাই, তাই নামাজ শিক্ষাই ভরসা বাঙালির .
ইমান এর পরিচয় অধ্যায় য়ে বলা হচ্ছে।
নবী রাসূল গনের প্রতি ইমান
আল্লাহর নবী রাসুল-রাসূল গণ নিস্পাপ ও দোষ ত্রুটি মুক্ত , সত্যবাদী ও ন্যায় পরায়ন ছিলেন।তাহাদের নিকট আল্লাহর ওহি নাজেল হয়েছে এবং তাহারা নিস্পাপ ছিলেন . তাদের কাজ কর্ম কে সন্দেহ বা অবিস্সাশ করিলে ,সে কাফের হয়ে যাবে (নুরানী নামাজ শিক্ষা। পেজ ৩৬-৩৭)
[জামাত শিবির, বা ওহাবী রা বলেন নবী রাসুল গণ দোষ মুক্ত বা নিষ্পাপ ছিলেন না . তাহলে তাদের ইমান ঠিক থাকে কি করে ? বা এই কথা বলার পর ও কিভাবে ধর্ম অবমাননা না হয়?]
তওবার নামাজের বিবরণ .
কোন মুমিন বেক্তি কবীরা গোনাহ করে . তাহলে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করিবে। তারপর তওবা করে , কান্নাকাটি করে। আল্লাহের দরবারে গুনাহ মাফির জন্ন দোআ করিবে। আর অন্তরে এভাবে সপথ করিবে , জীবনে এই রূপ কার্য করিব না . এইভাবে দোআ প্রার্থনা করিলে , আল্লাহ গাফুরুর রহিম বান্দার গুনাহ খাতা মাফ করিয়া দিবেন . ই সম্পর্কে আল্লাহর রাসুল (স) বলেন (তিরমিযী ও ইবনে হাব্বান ) (নুরানী নামাজ শিক্ষা পেজ ১৩২)
[ভাই মাফ করবেন এটা আমি নিজেও বুঝতে পারলাম না , তাহলে কি , সাইদী , গোআ , নিজামী, তৌঁবার নামাজ পরে গুনাহ মুক্ত হয়ে জান্নাত য়ে যাবে? হাদিস কোরান এর আলোকে প্লিজ একটু বুঝায়ে দিবেন কেও .)
কুলুখের বিবরণ .
ভদ্র সমাজে পাঠ যোগ্য করার জন্য পুরা বিবরন দিলাম না। একটাই প্রশ্ন। পুরুষের জন্য , শীত কালে কেন কুলুখ পিছন থকে সামনে আর গ্রীষ্ম কালে সামনে থেকে পিছনে "কুলুখ" করতে হবে? আবার "স্ত্রী" লোক দের জন্য এমন করা যাবে না ....ধর্ম মানুষের বেডরুম থেকে বাথরুম পর্যন্ত চলে গেল কবে থেকে? না মানলে কি গোনাহ্গার হতে হবে? (নুরানী নামাজ শিক্ষা পেজ ৫৯ )
এমন বিবিধ দোআ কালাম য়ে ভরপুর নামাজ শিক্ষার এই বইটি। যেমন স্ত্রী সহবাস কালে পড়িবার দুয়া . অর্গাজম হবার কালে পরবার দুয়া। (নুরানী নামাজ শিক্ষা পেজ ২৫৪)
[রিয়ালি? কে পড়ে এগুলা? ১৬ কোটি মানুষের ৯০ ভাগ মুসলিম ধরলে ১৪ কোটির উপর বেশি মুসলমান , জীবনে ই দোআ গুলি পড়েছেন ? না পরে থাকলে অশেষ নেকি মিস করছেন . ]
একই প্রকাশনীর, সহিহ পূর্ণাঙ্গ অজিফা শরিফ। এখানে বিভিন্ন সুরার অর্থ সহ ফজিলত বর্ণনা করা আছে। আসুন দেখি কিছু
বসন্ত রোগ দূর করবার দোআ
কোরান শরীফের ই আয়াত খানা ৭ বার করে পড়ে ৭ বার ফুক দিবে . তত্পর এক একটি চাউল এক একজন কে খেতে দিবে। ইনশাল্লাহ তাদের বসন্ত রগ হবে না। হলে সামান্য হবে।
ওয়া ইন ইয়াম সাস্কা আল্লাহু বিদুররিন ফালা কাশিফা লাহু ইল্লাহুয়া।
[তখন না ভাই বসন্ত রোগের টিকা ছিল না, এখন হুজুর রা দাবি করে না কেন বসন্তের টিকা শরীয়ত অনুযায়ী ধর্ম অবমাননা ? বা আপনি কি টিকা নিবেন /নিসেন ইহুদি নাসারাদের আবিষ্কার করা, নাকি দোআ পড়ে চাল খেয়েছেন?]
কলেরা রোগের দোআ
কোন খানে কলেরা দেখা দিলে, নিচের আয়াত খানা ১৪০০ শত বার পরে পানিতে ফুক দিয়ে সবাইকে ৩ দিন খাওয়াবে . বা প্রতাহ ২৮০ বার পর্বে বা আয়াত খানা ৫ বার কাগজে লিখিয়া তাবিজ করে সাথে রাখবে .
সালামুন কালাম মীর রাব্বির রহিম
[এটার কোন মানে হয়? কলেরার জীবানু ১৪০০ বার কেন , কোটি বার পরে ফু দিলে দূর হবে ? , iccdrb তে আমার আঙ্কেল গবেষণা করেন , উনাকে এই দোআ দিয়ে বলি রোগীদের কলেরা হাসপাতালে চিকিত্সা না করে, দোআ পরা পানি খাওয়ান, আমকে জুতা পেত করতে আসবে না ধর্ম প্রাণ কলেরা রোগী গণ ? অথচ আমি ব্লগ য়ে লিখে হয়ে যাব অবমাননা কারী ?] সহিহ নুরানী অজিফা পেজ ৩৭৩
সুরা লাহাব এর ফযিলত .
১)হজরত রাসুলে করিম (স) এরশাদ করেছেন যে বেক্তি এ সুরা টি মনে প্রাণে পাঠ করে, তার শত্রু যত প্রতাপশালী হোক না কেন , আবু লাহাব যেমন , রাসুলে করিম (স) অনিষ্ট করতে উদ্যোগী হয়ে নিজেই ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছিল , তদ্রুপ ফলাফল পাওয়া যাবে .
২) যদি দুশমন কে ধংশ করার প্রয়োজন হয়, একাধারে একমাস প্রতিদিন ৭ বার করে এ সুরা টি পাঠ করবে .
প্রকাশ থাকে যে, শত্রু কে হত্যা করতে হলে / বা শরীয়ত এর হুকুম আছে কিনা , সেটা কোন অভিজ্ঞ আলেম বা মুফতির কাছ থেকে পরামর্শ নিয়ে এ আমল করা উচিত হবে।
[ দেখেন ভাই, ধর্ম নিয়ে অবমাননা করসি বৈলেন না . বিবেক কে জিজ্ঞাস করে উত্তর দেন, তাহলে ব্লগারদের উপর হামলা কারি , জবাই করে খুনি রা তো ঠিক কাজ টাই করসিলো তাদের মত অনুযায়ী? নাকি বলেন ? তারা তো তাদের অভিজ্ঞ আলেম (জ্ঞানী) লোক এর সাথে জেনে বুঝে ই কাজ গুলা করে ? ভুল বললাম?]
সুরা ইখলাস এর ফজিলত।
৩) কোন কয়েদী বেক্তি , কায়েদ অবস্থায় এ সুরটি একাগ্রতার সাথে এক হাজার বার পথ করে তাহলে সে অচিরেই মুক্তি লাভ করবে।
[আবার একই কথা চলে আসে। যাদের মনে এই বিসসাস, তারা পুলিশ এর মাথা থেতলে দিতে ভয় কেন পাবে ?]
নবী করীম (স) কি কোরান শরীফ ভুলে যেতেন ? বা রাজ ক্ষমতা চাইতেন ?
নবী করীম ই দোয়া টি মদিনার দিকে যেতে যেতে করেছিলেন। রাব্বি অদ্খিল্নি মুদ্খালা ছিদ্দিকাও ওয়া আখ রিজ্ নি মুখরাজা ছিদ্দিকাও ওয়াজ অল্লি মিল লাদুনকা সুলতনান নাছিরা .
হে আমার প্রতিপালক ! আমাকে কল্যাণের সাথে প্রবেশ করাও এবং কল্যাণের সাথে আমাকে বের কর . তোমার নিকট হতে সাহায্যকারী রাজ ক্ষমতার বেবস্থা কর।
জিব্রাইল (অ) যখন কোরান শরিফ তেলাওয়াত করতেন, নবী করিম (স) তার সাথে সাথে কোরান তেলাওয়াত করতেন , কারণ যাতে আবার ভুলে না যান। কিন্তু অবশেষে আল্লাহ পাক এভাবে তেলাওয়াত করতে নিষেদ করলেন। এবং এ বলে সান্তনা দিলেন যে, কোরান মুখস্ত করানো , তার তথ্য বদ্ধগম্ম করানো , এমনকি তা লোকদের নিকট পৌছানো সকল আমারই জিম্মায়। আপনি আপনার আল্লাহ পাকের নিকট এই দোআ টি করুন .
"রাব্বি জিদনি এলামা " হে আমার প্রতিপালক, আমার জ্ঞান বুদ্ধি বৃদ্ধি কর। সহিহ নুরানী পূর্ণাঙ্গ অজিফা শরিফ পেজ ৪৬৪
সবার প্রতি প্রশ্ন রইল, ধর্ম অবমাননা , বা রাসুল(স) এর শানে অবমাননা কিসে কিসে হয়? উপরের মত এমন অসংখ বই, উক্তি তোতা পাখির মতন পড়ান এই তথাকথি তো, শরীয়তে আমির, হেপাজতে ইসলাম , আল্লামা , মৌলানা বিভিন্ন টাইটেল ধারী হুজুর রা। তারা বই লিখে, লক্ষ লক্ষ মুসলমান কে শিখাতে পারেন এগুলা, ধর্ম অবমাননা হয় না। আমরা ব্লগ য়ে প্রশ্ন করে শ্রেফ (কাওকে মানতে বলা হয় না !) দোষী কেন হব?
নিচের পেরাগ্রাফ ডক্টর আইজুর পেজ থেকে।
(খুব সহজ ভাবে দেখলে দেখা যায় বিশাল একটা সময় কওমী মাদ্রাসায় ব্যবহার করা হচ্ছে ধর্মীয় শিক্ষায়- ব্যবহারিক শিক্ষায় ব্যবহার করা হচ্ছে খুব কম সময়!। এ ধরনের শিক্ষা ব্যবস্হায় আধুনিক সমাজ ব্যবস্হায় অপাংতেয় হবে খুব সহজ হিসাব- এরা যে তেরো দফা দাবী নিয়া সমাজ কে তেরো শতাব্দিতে ব্যাক করাতে চাবে সেটাই কি স্বাভাবিক না তাইলে তারা আবার গুরত্বপুর্ন হবে?)