শুরু করা যাক কোরান এর দুইটি সুরা থেকে .
সুরা হুদ
আয়াত ৩৭
আর আপনি আমার সম্মুখে আমারই নির্দেশ মোতাবেক একটি নৌকা তৈরী করুন এবং পাপিষ্ঠদের ব্যাপারে আমাকে কোন কথা বলবেন না। অবশ্যই তারা ডুবে মরবে।
আয়াত ৪০
অবশেষে যখন আমার হুকুম এসে পৌঁছাল এবং ভুপৃষ্ঠ উচ্ছসিত হয়ে উঠল, আমি বললামঃ সর্বপ্রকার জোড়ার দুটি করে এবং যাদের উপরে পূর্বই হুকুম হয়ে গেছে তাদের বাদি দিয়ে, আপনার পরিজনবর্গ ও সকল ঈমানদারগণকে নৌকায় তুলে নিন। বলাবাহুল্য অতি অল্পসংখ্যক লোকই তাঁর সাথে ঈমান এনেছিল।
আয়াত ৪৩
সে বলল, আমি অচিরেই কোন পাহাড়ে আশ্রয় নেব, যা আমাকে পানি হতে রক্ষা করবে। নূহ (আঃ) বল্লেন আজকের দিনে আল্লাহর হুকুম থেকে কোন রক্ষাকারী নেই। একমাত্র তিনি যাকে দয়া করবেন। এমন সময় উভয়ের মাঝে তরঙ্গ আড়াল হয়ে দাঁড়াল, ফলে সে নিমজ্জিত হল।
আয়াত ৪৪
আর নির্দেশ দেয়া হল-হে পৃথিবী! তোমার পানি গিলে ফেল, আর হে আকাশ, ক্ষান্ত হও। আর পানি হ্রাস করা হল এবং কাজ শেষ হয়ে গেল, আর জুদী পর্বতে নৌকা ভিড়ল এবং ঘোষনা করা হল, দুরাত্না কাফেররা নিপাত যাক।
সুরাহ নুহ
আয়াত ২৬
নূহ আরও বললঃ হে আমার পালনকর্তা, আপনি পৃথিবীতে কোন কাফের গৃহবাসীকে রেহাই দিবেন না।
আলোচনায় আসা যাক। ওল্ড টেস্টামেন্ট এর , নোয়া , কোরান য়ে নুহ। বাইবেল এর বর্ণনায় আরো ডিটেলস য়ে আছে, যেমন নৌকা তা ছিল ৪৫০ ফুট লম্বা (জেনেসিস ৬।১৫ ) ইত্যাদি . সারমর্ম হলো . নুহ (অ কে আল্লাহ বললেন, নুহ নৌকা তৈরী কর, আর সমস্ত প্রাণী ১ জোড়া করে নাও তোমার নৌকা তে, কারণ আমি আল্লাহ, প্রযনকারী বন্যায় সমস্ত প্রথিবী ধংশ করে দিব . অনেক পাপ জমেছে পৃথিবী তে . ভালো কথা , নুহ নবী, আল্লাহর কথা মত , নৌকা বানালেন, সমস্ত প্রাণী এক জোড়া করে নিলেন, যারা যারা বিস্সাশি ,( ৮ - ১০ জন) ছাড়া , এবং নৌকার প্রাণী কুল ছাড়া . সমস্ত পৃথিবী বন্যায় শেষ হয়ে গেল . বন্যার শেষ য়ে , নুহ নবী আবার মাটিতে নামলেন , এবং সেখান থেকে আবার শুরু হলো পৃথিবী .
কিছু সমস্যা রয়ে যায় যেখানে .
১) তত্কালীন জাহাজ/নৌকা তৈরী হত কাঠ দিয়ে . কাঠ যেহেতু লোহার মত স্ট্রেস নিতে পারে না , তাই কাঠের জাহাজ খুব একটা বড় করে তৈরী করা যায় না . মানুষ এর তৈরী কাঠের জাহাজ সর্বোচ্চ ৩০০-৪০০ ফুট লম্বা হয় , তাও লোহার বন্ধনী, পেরেক ইত্যাদির সাহায্যে। যদিও নুহ নবীর সময় মেটাল এর বেবহার, আজকের পর্যায়ে যায় নি, তবু তর্কের খাতিরে ধরে নিলাম জাহাজ তা ৪৫০ ফুট লম্বা ছিল
তবু সে জাহাজ এত তাই ফুটা ফাটা থাকে যে, সার্বক্ষণিক পানি ছেচা দরকার হয় .
Click This Link
২) সমস্ত প্রাণী যোগার করা , নৌকার কাছে .
খুব সিম্পল বেপার, যেমন পেংগুইন , ক্যাঙ্গারু, তুষার বাঘ , জাগুয়ার বা নন-নেটিভ সব প্রাণীর , মিডল ইস্ট য়ে আনা . আশা . কিছু প্রাণী যেমন কিছু অর্থপদ, ১০০% আদ্রতা ছাড়া বাঁচে না .
৩) সব প্রাণী কে এক নৌকা তে ভরা .
পৃথিবী তে য়ে পর্যন্ত প্রায় ১৭ লক্ষ্য প্রাণী স্পেসিস গোনা হয়েছে , মাশরুম , ব্যাকটেরিয়া, আলগী এগুলা বাদ দিয়ে!
সুধু মুরুদন্ড যুক্ত প্রাণী আছে ৬২৩০৫ , এর ভিতর মাছ আছে প্রায় ৩১০০০ মত, কিন্তু মাছ দের বাদ দেয়া যাবে না , কারণ বিশ্ব বায়্পি বন্যায়, লোনা জল, আর মিঠা জল মিশে , মাছ দের বাচার উপায় রাখে নি, তাই তাদের ও নৌকায় নিতে হবে !
ও-মেরুদন্ডি প্রাণী আছে প্রায় ১৩ লক্ষ্য ! উদ্ভিদ আছে প্রায় ৩ লক্ষ্য ২০ হাজার !
টাইটানিক ছিল ৮৫০ ফুট লম্বা, বানাতে সময় লেগেছে মর্ডার্ন ইঞ্জিনিয়ার এবং হাজার হাজার কর্মীর, প্রায় ৫ বছর . সেখানে মাত্র ৪০০-৪৫০ ফুট লম্বা কাঠের জাহাজে এত প্রাণী কিভাবে আটানো সম্ভব ? প্রাণী আটানো গেলে সুধু হবে না , ওদের খাবার দাবার? সুপেয় পানি ? ওদের তৈরী করা পুরিষ প্রতিদিন হবে টন এর পর টন , এগুলা জাহাজ থেকে পরিষ্কার করা ইত্যাদি হাজার সমস্যা!
Click This Link
৪) প্রাণী কুল এর যত্ন .
কিছু প্রাণী স্পেশাল ডায়েট ফলো করে, যেমন কোওলা ভাল্লুক সুধু মাত্র ইউকালীপতাস পাতা খায় বেশির ভাগ সময়। আবার মাংসাশী প্রাণী খায় মাংশ, যেমন বাঘ .... মৌমাছির দরকার ফুল ....
তারপর এমন বন্যার সময়, বৃষ্টি হচ্ছে মুসলে, খাবার এরে মান কিভাবে বজায় রাখা সম্ভব? সহজে ছত্রাক আক্রমন করবে জমানো খাবারে, তখন ছিল না ডিপ ফ্রিজ বেবস্থা হাহা
৫) বন্যার নিজস্য সমস্যা .
কোরান এর আয়াত অনুযায়ী , মাটির নিচে থেকে, এবং আকাশ থেকে একসাথে পানি এসেছে . তাহলে এই পানি বন্যার পর কোথায় গেল? যে পানি সর্বোচ্চ পর্বত কেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল !
৬) এমন প্রলয়ন্কারী বন্যার কোনো zoological চিহ্ন পৃথিবীতে নাই কেন ?
৭) মর্ডার্ন গাছ পালা কিভাবে ই বননা survive করলো ?
বন্যায় নোনা পানি আর মিষ্টি পানি মিশে , এবং এত সময় পানির নিচে থাকার ফলে পৃথিবীর বেশিরভাগ গাছপালা ধংশ হয়ে যাবার কথা .
কিছু গাছ স্পেসিফিক পরিস্থিতি ছাড়া জের্মিনেট করে না, যেমন প্রাণীর পাকস্থলী তে পরিপাক না হলে ...বলার অপেক্ষা রাখে না এমন হবার সুযোগ খুবই কম ছিল বন্যার পরে!
কিছু মেরিন জিনিস পত্র খুবই সেন্সিটিভ যেমন করল রীফ, এমন বন্যায় এদের সুর্ভিভে এর প্রশ্নয় আসে না!
৮) জীবানু কিভাবে টিকলো ?
কিছু জীবানু মানুষ বাহিত , যেমন স্মল পক্স , পোলিও, গনেরিয়া , সিফিলিস , তাহলে নৌকায় কারো না কারো এই রোগ এর জীবানু গুলা ছিল !!
৯) অনান্য প্রশ্ন . . কিছু সপ্লায়ু প্রাণী কিভাবে বাচলো? যেমন পরিনিত মে ফ্লাই , কিছু দিন পর মারা যাবার কথা , কারণ মে ফ্লাই এর লার্ভা , অগভীর ফ্রেশ রানিং ওয়াটার ছাড়া বাঁচে না . একই যুক্তি আরো অনেক পোকা মকর এর ক্ষেত্রে দেয়া যায় ....
বননা পরবর্তী , পৃথিবীতে, গাছ পালা হীন , পশু পাখি হীন এক পৃথিবীতে, নৌকার প্রাণী গুলা কিভাবে বাচলো ? যেমন বাঘ , খবর জন্য হরিন কি পাবে? দুনিয়া তে হরিন আসে তখন দুই পিস ( হে হে ) বা হরিন , মাটি তে নেমে কি খাবে ? ঘাস তো বন্যায় ধংশ হয়ে গেসে!!!!
১০) এবার আসি , ইন ব্রিডিং নিয়ে! ইটা নিয়ে বেশি প্রশ্ন করলাম না ! বেয়াদপ বলতে পারে পাঠক রা ..
১১) মরালিটি র প্রশ্ন ...
প্রলয়ন্কারী বন্যায় পৃথিবীর , শিশু , নারী , বৃদ্ধ , কিশোর কিশোরী, সমস্ত পশু পাখি , গাছ পালা , ধংশ করে দিলেন যে ইশ্বর , তাকে আর যাই হোক "রহমান" বলা কি যায় ?
কিছু অপলোজিস্ট , বলতে চেষ্টা করে কোরান এর সব কিছু না নিলে ও , ইসলাম মহান কিন্তু কোরান এর আয়াত কি বলে দেখি
সুরা হুদ , আয়াত ১২
আর সম্ভবতঃ ঐসব আহকাম যা ওহীর মাধ্যমে তোমার নিকট পাঠানো হয়, তার কিছু অংশ বর্জন করবে? এবং এতে মন ছোট করে বসবে?
আমার জানা মতে ইসলাম, কোরান এর কোনো অংশ বর্জন করা এলাও করে না , য়ে সংক্রান্ত আরো আয়াত আছে .....
অন্ধ বিসসাস নয় , যুক্তি!
মুধযুগীয় আধার নয় , মুক্তি
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মার্চ, ২০১৩ ভোর ৫:৩০