রাজধানীর দক্ষিণখানের একটি ক্লিনিকে সাজিয়া আরেফিন (২৭) নামের এক কসাই খুন হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে ক্লিনিকে তাঁর লাশ পাওয়া যায়। পুলিশ এ ঘটনায় কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সাজিয়া দক্ষিণখানের নোয়াপাড়া আমতলার ওই ক্লিনিকের খণ্ডকালীন কসাই ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার ওই ক্লিনিকে তাঁর রাতের পালায় দায়িত্ব ছিল। কাজ শেষে রাত ১২টার দিকে ওই ক্লিনিকের বিশ্রামাগারে ঘুমাতে যান তিনি। সকালে ক্লিনিকের অন্য কর্মচারীরা এসে তাঁর লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন।
দক্ষিণখান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম সরোয়ার প্রথম আলো ডটকমকে বলেন, চার তলা ভবনের প্রথম তিন তলায় ক্লিনিক। তিন তলায় কসাইদের বিশ্রামাগার। সেখানে একটি বিছানায় নিথর পড়ে ছিল সাজিয়ার লাশ। তাঁর কপালে রক্তাক্ত জখম ও গলায় আঘাতের চিহ্ন আছে। ধারণা করা হচ্ছে, পূর্বপরিকল্পিতভাবে আঘাত ও শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
এসআই গোলাম সরোয়ার বলেন, ওই বাড়ির মালিক মমিন মিয়া থাকেন চার তলায়। ঘটনা সম্পর্কে তিনি কিছুই বলতে পারেননি। তবে সন্দেহ হওয়ায় তাঁর ছেলে মো. কাওসারসহ দু-এককজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন সাজিয়া। তিন মাস হলো তিনি ব্র্যাকে খণ্ডকালীন চিকিত্সক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। বাবার নাম মনিরুল ইসলাম।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১১:৪৯