যাবো যাবো করে তো আর যাওয়া হয়না.....কিন্তু এবার আর তা হলো না।
রাত ১০.৪৫। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যাম....

ও আর দেরী করেনি...কথামাত্রই মনে হয় অপরাধবোধ থেকেই নেমে দ্রুত হেঁটে গেলো...মিশু চিৎকার করে জানিয়ে দিলো আমরা মালামাল নিয়ে আসছি..তুই যা।
কোথায় কি? কাউন্টারে গিয়ে জানা গেলো বাস ১ ঘন্টা দেরী হবে। হায় বলে কি?!


এবার অপেক্ষা করার পালা...

১১.৩০ ...হঠাৎ করেই ঘোষনা এলো ৯৫১ এর বান্দরগন উঠে পড়ৃন

রাজু তাকায় মিশুর দিকে মিশু আমার দিকে..


বাদ দে যা বলার বলছে .. বাস তো আইছে..উঠে পড়.

বাসে উঠেই রাজুকে বললাম টিকেট কোথায় ? সিট নাম্বার কত? রাজু টিকেট বাড়িয়ে দিতেই টিকেটের গায়ে মিশুর নাম লিখা রয়েছে মিঃ বিশু
আর গন্তব্য ঢাকা টু বান্দবান।


আমি শয়তানি করে বলেই ফেললাম কিরে এটা তো আমাদের টিকেট না মিঃ বিশুর টিকেট।

ক্ষনিক পরেই যাত্রা হলো শুরু......সায়েদাবাদ থেকে যাত্রাবাড়ি পার হতেই ৪৫ মিনিট।যাত্রাবাড়ি পার হতেই কেমন যেন একটা বিদঘুটে গন্ধ নাকে লাগলো...প্রথমটায় পাত্তা না দিলেও গন্ধটা ধীরে ধীরে বিকট হতে লাগলো এবং বোধগম্য হলো ইহা কাহারো পায়ের মুজার উৎকট গন্ধ..


>শালার মাথায় বোধ বুদ্ধি বলতে কিছু নাই..
>কয় মাস ধরে মুজা ধোয় না..
>সুপাইরভাইজার কই, দেখতো কে জুতা খুলছে এখনই বল জুতা পরতে না হইলে..বাস থেকেই নামাইয়া দিমু
>কেমন মানুষ নিজের নাকেও গন্ধ লাগেনা...
>নাক থাকলেতো ... এই মুজা পরতই না........
এত কথা শুনার পর সেই লোকের বোধগম্য হইলো কিনা জানা যায় নাই...তবে..যেভাবেই হোক মুজার উৎকট গন্ধ থেকে রেহাই পেলো সবাই..সুপারভাইজার এসে স্প্রে করে গেলো...তবে বাস সেই জ্যামেই একটু একটু করেই এগিয়ে চললো..এভাবে কাঁচপুর পার হতেই রাত ১.৩০টা..


(চলবে)