somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কে সেই মাহামানব, কি তাঁর পরিচয়?

০৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


কালের বিবর্তনে যেমন সত্যের অবারিত দ্বার উন্মোচিত হয়েছে; আবার বিস্মৃতও হয়ে গেছে পুরাকালের অনেক সত্যতত্ত্ব। বিকৃত হয়ে গেছে ধর্মগ্রন্থ সমূহের মূলবক্তব্য। একবারেই যে বিকৃত হয়ে গেছে তাও নয় যুগের সাক্ষি হিসেবে রয়ে গেছে ছিটাফোটা কিছু সত্য কথা। তেমনি কিছু সত্য বাণী যা ভগবত ধর্মের গ্রন্থগুলোতে পাওয়া যায়। এ তত্ত্ব প্রকাশের সাথে সাথে ভগবত সমাজে চমক লেগে যেতে পারে; আকষ্মিকভাবে সচকিত হওয়ার কোন কারণ নেই, ভগবান স্বয়ং বলেনঃ-
১. "দ্বাদশ্যাং শুক্ল পক্ষস্য মাধবে মাঝি মাধবঃ।
জাতে দদৃতঃ পুত্রং পিতরৌ হৃষ্টমানষৌ "
(কল্কি পুরাণঃ প্রথমাংশের দ্বিতীয় অধ্যায়, শ্লোক ১৫)
অর্থঃ "বৈশাখ মাসের শুস্কপক্ষীয় দ্বাদশীতে (১২ তারিখে) কলির অবতার জন্ম গ্রহণ করিলে তদ্দর্শনে তাঁহার পিতৃকূল হৃষ্টচিত্ত হইবে।"
অর্থাৎ, বৈশাখ মাসের সোমবারে=ইন্ডিয়ান বিক্রামি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বসন্ত কে বলা হয় বৈশাখ। অপরদিকে, আরবীতে বসন্তকে বলা হয় 'রাবি'। নবী হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) জন্ম গ্রহণ করেন ১২-ই রাবিউল-আওয়াল মাসের সোমবারে (ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আরবী তৃতীয় মাসে)।
২. "লিঙ্গচ্ছেদী শিখাহীনঃ শ্মশ্রুধারী সে দূষকঃ।
উচ্চালাপী সর্বভক্ষী ভবিষ্যতি জমোমম ২৫
বিনা কৌলংচ পশবস্তেষাং ভক্ষ্যা মতা মম।
মুসলেনৈব সংস্কারঃ কুশৈরিব ভবিষ্যতি ২৬
তম্মান্মুসলবন্তো হি জাতয়ো ধর্ম্ম দূষকাঃ।
ইতি পৈশাচধমশ্চ ভবিষ্যতি ময়াকৃতঃ ।২৭"( ভবিষ্য পুরাণ, শ্লোকঃ ১০-২৭)
অর্থঃ " আমার অনুসরণকারী লিঙ্গের ত্বকছেদন (খতনা) করিবে। সে শিখাহীন (মাথায় টিকিহীন) ও দাড়ি বিশিষ্ট হইবে; সে এক বিপ্লব আনয়ন করিবে। সে উচ্চস্বরে প্রার্থনা ধ্বনি (আজান) করিবে। সে সর্ব প্রকার ভক্ষ্যদ্রব্য (হালাল দ্রব্য) আহার করিবে; সে শূকর মাংস ভক্ষণ করিবে না। সে তৃণলতা দ্বারা পূত পবিত্র হইবে। ধর্মদ্রোহী জাতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করিয়া সে মুসলমান নামে পরিচিত হইবে। আমার দ্বারা এই মাংসহারীদের ধর্ম স্থাপিত হইবে।
=============================================
'বেদ' হল হিন্দু ধর্মের মূল ভিত্তি। হিন্দু আইনের মূল উত্‍সও বেদ। বেদের অপর নাম শ্রুতি। শ্রুতি থেকেই এসেছে শ্রুতিশাস্ত্র। শ্রবণ করে পরবর্তীতে পুস্তক আকারে যে গ্রন্থ লেখা হয় তারই নাম শ্রুতিশাস্ত্র। মুনিবর কৃষ্ণদ্বৈপায়ন কর্তৃক সংকলিত এই শ্রুতিশাস্ত্রের নামই বেদ। বেদ চার ভাগে বিভক্তঃ
[১] ঋক্ বেদ
[২] যর্যু বেদ
[৩] সামবেদ
[৪] অর্থব বেদ
সামবেদে মুহাম্মদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পরিচয় বর্ণনা করে বলা হয়েছে - যার নামের প্রথম অক্ষর 'ম' এবং শেষ অক্ষর 'দ' হবে এবং গো মাংস খাওয়ার আদেশ দিবেন, সেই দেবতাই হবে আমাদের সবচেয়ে বড় দেবতা।
১. "মদৌ বর্তিতা দেবা দকারান্তে প্রকৃত্তিতা।
বৃষানাং বক্ষয়েত্‍ সদা মেদা শাস্ত্রেচস্মৃতা " (সামবেদ সংহিতা)
অর্থঃ "যে দেবের নামের প্রথম অক্ষর "ম" ও শেষ অক্ষর "দ" এবং যিনি বৃষমাংস (গরুর মাংস) ভক্ষণ সর্বকালের জন্য পুনঃ বৈধ করিবেন, তিনিই হইবেন বেদানুযায়ী ঋষি।"
২. "হোতার মিন্দ্রো হোতার মিন্দ্রো মহাসুরিন্দ্রাঃ ।
অল্লো জ্যেষ্ঠং শ্রেষ্ঠং পরমং পূর্ণং ব্যক্ষণং অল্লাম।
অল্লো রসূল মহামদ রকং বরস্য অল্লো অল্লাম।
আদল্লাং বুকমেকং অল্লাবুকংল্লান লিখার্তকম।" (অল্লোপনিষদের সপ্তম পরিচ্ছেদ)
অর্থঃ "দেবাতাদের রাজা আল্লাহ আদি ও সকলের বড় ইন্দ্রের শুরু। আল্লাহ পূর্ণ ব্রক্ষ্মা; মোহাম্মদ আল্লাহর রুসূল পরম বরনীয়, আল্লাই আল্লাহ। তাঁর অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ আর কেহ নেই। আল্লাহ অক্ষয়, অব্যয়, স্বয়ম্ভু।"

৩. উত্তরণ বেদে বলা হয়েছেঃ
"লা-ইলাহা হরতি পাপম ইল্লা ইলহা পরম পদম
জন্ম বৈকুন্ঠ অপ সুতি তজপি নাম মুহামদম " সূত্রঃ উত্তরণ বেদ। আনকাহি, পঞ্চম অধ্যায়ঃ
অর্থঃ " লা ইলাহা কহিলে পাপ মোচন হয়। ইল্লাল্লা কহিলে উচ্চ পদবী যদি চিরতরে স্বর্গে বাস করিতে চাও, তবে মোহাম্মদ নাম জপ কর।"


" অবশ্যই তোমাদের মধ্যে থেকে তোমাদের কাছে এক রাসূল আবির্ভূত হয়েছেনঃ তোমাদেরকে যা বিপন্ন করে তা তাঁর জন্য কষ্টদায়ক; সে তোমাদের মঙ্গলকামী, বিশ্বাসীদের জন্য তিনি দয়ার্দ ও পরম দয়ালু।"
(আল কুরআন, সূরা তওবা আয়াত ১২৮)
============================================= ধর্মগ্রন্থগুলো বিশ্লেষণ করে এটাই প্রমানিত হয় যে মুহাম্মদের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) শেষ মহামানব এবং ইসলাম হচ্ছে শ্রেষ্ঠ ধর্ম।
প্রশ্নঃ-১. হে মানবসকল! তোমাদের কিসের অহংকার যে ইসলামকে নিজের ধর্ম হিসেবে মেনে নিতে পারছনা?
প্রশ্নঃ-২. হে মানবসকল! তোমাদের কিসের অহংকার যে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে শেষ মহামানব মেনে নিতে পারছ না?
প্রশ্নঃ-৩. প্রকৃত পক্ষে তোমরা কি তোমাদের ধর্মগ্রন্থগুলোকে অস্বিকার করছ না?
প্রশ্নঃ-৪. প্রকৃত পক্ষে তোমরা কি তোমাদের ঈশ্বরকে মিথ্যারূপ করছ না?
ঐ প্রশ্নগুলো ভালভাবে বুঝতে পারবেন Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১১ রাত ৮:৪৭
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কমলার জয়ের ক্ষীণ ১টা আলোক রেখা দেখা যাচ্ছে।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:১৮



এই সপ্তাহের শুরুর দিকের জরীপে ৭টি স্যুইংষ্টেইটের ৫টাই ট্রাম্পের দিকে চলে গেছে; এখনো ট্রাম্পের দিকেই আছে; হিসেব মতো ট্রাম্প জয়ী হওয়ার কথা ছিলো। আজকে একটু পরিবর্তণ দেখা... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিড়াল নিয়ে হাদিস কি বলে?

লিখেছেন রাজীব নুর, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:২৪



সব কিছু নিয়ে হাদিস আছে।
অবশ্যই হাদিস গুলো বানোয়াট। হ্যা বানোয়াট। এক মুখ থেকে আরেক মুখে কথা গেলেই কিছুটা বদলে যায়। নবীজি মৃত্যুর ২/৩ শ বছর পর হাদিস লিখা শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। বকেয়া না মেটালে ৭ নভেম্বরের পর বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না আদানি গোষ্ঠী

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ সকাল ৯:৪১





বকেয়া বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে কোটি কোটি টাকা। ৭ নভেম্বরের মধ্যে তা না মেটালে বাংলাদেশকে আর বিদ্যুৎ দেবে না গৌতম আদানির গোষ্ঠী। ‘দ্য টাইম্স অফ ইন্ডিয়া’-র একটি প্রতিবেদনে এমনটাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×