পায়ের উপর পা তুলে বসে-বসে কফি খাচ্ছে পাভেল। ব্যাগটা টেবিলে রাখে পাশের চেয়ারে ধুপ করে বসে পড়লো বিনি। চুলগুলা ঠিক করে টান মারে কফিটা নিয়ে খাওয়া শুরু করে দিলো। মেয়েরা খুব কাছের মানুষ ছাড়া কারো মুখের খাবার খায় না। পাভেল বিনির কাছের কেউ না।
বিনি পাভেলের কফি খাচ্ছে। একবার কফিতে মুখ দিচ্ছে, একবার পাভেলকে দেখছে। পাভেলও গালে হাত রাখে টেবিলে ভর দিয়ে বিনিকে দেখছে।
কফি শেষ, বিনি আছে। মোবাইলটা নাড়াচাড়া করছে আর হাসছে। বিনির এই হাসি পাভেলের সবচেয়ে অপছন্দ। পাভেল চায়না বিনি কখনো হাসুক। এই হাসির কারনে অনেক ছেলে বিনিকে ভালবাসে। পাভেল চায়না বিনিকে কেউ ভালবাসুক।
প্রত্যেকটা মানুষের একটা নিজস্ব ভুলের তালিকা থাকে। একটা নিজস্ব ভুল পরিমাপক থাকে। পাভেলের কাছে বিনিকে ভালবাসা ছিল জেনেশুনে ফেক একাউন্টের সাথে প্রেম করার মতো ভুল।
ভালবাসা দিয়ে সপ্তাহ চলে, মাস চলে, বছর চলে, জীবন চলে না। জীবনের হিসাব বিনি বুঝে। বিনি বুঝে এই পৃথিবী পাভেলদের না। পাভেলরা শুধু প্রেম জানে, সংসার জানে না।
সংসার করতে বিনি অষ্ট্রলিয়া যাবে। ফিরবে বছর শেষে। এবারের শেষ দেখা বিনি দেখে নিচ্ছে পাভেলকে।
মানুষ মিথ্যা বলে, মানুষের শরীর মিথ্যা বলে, কিন্তু মানুষের চোখ মিথ্যা বলে না। বিনির চোখে কোনো ময়লা পড়েনি, তবু কেন জানি লাল, পাভেলেরটা ভেজা।
পাভেল- আমি তোকে ভালবাসি বিনি।
বিনি- বলে-কয়ে ভালবাসা হয়না পাভেল।
পাভেল- পারবি.?
বিনি- আমি বিনি। দ্যা বিনি। আমি পারি। আমাকে পারতে হয়।