বাংলাদেশের মতোন গণতান্ত্রিক দেশে কীভাবে প্রজ্ঞাততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দুর্নীতি রোধ করা যাবে? যে সব দেশে জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা চালু রয়েছে, সেসব দেশে প্রজ্ঞাততন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সহজ। দেশপ্রেমিক ও জনদরদী তত্ত্বধায়ক সরকার ও সেনাপ্রধান থাকলে সুবিধে বেশি। এরা ক্ষমতা দখল করে নির্বাচনের মাধ্যমে দৃষ্টান্তবাদী সরকার চালু করে দেশে এই তন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে। দৃষ্টান্তবাদী সরকারই প্রজ্ঞাততান্ত্রিক সরকার। যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি দ্বারা গঠিত সরকারই হতে পারে দেশ ও জাতির প্রকৃত সেবক।
১. মাস্টার্স ডিগ্রিধারী বা তার উপরের শিক্ষিত ব্যক্তিরাই ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।
২. ভোটার লিস্ট রাখা যেতে পারে। ভোটার তার মাস্টার্স পাশের প্রমাণপত্র অথবা সরকারী ওয়েভসাইটে তার শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রদর্শন করিয়ে ভোট প্রদান করবেন।
৩. ভোটার ও তিনি যাকে ভোট দিয়েছেন - দুই জনের নাম নির্বাচন কমিশনের বইয়ে লিপিবদ্ধ থাকবে।
৪. ব্যক্তি তার প্রদত্ত ভোট প্রত্যাহারের মতা রাখেন। নির্বাচিত ব্যক্তি অন্যায় পথ অনুসরণ করার কারণে ৫১% ভোটার অথবা ৫১% নির্বাচিত ব্যক্তির বিরাগভাজন হলে পদত্যাগ করতে বাধ্য।
৫. নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছু প্রার্থীর বয়স ৪০ বছর থেকে ৫০ বছরের মধ্যে থাকতে হবে। নির্বাচিত ব্যক্তি ৫৫ বছর পর্যন্ত পদাসীন থাকতে পারবেন, যদি তিনি সুস্থ থাকেন এবং যদি তিনি ৫১% সমর্থক না হারান।
৬. পদাসীন ব্যক্তি দায়িত্ব পালনের বয়সসীমা হারালে অথবা ৫১% ভোট হারালে অথবা মৃত্যুবরণ করলে নির্বাচন কমিশন ঐ পদের জন্য যোগ্য ব্যক্তি নির্বাচিত করবে।
৭. প্রার্থী হবার বয়স থাকা সত্ত্বেও, যিনি ইতোপূর্বে নির্বাচিত হয়ে ৫১% ভোট হারিয়েছেন, তিনি দ্বিতীয়বার প্রার্থী হতে পারবেন না।
৮. দৃষ্টান্তবাদী সরকার ব্যবস্থা চালু হয়ে গেলে সারাদেশে একসাথে কোন নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রয়োজন থাকে না। কেবল কোন পদ শূন্য হলে নির্বাচন কমিশন কোন জেলা/বিভাগ/প্রদেশ নির্ধারণ করে নির্বাচনানুষ্ঠানের মাধ্যমে সে পদ পূর্ণ করবে।
৯. দলীয়ভাবে কোন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না।
১০. নির্বাচিত ব্যক্তি সেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে সকল নির্বাচিত ব্যক্তির সম্মতি আদায় করে অথবা ৫০% ভোটারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে তা করতে পারবেন।
১১. নির্বাচিত ব্যক্তির সমস্ত সম্পত্তি সরকারের অধীনে জমা থাকবে। তার দায়িত্বপালনকাল শেষ হলে তা ফেরত পাবেন।
১২. দৃষ্টান্তবাদী সরকারের নির্বাচিত ব্যক্তিরা নগণ্য সম্মানি ছাড়া কোন বেতন পাবেন না। তাদের পরিবারের দায়-দায়িত্ব সরকারের হাতে থাকবে।
নির্বাচন কমিশন গঠন: পরবর্তী পোস্ট থাকবে নির্বাচন গঠন নিয়ে।