ব্যর্থদেরকে কখনো কোনো শখ পুষতে নাই। শখ-আল্লাদ বলতে এই পৃথিবীতে যা কিছু আছে সব সফলদের চুক্তিবদ্ধ। ওসবে ব্যর্থদের নজর বারোমাস মানা।
ব্যর্থদের কাজ চায়ের দোকানে আড্ডা মারা, এলাকা-এলাকা ঘুরে বেড়া, সময়-অসময়ে খেলা দেখা, ঘরে বসে নাক ডাকা, আর অবসর পাইলে হঠাৎ একটু ক্লাসে ঢুঁ মারা।
ইচ্ছা হোক কিংবা অনিচ্ছা, ব্যর্থদের সব সাধ, আকাঙ্ক্ষা, আনাগোনা, এসবের মধ্যেই রাখতে হয়। সামাজিকতা রক্ষার্থে এসবের বাইরে বাহির হওয়া ব্যর্থদের জন্য জন্মসূত্রে নিষেধ।
এই পৃথিবীজুড়ে হাজারো ব্যর্থ মানুষ অথচ ব্যর্থদের পক্ষে কথা বলার জন্য একটা মানুষ নাই। সবাই সফলদের নিয়ে ব্যস্ত। ব্যর্থদের খোঁজ কেউ রাখে না। মাঝেমধ্যে তো আপনরাও না। কেউকেউ আবার পরিচয়ই দেয় না। থতমত খায়।
এই মাটিতে ব্যর্থরা শুরু থেকেই অসহায়। হিসাব কষতে বসলে নির্যাতিত, নিপীড়িত, নিগৃহীত এসব ছাড়া ব্যর্থদের খাতায় আর তেমন কোনো প্রাপ্তি থাকে না। মায়াচোখে একমিনিট কেউ দেখবে, দুই-চারটা ভাল কথা বলবে, আয়তুল কুরছি পড়ে মাথাটা একটু ফুঁকে দিবে, কেউ নাই।
না থাকলে নাই। তাকে কি। ব্যর্থরা আর ঐসবে ধার ধারে না। এখন ব্যর্থরা আত্মনির্ভরশীলতায় বিশ্বাস শুরু করছে। অন্যজনের অপেক্ষা না করে আয়নার সামনে নিজের মাথায় নিজে ফুঁ কিভাবে দিতে হয় ব্যর্থরা তা শিখে গেছে।
আসলে ব্যর্থ হওয়া দোষের কিছু নাহ্। ব্যর্থ হওয়া যায়। ব্যর্থরা আছে বলেই পৃথিবীতে সফলদের এখনো কদর। যেদিন কোনো ব্যর্থ থাকবে না, সেদিন সফলরা আর সফল থাকবে না।