somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রম্য কথাঃব্যাং সমাচার

২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

৯০-৯১ এর কথা।শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ,সবেমাত্র ফার্স্টব্যাচ নিয়ে যাত্রা শুরু করেছে।মূল গেট থেকে এক কিলো পার হয়ে “এ” বিল্ডিং অবধি একটা গাছ দূরে থাক এক রত্তি সবুজের পোচ ও নেই। দেখে মনে হবে খাঁ খাঁ নিদান মরুভুমি।খাবার দাবারের দোকান অন্যুন সাত কিলো দূরে।হলের ডায়নিং মিস হয়ে গেলে গুডবয়দের স্টকে থাকা মুড়ি চিড়া ভরসা।
এহেন খাদ্যাভাবে অপুষ্টিতে ভুগে, ফার্স্ট ব্যাচের লিংকন ভাই এর একটা সমাধান বের করলেন।
শাহপরান হলের পেছনে টিলা , স্যাতস্যাতে বনের মত যায়গা। উনি প্রতিদিন সেই টিলা থাকে বড় ব্যাং ধরে আনতেন এর পর ভাল করে মসলা মাখিয়ে ব্যাং এর ঠ্যাং এর রোস্ট খাওয়া শুরু করলেন।অন্যান্য ছাত্ররা তা দেখে অনভ্যস্ততার কারনে খেতে চাইতোনা।পড়ে দেখা গেল, লিংকন ভাই যখুনি ব্যাংয়ের রোস্ট ভাজা শুরু করতেন , কোথা থেকে অন্যান্য রা রোস্ট খাবার লোভে উনার রুমে হাজির হতো ।
লিংকন ভাই একটু মুখচোরা মানুষ।উনার ভাগ কমে যায় এ কারনে নাও করতে পারেন না।তাই একদিন উনার রুমে সবাইকে ডাকলেনঃ
সবাইকে ট্রেনিং দিলেন কিভাবে দুই হাতে পলিথিন বেধে ব্যাং ধরতে হয়। ট্রেনিং এর সবচাইতে গুরুত্বপুর্ন টিপস হলো, ব্যাং ধরতে হলে সামনে থেকে ধরতে হয় পেছন থেকে ধরতে গেলে ব্যাংলাফ দিয়ে পালিয়ে যাবে। এর পর শেখালেন রান্নার কৌশল,কুনোব্যং খাওয়ার কুফল, ঘাউয়া ব্যাং এর উপকারিতা।
এক সপ্তাহের মাথায় অত্র এলাকায় বড় ব্যাং সাবাড়, এর পর ব্যাঙ্গের আকৃতি ছোট হতে লাগলো।
সংসারে সবাই একই হজম শক্তি নিয়ে আসে না। কোন এক গুণধর ছাত্র কথা টা হজম করতে না পেরে ভিসি স্যার এর কানে যাবার ব্যাবস্থা করলেন। ভিসি স্যার প্রথমটায় বিশ্বাস করতে চান নাই, এটা কিভাবে সম্ভব। পড়ে উনার নিযুক্তখাস পেয়ারা চর মারফতে নিশ্চিত হলেন আসলেই হলের ছাত্ররা ব্যাং ভোগি আর এর মুল নায়ক লিংকন ভাই।
স্যার লিংকন ভাইকে রুমে ডেকে একটা কথাই বললেন,”জানি ব্যং খেতে মানা করা আছে,এরকম কোন রুল নাই তারপরও আমার একটা কথা রেখো।বাবা দয়া করে আর ব্যাং খেয়োনা, এতে পরিবেশে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলবে।”

সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ৮:৩২
৬টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এতো কাঁদাও কেনো=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৫:০৬




আয়না হতে চেয়েছিলে আমার। মেনে নিয়ে কথা, তোমায় আয়না ভেবে বসি, দেখতে চাই তোমাতে আমি আর আমার সুখ দু:খ আনন্দ বেদনা। রোদ্দুরের আলোয় কিংবা রাতের আঁধারে আলোয় আলোকিত মনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগারেরা প্রেসিডেন্ট চুপ্পুমিয়াকে চান না, কিন্তু বিএনপি কেন চায়?

লিখেছেন সোনাগাজী, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৪



**** এখন থেকে ১৯ মিনিট পরে (বৃহ: রাত ১২'টায় ) আমার সেমিব্যান তুলে নেয়া হবে; সামুটিককে ধন্যবাদ। ****

***** আমাকে সেমিব্যান থেকে "জেনারেল" করা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিকাহের পরিবর্তে আল্লাহর হাদিসও মানা যায় না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪




সূরা: ৪ নিসা, ৮৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৮৭। আল্লাহ, তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নাই। তিনি তোমাদেরকে কেয়ামতের দিন একত্র করবেন, তাতে কোন সন্দেহ নাই। হাদিসে কে আল্লাহ থেকে বেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। পৃথিবীকে ঠান্ডা করতে ছিটানো হবে ৫০ লাখ টন হীরার গুঁড়ো

লিখেছেন শাহ আজিজ, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০২




জলবায়ূ পরিবর্তনের ফলে বেড়েছে তাপমাত্রা। এতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। তাই উত্তপ্ত এই পৃথিবীকে শীতল করার জন্য বায়ুমণ্ডলে ছড়ানো হতে পারে ৫০ লাখ টন হীরার ধূলিকণা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অচেনা মানুষ আপনাদের দীপাবলীর শুভেচ্ছা

লিখেছেন আজব লিংকন, ৩১ শে অক্টোবর, ২০২৪ রাত ১০:২১



আমারই বুকে না হয় শিবেরই বুকে
নাচো গো... ও নাচো গো...
পবন দা'র গলায় ভবা পাগলার গানটা কারা জানি ফুল ভলিউমে বাজিয়ে গেল। আহ.. সে সুরের টানে বুকের মাঝে সুখের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×