একটা অ্যারাবিয়ান প্রবাদ হলো, 'An army of sheep led by a lion would defeat an army of lions led by a sheep' অর্থ্যাৎ একটি সিংহের নের্তৃত্বে একদল ভেড়া, একটি ভেড়ার অধীনস্থ একদল সিংহকে পরাস্ত করতে পারে। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের হল উদ্ধার আন্দোলন করতে গিয়ে এই কথাটাই বার বার মনে আসছিল। আন্দোলনকে সফল করতে হলে যোগ্য নের্তৃত্ব দরকার যা মনে হয় বাম ছাত্র সংগঠন ব্যতীত সম্ভব নয়। ক্যাম্পাসের ভিতরে বসে হইচই করে কোন দাবী আদায় হবে না। আর আন্দোলনের নামে বোঝাই যাচ্ছে যে তাঁরা দলীয় এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। আমরা কি স্থানীয় জনগণের সাথে, ব্যবসায়ীদের সাথে সঙ্ঘাতে যাবো? মোটেই না, তাঁরা তো প্রকৃত দখলদার নয়! হল ঘেরাওয়ের মত কর্মসূচি দিয়ে যদি ঘরের দ্বারে বসে থাকি তাতে কি হয় তা আমরা আজ দেখেছি, ব্যানার টাঙানোর কিছু পরে ভবন কর্তৃপক্ষ তা সরিয়ে ফেলেছে। কি লাভ হয়েছে? অথচ, ছাত্রদের মুলা ঝুলিয়ে বিজয় চিহ্ন দেখানো হচ্ছে। মুলাতো অনেক দেখলাম। পাঁচ বছর ধরে টাকা খেয়ে ছাত্রদের আন্দোলন দমিয়ে রেখেছেন। কাইন্ডলি আর না, আপনাদের মুলার গন্ধে এই ক্যাম্পাসে যে পড়ি সেটা বলতেই অনেক সময় বিব্রতবোধ করি। অধিকিন্তু যদি হোলগুলো স্পটে গিয়ে ঘেরাও করতে গেলে স্থানীয়দের সাথে আমাদের সংঘাত বেঁধে যেতে পারে। চাপ দিতে হবে প্রশাসনকে। যে প্রশাসন বিরোধী দলের নেত্রীর বাড়ি আইনের ফাঁক ফোঁকর দিয়ে খেয়ে ফেলতে পারে সে প্রশাসন কি কয়েকটা ভূমিদস্যুর হাত থেকে হল উদ্ধার করতে পারবে না? পারবে কিভাবে, ওরা এখন প্রশাসনের বাপ। তাই, চাপটা দিতে হবে ওখানে। সচিবালয় , শিক্ষামন্ত্রীর কার্যালয় এমনকি দাবী আদায়ে বাধ্য করতে প্রধান্মন্ত্রীর বাসভবন পর্যন্ত ঘেরাও করতে যেতে হবে।
ছাত্রলীগের ইদানিংকালের আন্দোলন দেখে আমার মনে হচ্ছে যে আন্দোলনের মোর ঘুরিয়ে নিচ্ছে তাঁরা। তাঁদের দলীয় এজান্ডা বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। আসো এবার গণজাগরণ মঞ্চের মতো এই প্লাটফর্মটাকেও ধ্বংস করি। নতুবা, সাধারণ ছাত্রদের আন্দোলনে দলীয় স্লোগান দেয়ার কোন মানে আমি খুঁজে পাই না। নাকি নতুন ভর্তি হওয়া ছাত্রদের ভাগাতে এই পদক্ষেপ। তা তো হতেই পারে, বিগত পাঁচ বছর ধরে দেখে আসছি, কিভাবে টাকা খেয়ে ছাত্র আন্দোলন দমন করা হয়েছিল সাধারণ ছাত্রদের উপর নির্মম হামলা চালিয়ে। মামলা দিয়ে- ভয় দেখিয়ে। তাঁদের মুখে এখন রাম রাম। চোর যদি পুলিশ হয় তবে তো এমন আরো কতো যে নাটক দেখতে হবে আল্লাহই ভালো জানেন।