১২ হাজার বাংলাদেশী তালেবানের সন্ধানে মাঠে নেমেছে গোয়েন্দা সংস্থা। বড় ধরনের নাশকতা ও আধুনিক যুদ্ধবিদ্যায় পারদর্শী আফগানফেরত এই তালেবান যোদ্ধারা সরাসরি কাজ করছে আল-কায়েদা ও তালেবানদের সঙ্গে। এ কারণে তাদের বর্তমান অবস্থান এবং কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে।
ধারাবাহিক.
পর্বঃ তিন
এমনকি ২০১০ সালের ২৪ মে জামাতের কেন্দ্রীয় নেতা জেএমবি প্রধান মুফতে মাওলানা সাইদুর রহমান জাফর গ্রেফতার হয়ে জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দাদের জানায়, জামাতের বি-টিম হিসেবে জেএমবি কাজ করছে। জামাতের সঙ্গে গোপনে সম্পৃক্ত একটি সহযোগী সংগঠন এটি। জেএমবি’র শতকরা ৯৯ ভাগ নেতা-কর্মীই জামাত-শিবিরের। একই ধরনের তথ্য পাওয়া যায় ২০০১ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতারকৃত রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের প্রধান ও রোহিঙ্গার সামরিক শাখার প্রধান কমান্ডার মোহাম্মদ সেলিম ওরফে সেলিম উল্লাহ ও ২০০৫ সালে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক আবদুর রহমানের কাছ থেকেও। সেলিম উল্লাহ, মুফতে হান্নান, মুফতে মাওলানা আবদুস সালাম, আবু জান্দাল, ভারতের তিহার জেলে বন্দি দুই সহোদর মুরসালিন ও মুত্তাকিন, ভারতীয় শীর্ষ সন্ত্রাসবাদী নেতা ওবায়দুল্লাহ, হাবিবুল্লাহ, ভারতে সক্রিয় সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই তৈয়্যবার শীর্ষ নেতা আমির রেজা খান ও খুররম খৈয়ামের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। পরবর্তীতে ওই সরকারের আমলেই সেলিম জামিনে বের হয়ে বিদেশে চলে যায়। বর্তমানে সে জাপানে অবস্থান করছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে তথ্য রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে মাওলানা আতিকুল্লাহ জুলফিকার হুজি’র অর্থ বিভাগের সম্পাদক। সংগঠনের অর্থনৈতিক দিক সে তদারকি করে।
মাওলানা হাবিবুর রহমান পলাতক জীবনে থাকলেও হুজি’র আমীরের নির্দেশ তৃণমূল সাথীদের কাছে দায়িত্বের সঙ্গে পৌঁছে দিতে সক্ষম একজন সক্রিয় নেতা। সে-ও রমনার বোমা হামলার আসামি ছিলো। কিন্তু চার্জশিট থেকে তার নাম বাদ পড়ে। বোমা তৈরি ও বোমা হামলায় কর্মীদের পারদর্শী করে তোলায় দক্ষ প্রশিক্ষক সন্ত্রাসবাদী মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি বোমা, ককটেল ছাড়াও গ্রেনেড তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। হুজি’র কর্মীদের শারীরিক কসরত বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয় আরেক পলাতক সন্ত্রাসবাদী নেতা হাফেজ জাহাঙ্গীর বদর। সেও রমনা বটমূলের বোমা হামলার আসামি। আমিরের নির্দেশ তৃণমূল কর্মীদের কাছে দ্রুত পৌঁছে দিতে পারদর্শী আরেক পলাতক সন্ত্রাসবাদী নেতা মাওলানা আবদুর রহমান। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু জানান, যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। আফগানফেরত যোদ্ধাদের অবস্থান খুঁজে বের করার জন্য বিশেষভাবে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। পুলিশ মহাপরিদর্শক হাসান মাহমুদ খন্দকার জানান, বর্তমান সরকারের দৃঢ়তায় সন্ত্রাসবাদী কার্যক্রম অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। সন্ত্রাসবাদীরা যাতে কোনোভাবেই সংঘবদ্ধ হতে না পারে সেজন্য পুলিশ বদ্ধপরিকর।
প্রথম পর্বে যা ছিলো।
২য় পর্বে যা ছিলো।
সূত্র : দৈনিক আল ইহসান।