প্রথমেই বলে নেয়া ভালো আমি ছাগু বা কট্টর মৌলবাদী নই। আমি অবিশ্বাসীও নই। গত শুক্রবারে আমাদের মসজিদের ইমাম সাহেবের কাছ থেকে খুৎবায় শোনা কিছু কথা শেয়ার করব।
আমরা যারা প্রগতিশীল বা আধুনিক বা নারী অধিকারের পক্ষে তারা প্রথমেই তেড়ে আসবেন না দয়া করে, পড়ুন, বুঝুন তারপরে কিছু বলবেন। আমরা অনেকেই জানি বা মানি একজন মুসলিম নারী পর্দার মধ্যে থেকে স্কুলে যেতে পারবেন, কলেজে যেতে পারবেন, অফিসে যেতে পারবেন মোট কথা তিনি বৈধ সব কাজ করতে পারবেন কিন্তু পর্দার মধ্যে থেকে। আমিও তাই জানতাম।
ইমাম সাহেব বললেন, যখন একজন মহিলা অফিস বা কলেজে কাজ করেন তখন নিশ্চয় তার সাথে পুরুষ কলিগের দেখা হয়, কথা হয়। যা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু প্রতিনিয়ত এই দেখা হলে তাদের মধ্যে একটা টান কাজ করতে থাকে, এরপরে একটু ভালো লাগা, একটু আবেগ জন্ম নেয়া, একটু অনুরক্তি জন্ম নেয়া খুব স্বাভাবিক একটা ব্যাপার হয়ে যায়। যদিও সে মহিলা পর্দা করে। একটা সময়ে এসে মহিলার তার স্বামীকে আর ভালো লাগে না। একজন পুরুষ এবং একজন নারী যখন একসাথে অবস্থান করে তখন তাদের তৃতীয় সঙ্গী হয় শয়তান এবং এই শয়তান তাদের খারাপ কাজের কু-মন্ত্রনা দিতে থাকে। কেউ বলতে পারেন আমি ঠিক থাকলেই তো হল, শয়তান আমার কি করবে; আচ্ছা বলুন তো আমি মোম কে আগুনের কাছে নিয়ে গিয়ে বললাম এই মোম গলবে না, বলুন তাই কি হয় ? মোম গলবেই। নারী এবং পুরুষ কাছাকাছি আসলে বিপর্যয় ঘটবেই। তবে কি মহিলারা স্কুলে, কলেজে পড়তে পারবে না ? অফিসে চাকরী করতে পারবে না ?
অবশ্যই পারবে তবে শর্ত হল, যে স্কুলে বা কলেজে পরবে তার সমস্ত টিচার এবং কর্মচারী মহিলা হতে হবে। যে অফিসে জব করবেন তার সমস্ত স্টাফ মহিলা হতে হবে। অন্যথায় কোনো বিপর্যয় ঘটলে এর দায় ভার পুরুষদের উপরেই বর্তাবে। বুকে হাত দিয়ে বলুন তো, আপনি কি কখনো চাইবেন যে আপনার বোন বা আপনার স্ত্রী এরকম কোনো সমস্যায় পরুক ? নিশ্চয় চাইবেন না। ইমাম সাহেবের কথাগুলো মিথ্যে নয়। আল্লাহ্তায়ালা আমাদের সবাইকে বুঝার তাউফিক দিন।