মটরগাড়ি প্রস্তুত কারী প্রতিষ্ঠানের কেউ নন, এমন একজন যদি বিশ্বের গাড়ি প্রস্তুত কারী প্রতিষ্ঠানের জগতে নাম করে নিতে পারেন; শুধু নাম করা নয় নামি দামী গাড়ী প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ইলেকটৃক গাড়ি প্রস্তুত করনে দিক নির্দশনা দিয়ে দেন, তাহলে সেই বিষয়টি নিশ্চয়ই একটি যুগান্তকারী ঘটনা।
সে রকমই ঘটনা হয়ে গেছে গত এক দশকে।
গাড়ি প্রতিষ্ঠান কারী এই নতুন প্রতিষ্ঠানের নাম হলো "টেসলা", যার নাম বার বার এই ইলেকটৃক গাড়ি র বিপ্লব রচনার সাথে জড়িত, তিনি হলেন "ইলন মাস্ক"। প্রতিষ্ঠানটি ক্যলিফোর্নিয়ায় অবস্থিত।
তার একটি ইলেকটৃক গাড়ির কারিগরী বর্ণনা নিম্নরুপঃ-
১। গাড়ি ইঞ্জিন এর সিসি = নাই(কারন এর কেন ইঞ্জিন নেই); চলে ব্যটারী চালিত ইলেকটৃ মটরে। সেটির বর্ণনা নিচে দেয়া হোলঃ-
Model S is an electric vehicle available in both rear wheel and all-wheel drive configurations. The liquid-cooled power train includes the battery and one or more motors, drive inverters and gear boxes.
২। ইলেকটৃক পাওয়ার = 70 kWh or 90 kWh ব্যটারী স্টোরেজ
৩। সব কিছু microprocessor controlled,
৪। ব্যটারী গুলো সব lithium-ion battery, সুতরাং দাম বেশী হলেও জায়গা বেশী লাগে না। ব্যটারী গাড়ির পাদদেশে স্থাপিত হওয়ায় এটি চলমান ভারসাম্য অন্যান্য গাড়ি বা সম গোত্রের গাড়ির চেয়ে অনেক ভাল।
৫। Three phase, four pole AC induction motor, copper rotor সহ
৬। ইলেকটৃক মটর চলে Drive inverter সিস্টেম এ। যার আছে variable frequency drive এবং গাড়ির গতি কমানোর সময়ে পূণরায় বিদ্যুৎ উৎপাদনে regenerative braking system
৭। গাড়ির (মডেল এস) এর এক চার্জ এ যেতে পারে ৪০০ কিলো মিটার { নির্মাতা প্রধান ইলন Musk stated that driving at 65 mph (105 km/h), under normal conditions, gives a reasonable range of 250 miles (400 km)}
৮। হাই পাওয়ার চার্জিং সিস্টেম সংযোজিত থাকলে "ফুল" চার্জ হতে সময় নেয় মাত্র ৪৫ মিনিটে।
৯। সর্বোচ্চগতি ২৫০কিঃমি প্রতি ঘন্টায়, তারও ওপরে গতি হতে পারে বলে জানা যায়, কিনতু কেউ সাধারন রাস্তায় এর ওপরে গতি উঠাতে পারেন নি।
১০। ১ কিমি থেকে ১০০কিমি গতিতে স্পীড ওঠাতে এই গাড়িটি সময় নেয় ৩সেকেন্ড এর ও কম। যার কারনে এটি স্পোর্ট্স কার বা হাই সিসির কার তথা, "পোর্সে", বিএম ডব্লিউ, বা মার্সিডিয় এর সংগে সহজে প্রতিযোগিতা করতে পারে।
সুতরাং বোঝায়ই যাচ্ছে এই গাড়ি অতি সাধারন কোন গাড়ি নয়।
গাড়ির "অপারেটিং সিস্টেম" অনেকে জেনে অবাক হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নয়, হোল "লিনাক্স"। সেই "লিনাক্স" এর বিশেষ চয়ন ছিল "উবুন্টু"। কিন্তু এতটাই কাস্টমাইয্ড করা যে ঐ "লিনাক্স" এর শুরুতে "উবুন্টু" এর কিছুই দেখা য়ায় না।
এই ইলেকটৃক গাড়ি এতই নাম করেছে যে, বিশ্বের বাঘা বাঘা গাড়ি নির্মাতারা টেসলা কে বাগে এখন ইলেকটৃক গাড়ি নির্মানে মনযোগী হয়েছেন।
বাংলাদেশে এই গাড়ি আমদানী করলেও বিআরটিএ তে এই বিপ্লবী ও যুগান্তকারী গাড়ি নিবন্ধন করতে পারবেন না, সুতরাং চালাতেও পারবেন না, কারন এই গাড়ির কন ইঞ্জিন নেই।
ইঞ্জিন ছাড়া গাড়িকে বিআরটিএ এর বর্তমান নীতিমালায় গাড়ি সংজ্ঞায়ন করা যায় না।
কবে কে এই নীতিমালা পরিবর্তন করে পরিবেশ বান্ধব ইলেকটৃক গাড়ি বাংলাদেশের রাস্তায় চলতে দেখা যাবে, সেটাই অপেক্ষা ও দেখার বিষয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৫:৫৬