somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কাফেরদের লেটেষ্ট প্রশ্ন???????

১৬ ই মার্চ, ২০১১ রাত ১:২৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আলহামদুলিল্লাহ, সুন্দর কথা ভাল লাগল আপনার সাজানো গোছানো লিখা দেখে। সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেন, না জানলে জ্ঞানীদেরকে জিজ্ঞাসা কর। আপনি প্রশ্ন করলেন আর আমি তার উত্তর দেব ইনশাল্লাহ।
আপনার প্রশ্ন নং-১. আমাকে স্রষ্টা পাঠিয়েছেন আপনি কি শুধু মাত্র গায়েবে বিশ্বাস করতে হয় বলে আমাকে বিশ্বাস করবেন যে আমাকে স্রস্টা পাঠিয়েছেন ? যদি বিশ্বাস না করেন, দয়া করে বলবেন কি কি যুক্তিতে আমাকে বিশ্বাস করবেন না ?
=============================================
উত্তরঃ- এই জন্য যে সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেছেন, 'মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তোমাদের কোন পুরুষের পিতা নয়; তবে আল্লাহর রাসূল ও সর্বশেষ নবী। আর আল্লাহ সকল বিষয়ে সর্বজ্ঞ।(আল-কুরআন. সুরা আহযাব, আয়াত-৪০) সর্বশক্তিমান স্রষ্টা অলরেডি জানিয়ে দিয়েছেন 'মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সর্বশেষ নবী, রাসুল, পয়গাম্বার, ঋৃষি। তাহলে এখন কেউ যদি বলে আমাকে সর্বশক্তিমান স্রষ্টা পাঠিয়েছেন। বলতে হবে সে মিথ্যুক। তাছাড়া 'মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সর্বশেষ নবী, রাসুল, পয়গাম্বার, ঋৃষি। এর প্রমান রয়েছেঃ- খ্রীষ্টান ধর্মে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-

বাইবেলে যাকে সত্যের আত্মা, সহায় এবং গ্রীক ভাষায় বলা হয়েছে প্যারাক্লীতোস (শব্দের অর্থ হল প্রসংশিত) - তিনিই হলেন মুহাম্মদ (প্রশংসিত), তিনিই আহম্মদ (প্রশংসনীয়)।
"৭তথাপি আমি তোমাদিগকে সত্য বলিতেছি, আমার যাওয়া তোমাদের পক্ষে ভাল, কারণ আমি না গেলে, সেই সহায় তোমাদের নিকট আসিবেন না; কিন্তু আমি যদি যাই, তবে তোমাদের নিকটে তাঁহাকে পাঠাইয়া দিব।" সূত্রঃ বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাইবেলের নূতন নিয়মের যোহন ১৬ : ৭

"১৩পরন্তু তিনি, সত্যের আত্মা, যখন আসিবেন, তখন পথ দেখাইয়া তোমাদিগকে সমস্ত সত্যে লইয়া যাইবেন; কারণ তিনি আপনা হইতে কিছু বলিবেন না; কিন্তু যাহা যাহা শুনেন, তাহাই বলিবেন, এবং আগামী ঘটনাও তোমাদিগকে জানাইবেন।" সূত্রঃ বাংলাদেশ বাইবেল সোসাইটি কর্তৃক প্রকাশিত বাইবেলের নূতন নিয়মের যোহন ১৬ : ১৩
জোরাস্টেইন ধর্মে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-

জোরাস্টেইন ধর্মের পবিত্র গ্রন্থ দসারিত এ মোহাম্মদের আগমন সম্পর্কে বলা আছেঃ "যখন পার্শীরা নিজেদের ধর্ম ভুলিয়া গিয়া নৈতিক অধঃপতনের চরম সীমায় উপনীত হইবে, তখন আরবদেশে এক মহাপুরুষ জন্মগ্রহণ করিবেন-যাঁহার শিষ্যেরা পারশ্যদেশ এবং দুর্ধর্ষ পারশিক জাতিকে পরাজিত করিবে। নিজেদের মন্দিরে অগি্নপুজা না করিয়া তাহার ইব্রাহিমের কাবা-ঘরের দিকে মুখ করিয়া প্রার্থনা করিবে; সেই কাবা প্রতিমা-মুক্ত হইবে। সেই মহাপুরুষের শিষ্যেরা বিশ্ববাসীর পক্ষে আশীর্বাদ স্বরুপ হইবে। তাহার পারম্য, মাদায়েন, তুস্, বল্খ, প্রভৃতি পারশ্যবাসীদের যাবতীয় পবিত্র স্থান অধিকার করিবে। তাহাদের নবী একজন বাগ্মীপুরুষ হইবেন এবং তিনি অনেক অদ্ভুত কথা বলিবেন।"
সূত্রঃ দসারিত গ্রন্থ থেকে গৃহীত (মোহাম্মদ ইন ওয়াল্ড রিলিজিয়ন (১৯৪০) by A. Haq Vidyarthi, পৃ-৪৭)
জেন্দা আবেস্তায় স্পষ্টাকরে মোহাম্মদের নাম "আহমদ' উল্লেখ করা আছেঃ
"আমি ঘোষণা করিতেছি, হে স্পিতাম জরথুষ্ট্র, 'আহমদ' নিশ্চয়ই আসিবেন যাঁহার নিকট হইতে তোমরা সত্‍ চিন্তু, সত্‍ বাক্য, সত্‍ কার্য এবং বিশুদ্ধ ধর্ম লাভ করিবে।" সূত্রঃ জেন্দা আবেস্তা, প্রথম পর্ব : পৃষ্টা-১৬০
বৌদ্ধ ধর্মে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-
ভিক্ষু আনন্দ সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, "আপনার মৃত্যুর পর কে আমাদেরকে উপদেশ দেবে?" আনন্দের প্রশ্নের জবাবে সিদ্ধার্থ গৌতম বুদ্ধ বললেনঃ

"আমিই একমাত্র বুদ্ধ বা শেষ বুদ্ধ নই। যথাসময়ে আর একজন বুদ্ধ আসবেন- আমার চেয়েও তিনি পবিত্র ও অধিকতর আলোকপ্রাপ্ত...তিনি একটি পূর্ণাঙ্গ ধর্মমত প্রচার করবেন।"

ভিক্ষু আনন্দ জিজ্ঞেস করলেনঃ "তাঁকে আমরা কিভাবে চিনতে পারবো?"

বুদ্ধ বললেনঃ "তাঁর নাম হবে মৈত্রেয়।"

বৌদ্ধ ধর্মের 'দিঘা নিকারা' তে মুহাম্মদ (স) সম্পর্কে বলা হয়েছেঃ

"মানুষ যখন গৌতম বুদ্ধের ধর্ম ভুলিয়া যাইবে তখন আর একজন বুদ্ধ আসবেন, তাঁহার নাম মৈত্রিয়। অর্থাত্‍ শান্তি ও করুণার বুদ্ধ।"
আরো বিস্তারিত জানতে
Click This Link
.......................................................................................................
প্রশ্ন নং-২. আচ্ছা আমি যদি সরাসরি যুগান্তরকারী কোন বৈজ্ঞানিক তত্ব আবিষ্কার করি এবং বলি ই তত্ব ঈশ্বর আমাকে দিয়েছেন, আপনি কি বিশ্বাস করবেন ? না করলে কেন করবেন না ?
=============================================
উত্তরঃ- এই জন্য যে সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেছেন, যিনি সাত আসমান স্তরে স্তরে সৃষ্টি করেছেন। পরম করুণাময়ের সৃষ্টিতে তুমি কোন অসামঞ্জস্য দেখতে পাবে না। তুমি আবার দৃষ্টি ফিরাও, কোন ত্রুটি দেখতে পাও কি?
অতঃপর তুমি দৃষ্টি ফিরাও একের পর এক, সেই দৃষ্টি অবনমিত ও ক্লান্ত হয়ে তোমার দিকে ফিরে আসবে।(আল-কুরআন. সুরা মূলক, আয়াত-৩,৪)
যা আছে আসমানসমূহে, যমীন ও এ দু'য়ের মধ্যবর্তী স্থানে এবং যা আছে মাটির নিচে সব তাঁরই।(আল-কুরআন. সুরা তা-হা, আয়াত-৬)
তাহলে বুঝতে পারছেন বিশ্বজগতের সমস্তকিছু সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের। আপনি যদি কোনো বৈজ্ঞানিক তত্ব আবিষ্কার করেনও মূল উপধানটা তো সর্বশক্তিমান ঈশ্বরের। আপনি শুধু একটি আরেকটির সাধে সংযুক্ত করেছেন।
.......................................................................................................
প্রশ্ন নং-৩. আমি যদি একটা ছবি এনে আপনাকে দেখাই যে সেখানে আমি আর নবাব সিরাজউদ্দৌলার হাত ধরে দাড়িয়ে আছি, আপনি কেন বিশ্বাস করবেন না যে, আমি কোন জীনের সাহায্যে সময় পাড়ি দিয়ে অতীতে গিয়ে সিরাজউদ্দৌলার সাথে ছবি তুলে নিয়ে এসেছি।
=============================================
উত্তরঃ- বিশ্বাস করবনা এজন্য যে সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেছেন, হে জিন ও মানবজাতি, যদি তোমরা আসমানসমূহ ও যমীনের সীমানা থেকে বের হতে পার, তাহলে বের হও। কিন্তু তোমরা তো (আল্লাহর দেয়া) শক্তি ছাড়া বের হতে পারবে না। (আল-কুরআন. সুরা আর-রহমান, আয়াত-৩৩)
সর্বশক্তিমান স্রষ্টার শক্তি ছাড়া কেউ অতীতে ফিরে গিয়ে কিছু করবেন তা অসম্ভব।
.......................................................................................................
প্রশ্ন নং-৪. এখন যে আমাদের বিশ্বাস নিয়ে এত সমস্যা, স্রষ্টা এখন এই ইন্টারনেটের যুগে কেন আমাদের ডাইরেক্ট কোন বই পাঠাচ্ছেন না ?
=============================================
উত্তরঃ- এই জন্য যে সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেছেন, আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে (জীবন বিধানকে) সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য একমাত্র ধর্ম (জীবন বিধান) হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। (আল-কুরআন. সুরা-মায়েদা, আয়াত-৩)
অতএব, বুঝতে পারছেনতো সর্বশক্তিমান স্রষ্টা আজ আর নতুন করে কাউকে কোন বই দিয়ে পাঠাবেন না। সমস্ত মানুষের জন্য একমাত্র চুড়ান্ত বই হচ্ছে আল-কুরআন। কেননা, সর্বশক্তিমান স্রষ্টা আরো বলেন, নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদের প্রেরণ করেছি স্পষ্ট প্রমাণাদিসহ এবং তাদের সঙ্গে পাঠিয়েছি কিতাব ও (ন্যায়ের) মানদণ্ড যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে।(আল কুরআন সূরা হাদীদ, আয়াত-২৫)
.......................................................................................................
প্রশ্ন নং-৫. কোরানএ এরকম অবিশ্বাসীদের কথা বলা আছে যে তারা বিশ্বাস স্থাপন করবে না, তাদের চোখে আল্লাহ মোহর এটে দিয়েছেন, সূরা ইয়াছিনে আছে, 'আমি তাদের চিবুক পর্যন্ত বেড়ী পড়িয়ে দিয়েছি তাই তারা দেখে না'..... কিন্ত কেন ?
=============================================
উত্তরঃ- ১, মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, মানুষের অন্তরের মধ্যে পাপ এমনভাবে উপস্থিত হয় যেমন ছেড়া মাদুরের একটা খড়কুটা। যে অন্তর তা গ্রহন করে নেয় তাতে একটা কাল দাগ পড়ে যায়। যদি সে পাপ কার্য হতে ফিরে আসে ও বিরত হয়, তবে ঐ দাগটি আপনি সরে যায় এবং তার অন্তর পরিস্কার পরিছন্ন হয়ে যায়। আর যদি সে গুনাহ করতেই থাকে তবে সেই পাপও ছড়িয়ে পড়ে এবং শেষ পর্যন্ত তার সমস্ত অন্তরকে ছেয়ে ফেলে। নিশ্চয় তাদের খারাপ কাজের কারণে তাদের অন্তরে মরিচা পড়ে যায়। তাহলে জানা গেল যে, পাপের প্রাচুর্য অন্তরের উপর পর্দা ফেলে দেয় এবং এর পরে আল্লাহর মোহর হয়ে যায়।
২, শয়তান তাদের উপর বিপুলভাবে জয়লাভ করেছে এবং তারা তারই আজ্ঞাবহ দাসে পরিণত হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত তাদের অন্তরে ও কানে আল্লাহর মোহর লেগে গেছে এবং চোখের উপর পর্দা পড়ে গেছে। সুতরাং তারা হিদায়াতকে দেখতেও পাচ্ছে না, শুনতেও পাচ্ছে না এবং তা বুঝতেও পারছে না।
যেমন বলা হয় যে, অমুক ব্যক্তি এ কথা শুনা হতে বধির হয়ে গেছে। উদ্দেশ্য এই যে অহংকার করে সে এ কথার দিকে কান দেয়নি বা শুনেও শুনে না।
৩, মোহর কাফিদের কুফরির প্রতিদান স্বরূপ হয়ে থাকে।
৪, দোষটা তাদের যারা সত্য জানার পর, দেখার পর, বুঝার পর তা অনুধাবন করে না। অহংকার বসত সত্যকে চাপা দিয়ে রাখতে চায়।
.......................................................................................................
প্রশ্ন নং ৬. দেখুন, ছোটবেলা থেকে আমরা এমন ভাবে ব্রেইন ওয়াশ হয়ে বড় হয়েছি যে, এভাবে আমরা প্রশ্ন করার সাহসই পাই না। ইসলাম ধর্মের মূল হাতিয়ার হচ্ছে আগে বিশ্বাস আনতে হবে। আগে ঈমান পরে আমল। ব্যপারটা কি মোটেই সন্দেহের নয় ? কেন বিশ্বাস আনতে হবে ?
=============================================
উত্তরঃ- বিশ্বাস আনতে কথাটি ভূল। বিশ্বাস করতে হবে যেমনটি, বিশ্বাস করেন আপনার মা-বাবাকে। আপনার যখন সম্পূর্ণ বিশ্বাস হয় যে ওনারা দুজন আমার মা-বাবা ঠিক তখনই আপনি তাদের আদেশ ও নিষেধ পালন করতে থাকেন। আপনি তাদের আদেশ- নিষেধ পালন করেন এজন্য যে, আপনার মা আপনাকে ৯মাস, ১০ মাস গর্বে ধারণ করেছে। আপনার বাবা কষ্ট করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে পয়সা উপার্জন করে আপনাকে ভরন-পোশন, লালন-পালন করেছে। যদি আপনি বিশ্বাস করেন যে ওনারা দুজন আমার বাবা-মা না তাহলে কি তাদের আদেশ নিষেধ মোতাবেক আমল (কর্ম) করবেন?
.......................................................................................................
প্রশ্ন নং-৭. সত্যি করে ভেবে দেখুন ত, আপনি কি সত্যি সত্যি গায়েবে বিশ্বাস করেন ? গায়েবে বিশ্বাস করলে ত আপনি কখনই মিথ্যা বলতে পারবেন না, জীবনে এক ওয়াক্ত নামায বাদ দিতে পারবেন না, গান শুনা, সিনেমা দেখা, খোলামেলা পোষাক পড়া মেয়েদের দিকে তাকানো... কখনই ত করতে পারবেন না। কেন পারবেন না ? কারণ এসব করলে যে পরিমাণ শাস্তির কথা (কোটি কোটি বছর ধরে আগযনে পুড়া এবং কত কি...) বলা আছে তাতে কিভাবে আপনার মনে সাহস আসবে এসব কাজ করার !!
=============================================
উত্তরঃ- কেউ যদি ভূল করে অপরাধ করে তাদের জন্য সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেছেন, তোমরা তোমাদের প্রভূর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা কর। অতঃপর তাঁর দিকে প্রত্যাবর্তন (তাওবা) কর।” (সূরা হুদ: ৩)
আয়াতের মধ্যে সকলকে ক্ষমা চাইতে বলা হয়েছে, অতঃপর তাওবা করতে বলা হয়েছে। সুতরাং তাওবা হচ্ছে ক্ষমা প্রার্থনার পর অতিরিক্ত আলাদা বিষয়।
কোন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের জন্য অবশ্যই কিছু শর্ত থাকে। আলেম-ওলামাগণ কুরআন ও হাদীস মন্থন করে তাওবার জন্য কতিপয় শর্ত উল্লেখ করেছেন, তা হলো:
এক: দ্রুত পাপ থেকে বিরত হওয়া।
দুই: পূর্বে যা ঘটে গেছে সে জন্য অনুতপ্ত হওয়া।
তিন: পুনরায় পাপ কাজে ফিরে না আসার জন্য দৃঢ় সংকল্প গ্রহণ করা।
চার: প্রাপকদের হক ফিরিয়ে দেয়া যা অন্যায়ভাবে নেয়া হয়েছিল অথবা তাদের নিকট থেকে মাফ চেয়ে নেওয়া।
“আপনি বলে দিন যে, (আল্লাহ বলেন) হে আমার বান্দাগণ! যারা নিজেদের উপর অত্যাচার করেছো, তোমরা আল্লাহ তা’আলার রহমত হতে নিরাশ হয়ো না। নিঃসন্দেহে আল্লাহ (অতীতের) সমস্ত গুনাহ্ ক্ষমা করবেন; নিশ্চয়ই তিনি বড়ই ক্ষমাশীল, দয়ালু। আর তোমরা তোমাদের রবের দিকে প্রত্যাবর্তন কর এবং তার নিকট আত্মসমর্পণ কর আযাব আসার পূর্বেই, অতঃপর আর সাহায্য করা হবেনা।” (সূরা আযযুমার: ৫৩-৫৪)
এটিই হচ্ছে উল্লিখিত সমস্যার সূক্ষ্ম জবাব এবং এটি অত্যন্ত স্পষ্ট, ব্যাখ্যার কোন প্রয়োজন নেই।
.......................................................................................................
সবশেষে আপনি যা বললেনঃ- আমি কিন্তু বিধর্মীদের সাথে আগে তর্ক করতাম ইসলাম ধর্মের পক্ষে যুক্তি খেলা খেলার জন্য, কিন্তু এই যুক্তি খেলা খেলতে গিয়েই উপলদ্ধি করেছি আমার কথায় বড় গলদ আছে আর কি সব গোজামিল দিচ্ছি। এবং তা থেকেই ধীরে ধীরে ঈমান টা কমে যেতে থাকে।
.......................................................................................................
আপনি সাক্ষ দিলেন যে ইসলামের পক্ষে তর্ক করতেন খেলার জন্য, আরো সাক্ষ দিলেন আপনার কথায় গলদ আছে।
******************************************************************** জেনে রাখুন, আমাদের প্রত্যেকের জন্য চারটি বিষয় জানা অপবিহার্য।
প্রথমতঃ- জ্ঞান অর্জন করা; আপনাকে কে সৃষ্টি করেছে, কেন সৃষ্টি করেছে, আপনার করণিয় কি?
দ্বিতীয়তঃ- আমল করা; জ্ঞান অর্জন করার পর কর্ম না করলে সে পথ হারা পথিকের মত।
তৃতীয়তঃ- দাওয়াত বা আহব্বান; আপনি যতটুকু সত্য জানেন সে অনুযায়ি অন্যদেরকে সত্যের দিকে আহব্বান করা।
চতুর্থতঃ- ধৈর্য ধারণ করা; ধৈর্য ধারণ করতে হবে জ্ঞান শিক্ষার পথে। ধৈর্য ধারণ করতে হবে তদানুযায়ী কর্ম করার ক্ষেত্রে। আর ধৈর্য ধারণ করতে হবে সত্যের পথে মানুষকে আহব্বান করার ক্ষেত্রে।
মানুষের জ্ঞান অসম্পূর্ণ এবং তার বিবেক অপরিপক্ক। এর বিপরীত স্রষ্টার জ্ঞান পূর্ণাঙ্গ এবং তাঁর বিবেক সবরকম দোষমুক্ত। তাই এক মানুষের বিবেক-বুদ্ধির সাথে অন্য মানুষের বিবেক বুদ্ধির সাথে সংঘর্ষ হতে বাধ্য। এমতাবস্তাই যার জ্ঞান পূর্ণাঙ্গ এবং যার বিবেক সবদিক দিয়ে পরিপক্ক কেবল তারই নির্দেশ মানুষকে সঠিক পথ দেখাতে পারে। আর তা মানুষকে সবরকম তর্ক-বিতর্ক ও হানাহানি থেকে বাঁচাতে পারে, যদি সমস্ত মানুষই তার নির্দেশটা খুশীমনে মেনে নিতে পারে। অজ্ঞতার অন্ধকারকে দুরীকরণের প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করার জন্য এবং শান্তির জীবনের অসীম সূধা অনুসন্ধানকারীদের পিপাসাকে নিবারণ করার জন্য আমার সামান্য এই প্রয়াস।
********************************************************************
সর্বশক্তিমান স্রষ্টা বলেছেন, কিন্তু যারা ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে তাদের জন্য রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন প্রতিদান(জান্নাত)।(আল-কুরআন,সূরা : আল-ইনশিকাক, আয়াত-২৫)
********************************************************************
১০টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×