ডেটা এনালাইসিস
রেকর্ড এবং লোডশেডীংঃ ৯ এপ্রিল ২০১৬ দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় রেকর্ড সর্বোচ্চ— ৮৩৪৮ মেগাওয়াট। এর বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল সেদিন সর্বোচ্চ ৭৭৩০ মেগাওয়াট। আর উৎপাদন সক্ষমতা ১০৮৭৯ মেগাওয়াট। ১৮ এপ্রিল ২০১৬ ৭৩৬২ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উত্পাদন হয় ৮২৮৯ মেগাওয়াট, সারা দেশে ওইদিন ৮০০ মেগাওয়াট লোডশেডিং করতে হয়। সঞ্চালন ও বিতরণ সক্ষমতার অভাবে গ্রামাঞ্চলে পল্লী বিদ্যুতের কোনো কোনো সমিতি তাদের চাহিদার অর্ধেক বিদ্যুৎও পাচ্ছে না।
ক্যাপাসিটি বৃদ্ধির উচ্চ হারঃ ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বিদ্যুৎ এর ইন্সটল্ড ক্যাপাসিটি বাড়ে ৮৮ শতাংশ যার বিপরীতে প্রকৃত উৎপাদন বাড়ে ৬২ শতাংশ। অথচ সঞ্চালন ও বিতরণ লাইন বাড়ানো হয় যথাক্রমে ১৭ ও ১১ শতাংশ। একই ধারাবাহিকতা গত দুই বছরও অব্যাহত ছিল। বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি, বেসরকারি ও আমদানি মিলিয়ে স্থাপিত বিদ্যুৎ(ইন্সটল্ড ক্যাপাসিটি) সক্ষমতা ১২ হাজার ৩৩৯ মেগাওয়াট। তবে কিছু কেন্দ্রের সক্ষমতা কমে যাওয়ায় সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৭৪৪ মেগাওয়াট (ডি রেটেড ইন্সটল্ড ক্যাপাসিটি) সম্ভব।
কিন্তু নিয়মিতই ট্রান্সফরমার পুড়ে যাওয়ায় সাড়ে সাত হাজার মেগাওয়াটের বেশি সঞ্চালন ও বিতরণ সম্ভব হচ্ছে না। ২০২১ সালে বিদ্যুৎ উত্পাদন সক্ষমতা দাঁড়াবে ২৪ হাজার মেগাওয়াটে। সে সময় সর্বোচ্চ উত্পাদন দাঁড়াবে ১৭ হাজার ৩৩৪ মেগাওয়াট। সঞ্চালন ও বিতরণ সক্ষমতা না বাড়ালে ২০২১ সালে বিদ্যুৎ উত্পাদনক্ষমতার ২৫ শতাংশ অব্যবহূত থেকে যাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সঞ্চালন এবং বিতরন কাঠামোর সীমাবদ্ধতার চিত্রঃ তথ্য মতে, ২০০৯ সালের শুরুতে স্থাপিত বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ছিল ৫ হাজার ৪৫৩ মেগাওয়াট। ২০১৩ সালে তা দাঁড়ায় ১০ হাজার ২৬৪ মেগাওয়াট। একইভাবে ৪ হাজার ১৩০ থেকে সর্বোচ্চ উত্পাদন বেড়ে হয়েছে ৬ হাজার ৬৭৫ মেগাওয়াট। উত্পাদনে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া হলেও সঞ্চালন আর বিতরণ লাইনে তেমন গুরুত্ব দেয়া হয়নি। ৭ হাজার ৯৯১ সার্কিট কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন থেকে ২০১৩ সালে হয়েছে ৯ হাজার ৩২২ সার্কিট কিলোমিটার। ২০২১ সালে তা দাঁড়াবে ১৬ হাজার ৯৮৭ সার্কিট কিলোমিটারে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে নতুন সংযোগ দিয়েছে সরকার। এতে বিদ্যুতের সরবরাহ বাড়ায় ওভারলোডেড হয়ে পড়ছে বিভিন্ন কোম্পানি বা সংস্থার ট্রান্সফরমার। বর্তমানে প্রায় ১৮ শতাংশ ট্রান্সফরমার ওভারলোডেড অবস্থায় রয়েছে। চরম নাজুক হয়ে পড়েছে বিতরণ ব্যবস্থা। প্রায়ই পুড়ে যাচ্ছে ট্রান্সফরমার। অনেক এলাকায় বন্ধ হয়ে আছে নতুন সংযোগ প্রদান।
ট্রান্সফরমার ক্যাপাসিটিঃ এদিকে দেশে মোট ট্রান্সফরমারের সংখ্যা প্রায় আট লাখ। এর মধ্যে ওভারলোডেড অবস্থায় আছে এক লাখের কিছু বেশি। সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় আছে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)। এ প্রতিষ্ঠানের ওভারলোডেড ট্রান্সফরমার ১৮ দশমিক ১২ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন সমিতির আওতায় নতুন সংযোগ প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছে। আরইবির ৬ লাখ ৪৮ হাজার ৬১৬টি ট্রান্সফরমারের মধ্যে ১ লাখ ১৭ হাজার ৫৩৮টি ওভারলোডেড।
ক্যাপাসিটি চার্জঃ সরাসরি ভর্তুকি (ক্যাপাসিটি চার্জ এবং উচ্চ দামের গ্যারান্টি ক্লজ - দলীয় ব্যবসায়ীর অনুকূলে) দিয়ে উৎপাদন এর ইন্সটল্ড ক্যাপাসিট বাড়ানো হয়েছে যার ১১৭৪৪-৮৩৪৮ (ডি রেটেড ইন্সটল্ড ক্যাপ্যাসিটি-রেকর্ড উৎপাদন)=৩৩৯৬ মেগা ওয়াট, সঞ্চালন এবং বিতরণের অবকাঠামোর কারনে অপ্রযোজনীয় অথবা আইডোল। তথাপি ৩৩৯৬ মেগা ওয়াট এর অনুকূলে বেসরকারি খাতে ক্যাপাসিটি চার্জ দিতে হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে যানা গেছে, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ডিসেম্বরের প্রায় পুরো সময়ই সামিট মেঘনাঘাট কেন্দ্রটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। ওই সময় মাত্র ১ লাখ ৮০ হাজার কিলোওয়াট ঘণ্টা বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় কেন্দ্রটিতে। তবে চুক্তির শর্তের কারণে বসিয়ে রেখেও বিদ্যুৎকেন্দ্রটির ক্যাপাসিটি চার্জ পরিশোধ করতে হয় পিডিবিকে। ফলে ওই মাসে ইউনিটপ্রতি বিদ্যুতের দাম পড়ে ৬৭৭ টাকা ৮০ পয়সা। এছাড়া অর্থবছরের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার মাসে কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কেনায় ইউনিটপ্রতি খরচ হয় যথাক্রমে ৩০ টাকা ৬৫ পয়সা, ৩২ টাকা ৩৮ পয়সা, ৩৪ টাকা ৭০ পয়সা ও ৪১ টাকা ২০ পয়সা। তবে অর্থবছরের পরের ছয় মাস (জানুয়ারি-জুন) কেন্দ্রটি থেকে বিদ্যুৎ কেনায় ব্যয় কিছুটা কম হয়।
বিদ্যুৎ চাহিদার গ্রোথ – উৎপাদনে নিন্ম মেইন্টেইনেন্স সক্ষমতা চাহিদা বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক
ইন্সটল্ড মেশিনারির মানঃ ২০১৫ তে রেকর্ড উৎপাদনের এর দিনে উৎপাদন ইন্সটল্ড প্ল্যান্ট ক্যাপাসিটি এবং ডি-রেটেড ইন্সটল্ড প্ল্যান্ট ক্যাপাসিটির যথাক্রমে ৬৮,৮৫% ও ৭২.৫%। এটা সম্ভবত ইন্সটল্ড হার্ডোয়ারের কিছুটা মানের নির্দেশক।
১।অতি বেশি সংখ্যক প্ল্যান্ট দিয়ে কম বিদ্যুৎ উতপাদনঃ ১৩ আগস্ট ২০১৫ ইং তারিখে ৮১৭৭ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উতপাদনে মোট ১০৮ টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র লেগেছে। (লং টার্ম মেইন্টেনেন্স এর আওতাধীন ৯ টি প্ল্যান্ট সহ মোট ১৬টি কেন্দ্র উৎপাদনে যায়নি কিংবা বন্ধ ছিল, মোট প্ল্যান্ট হিসেবে এই সংখ্যা ১১৭)। জ্বালানী ইফেসিয়েন্সি, ক্যাপেক্স এবং ওপেক্স সকল কস্ট হিসেবে এত অধিক সংখ্যক প্ল্যান্টের এর মাধ্যমে মাত্র ৮১৭৭ মেগা ওয়াট ডেলিভারি আন্তর্জাতিক স্টান্ডার্ড এ ঠিক কোন অবস্থানে রয়েছে, সেটা বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড এর ইভালূয়েশন করাটা গুরুত্বপুর্ন।
গ্রাফ- ইন্সটল্ড এবং ডি-রেটেড ক্যাপাসিটির সাথে ইভনিং পিক এর ডিফারেন্স (ভার্টিক্যাল এক্সিস প্ল্যান্ট সংখ্যা নির্দেশ করে)
২। নিন্ম উৎপাদন ইফিসিয়েন্সি জোনঃ ঢাকা খুলনা সিলেট রংপুর জোনের ইন্সটল্ড ক্যাপাসিটি তো বটেই ডি-রেটেড ক্যাপাসিটির তুলনায়ও ইভনিং পিক যথেষ্ঠ কম! এটা এই জোন গুলোর নিন্ম উৎপাদন ইফিসিয়েন্সি কিংবা নিন্ম মেইন্টেনেন্স ইফিসিয়েন্সি নির্দেশক।
৩। ভালো উৎপাদন ইফিসিয়েন্সি জোনঃ বরিশাল (১ম) এবং রাজশাহী (২য়) জোনের একচুয়াল উৎপাদন ইন্সটল্ড কিংবা ডি-রেটেড ক্যাপাসিটির খুব কাছাকাছি, যা এই কেন্দ্র গুলোর বা জোনের উৎপাদন ইফিসিয়েন্সি কিংবা উচ্চ মেইন্টেনেন্স ইফিসিয়েন্সি নির্দেশক। এই ধরনের সক্ষমতা আনয়ন এবং সময়ের সাথে তা ধরে রাখা জোন গুলোর জন্য চ্যালেঞ্জ।
৪। হতাশা জনক চিত্রঃ কুমিল্লা জোনে ২০ টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে ৬৪,১৫ মেগাওয়াট করে উৎপাদন করছে। জ্বালানী ইফেসিয়েন্সি, ক্যাপেক্স এবং ওপেক্স সকল কস্ট হিসেবেই এত বেশি ছোট ছোট কেন্দ্রের উপস্থিতির এই চিত্র খুব হতাশা জনক। রাজশাহী জোনে ১৩টি প্ল্যান্ট গড়ে ৫৮.৬৯ মেগাওয়াট করে উৎপাদন করছে। এর বাইরে অন্তত আরো ৮টি বিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন সক্ষমতা এবং ইভনিং পিক ডেলিভারির পার্থক্য ছোখে পড়ার মত!
রেকর্ডের ডেটার বাইরে আসলে দেখা যাবে, অতি নিন্ম প্ল্যান্ট ফ্যাক্টর (১০০ ঘন্টায় যতক্ষণ প্ল্যান্ট প্রোডাকশনে থাকে) এর কারনে উৎপাদনই চাহিদা বৃদ্ধির প্রতিবন্ধক।
বিদ্যুৎ চাহিদার গ্রোথ – পিক এবং অফ পিকের পার্থক্য
বেইজ লোডঃ ১৩ আগস্ট ২০১৫ ইং তারিখের সামার পিক রেকর্ডের দিনে ৮,১৭৭ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের এর বিপরীতে বিদ্যুতের চাহিদা বলা হয়েছে সেদিন সর্বোচ্চ ৭৭৩০ মেগাওয়াট। ডেটা এনালাইসিসে দেখা যায় একই দিনে ডে অফ পিক ৬৬০০ মেগাওয়াট যা একটি খুবই গুরুত্ব পুর্ন নির্দেশক।
অর্থাৎ ঐ দিনে বাংলাদেশের বেইজ লোড ৬৬০০ মেগাওয়াট। তবে সাম্প্রতিক ডেটায় বেইজ লোড ৭০০০ মেগাওয়াটের কাছাকাছি। মানে পুরো সঞ্চালন সক্ষম লোডই বেইজ লোড এবং পিক লোড ডেটা হচ্ছে একটা ক্লিপ অফ লিমিট যা বাড়তে পারছে না।
২৪ এপ্রিল ২০১৬ এর বেইজ লোড (অফ পিক লোড)
পিক অফ পিকের ব্যবধান না থাকাঃ
একটি দেশে যেখানে শেষ রাতে কিংবা ভোর রাতের উপযোগী ইন্ডাস্ট্রিয়াল ওয়ার্ক শিফট নেই (হ্যাঁ লেইট ইভনিং কাজ হয়), লার্জ স্কেইল এগ্রি-মিট-ফিশারিজ চিলার বা কন্ডিশনিং নেই সেখানে অফ পিক যদি এত পিকের কাছাকাছি হয় তাহলে এটাই ধর্তব্য যে এই চাহিদার উল্লেখযোগ্য অংশ হোম এপ্লায়েন্স নির্ভর। সুতরাং পিক চাহিদার হিসেবটা প্রশ্নযুক্ত এবং টেকনিক্যালি নন এক্সেপ্টেবল। এমতাবস্থায় পিক অফ পিকের ব্যবধান না থাকা চাহিদার বিকাশের বাধাগ্রস্ততাকেই নির্দেশ করে।
শুধু রেকর্ডের দিনের হিসেবে ১৭ কোটি জনসংখ্যার জন্য ৮৩৪৮ মেগাওয়াট (জনপ্রতি মাত্র অনুর্ধ ৪৯.১২ ওয়াট) এর বিদ্যুৎ চাহিদা একটি বিকাশমান অর্থিনিতিকে রিপ্রেজেন্ট করে না। গ্রোথ স্কোপ দিলে এই মান নূন্যতম তিনগুন পৌঁছাতে পারে এই সময়েই।
বিদ্যুৎ চাহিদার গ্রোথ - ম্যাক্রো ইকোনোমিক ভ্যারিয়বল
১। ন্যাশনাল সঞ্চালন আবকাঠামোর ক্যাপাসিটি,
২। গ্রামীণ সঞ্চালন সিস্টেম এর অপ্রতুলতা,
৩। অপ্রতুল রুরাল এবং আর্বান ডিস্ট্রিবিউশন নেটোয়ার্ক,
৪।আর্থিক নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজি,
৫। সাধারণ গ্রাহক পর্যায়ে উচ্চ মূল্য,
৬। আন্তর্জাতিক দামের তুলনায় শিল্প বিদ্যুৎ এর অতি উচ্চ মূল্য,
৭। নতুন লাইন আবেদনে ঘুষ- দুর্নিতির সংযোগ,
৮। আমলাতান্ত্রিক বিলম্ব ও জটিলতা,
৯। শিল্প বিস্তারে জমির অভাব এবং উচ্চ মূল্য,
১০। বৈরি রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং অনিশ্চয়তা,
১১। বিরোধী এবং প্রতিদ্ধন্দি পক্ষের উপর অর্থনৈতিক নিপীড়ন,
১২। নিরবিচ্চিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের অভাব,
১৩। কালো টাকা তৈরির সহজ বাজেটীয় কাঠামো
ইত্যাদি মোটা দাগের ম্যাক্রো ইকোনোমিক ভ্যারিয়বল বিদ্যুৎ চাহিদার লাগাম টেনে রেখেছে।
বিদ্যুৎ চাহিদার গ্রোথ ডাইমেনশনিং টুল
বাংলাদেশে বিদ্যুৎ চাহিদার সংজ্ঞা নির্ধারণ হয়নি এবং এর পরিমাপ পদ্ধতি হাইপোথেটিক্যাল।এখানে সংশ্লিষ্ট ইন্সটিটিউট সমূহের ব্যাপক ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন কাজ করে চাহিদা বিকাশের সঞ্চালন এবং বিতরণ বাঁধা দূর করতে হবে। সেই সাথে উচ্চ মান সম্পন্ন সফটওয়্যার টুল ডেভেলপ করে ডিমান্ড ফোরকাস্টের গাণিতিক ডিরাইভেশন তৈরির পথ উন্মুক্ত করতে হবে।
সেই সাথে ম্যাক্রো ইকোনোমিক ভ্যারিয়বল এবং এতদসংক্রান্ত ব্যারিয়ার গুলো উন্মুক্ত করলে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ চাহিদার বুম দেখা যাবে যা দেশের অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে অভাবনীয় মাত্রার যোগ দিবে।
লোড ডিমান্ডকে আঞ্চলিক (ইন্ডাস্ট্রিয়াল, আর্বান এবং রুরাল) চাহিদা মোতাবেক, আবাসন- কর্পোরেট-এস এম ই এবং ইন্ডাস্ট্রিয়াল চাহিদা মোতাবেক ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ক্লাসিফাইড করে আলাদা আলাদা গ্রোথ ফ্যাক্টর সহ নির্ণয় করতে হবে। ভোর রাতে পিউর ইন্ডাস্ট্রিয়াল লোড এর ডেটা এনালাইসিস করে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিমান্ড এর পিক এবং অফ পিক এবং এদের ট্রেন্ড এনালাইসিস করে তার গ্রোথ বের করতে হবে। এই বহুবিধ লোড ট্রেন্ড গুলোর সমন্বয়ে দেশের চূড়ান্ত বিদ্যুৎ (তড়িৎ প্রবাহ) চাহিদা এবং চাহিদার ট্রেন্ড বের করার এক্সসিলেন্স অর্জন করতে হবে। এই আঞ্চলিক, ডোমেইন এবং কেন্দ্রীয় ডিমান্ড এবং ডিমান্ড ট্রেন্ড গুলোর আলোকে যথাযথ ডাইমেনশনিং অনুযায়ী দেশের বিদ্যুৎ উতপাদন-সঞ্চালন-বিপণন ব্যবস্থার সমন্বিত ডেভেলপমেন্ট এর মহা পরিকল্পনা এগিয়ে নিতে হবে। শুধু মাত্র এই ধরনের সমন্বিত উন্নইয়নকেই বিদ্যুৎ খাতে টেকসই উন্নয়ন বলা যাবে।
বিদ্যুৎ খাতের মৌলিক আবকাঠামো গুলোর বিকাশ "সমন্বিত এবং টেকসই" হোক।
বাংলাদেশ এগিয়ে যাক!
সোর্সঃ
http://www.bonikbarta.com/news/deta...
http://www.bonikbarta.com/2016-04-2...
http://www.somewhereinblog.net/blog...
http://www.pgcb.org.bd/
http://www.bpdb.gov.bd
http://www.bonikbarta.com/news/details/67865.html
Data processing-BPDB Daily Generation Report of 2015-08-13
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১২:২৪