বেদনাহত বালিকার সজল চাহনির মতোন মনোহর হৃদয় আচম্বিত।
ফিরে যেতে চায় দূর্বায় মোড়ানো পথটা বেয়ে গর্ভস্ফীত সেই রাঙা দিনগুলোতে
যেখানে,
পথের দু'ধারে ভাঁটফুলের তেঁতো গন্ধ যেন ফাগুণের বাতাস বিছায়ে লেগে থাকত
ক্লান্ত নদী উৎরায়ে বাড়ি ফেরার পালা আসে দিনশেষে।
স্থির চোখ খুঁজে ফিরে নির্লিপ্ত আলো,
যেখানে ঘন সবুজ পাতার চাঁদোয়ার নিচে গাঢ় অন্ধকার
কষ্টার্জিত দু'একটা রবি-রশ্মি নিবিড় অন্ধকারের যেন আততায়ী।
গভীরতর ফিরে যাওয়ার ডাক এসে সময়ের চেতনাকে পঙ্গু করে দেয়,
অনুনমেয় যুগধরে পথ চলেছে ফেরিওয়ালা
হেঁটে চলেছে সবুজ পাতায় ছাওয়া নিরীহ সময়ে,
যেখানে কুকুর ঘুঘুর আর শেয়ালের ডাকে সন্ধ্যা নামে অপরাহ্ণের গা ঠেসে।
দুপুরের ভাত'ঘুমের অন্তরালে চৈত্রের অবসাদ মজে গিয়ে যখন ফেনিল কামনায় রঙিন
তখন কবুতরের অস্ফুট গোঙানিতে চেপে বাড়ির উঠোনে সন্তর্পণে নেমে আসে নির্জনতা,
ডাহুকের বাড়মুখী ডাকে ঘর ছেড়ে এসে দাঁড়াতাম পানা দীঘিটার জারুল কদমের ছায়ায়,
ন্যাড়া দুপুরে সজনের ডালে লতানো ঝিঙে ফুলের ঘ্রাণে-
কাম চিক্কন নারীর নিঃশ্বাসে ঘাসের গন্ধের কথা মনে পড়ে-
হয়ত তখনই সন্ধি ডিঙানো বালিকার কোমল হৃদয়ে মদনবানের মরন ঘা সজোরে এসে বিঁধে।
আর মৃত্যু আসে মহামারী রূপে বৃদ্ধার আর্ত'চাহনিতে
হাতে সচিত্র পরিচয়প্ত্র
ফেরিওয়ালার একহাতে ঝুড়িভর্তি
অলৌকিকভাবে ভেসে থাকা সব নৌকো
অন্যহাতে ব্যবস্থাপত্র; রিপোর্ট ফরেনসিক,
আশ্চর্য ঘটনাসকল ডানা মেলে উড়ে যাচ্ছে প্রেক্ষাগৃহে নয়তো আর্কাইভে।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৩