সুরঞ্জিত বাবু কোনো এক সময় বলছিলেন, "বাঘে ধরলেও ছাড়ে কিন্তু হাসিনা ধরলে ছাড়েনা" - সুরু বাবু এইবার মনে হয় কথাটার মর্মার্থ পুরাপুরি বুঝতে পারবেন। এই জিনিসটও চিন্তা করা দরকার। সব মন্ত্রী কোটি কোটি টাকা মাইরা পার পেয়ে গেলো সুরু বাবু কেন ধরা খাইলেন। একবার চিন্তা কইরা দেখেনতো গুপ্ত বাবু ধরা খাইলেন নাকি তাকে ধরা খাওয়াও দেওয়া হল?
যদি ধরা খাইয়া থাকেন তা হলে কিছু কওনের নাই। আর যদি ধরা খাওয়াও দেওয়া হয় তা হলে চিন্তা করার বিষয় কে এবং কেন কাজটা করল। আর এইটা চিন্তা করতে গেলে বুবু/আপাকে সন্দেহের উর্ধে রাখা যাবেনা।
এখন অনেকে বলতে পারে তাতে হাছিনার লাভ কি?
প্রথম লাভ: হাছিনার মন্ত্রী সভার দূর্নিতি এখন মোটামুটি সর্বজন স্বৃকৃত। এর সুরু বাবুকে বলির পাঠা বানায় মন্ত্রী সভা থেকে বাদ দিয়া কইতে পারব "দেখ আমি দূর্নিতি প্রশ্রয় দেইনা - সুরু বাবুরে যেমন দূর্নিতির জন্য বাদ দিছি তেমনি বাকিদেরও দূর্নিতি দেখলে বাদ দিতাম " - তার মানে বাকিরা সবাই ধুয়া তুলসি পাতা।
দ্বিতীয় লাভ: যদি আবার ১/১১ এর মত কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়/তৈরি করা হয় তা হলে প্রধান ৪ সংসকার পন্থীর (রাজ্জাক, তোফায়েল, আমু, সুরু বাবু ) অন্তত ২ টার (১ জন মরে বাচছে ) হাত থেকে বাচার ব্যাবস্থা করছে। কারন এই ঘটনার পরে বাআলের কর্মী-সমর্থকরা আর এদের পিছে দাড়াবে বলে মনে হয় না। আর বাকি ২ জনও নতুন করে কিছু করার সাহস করবে বলে মনে হয়না।
পরিশেষে বলি "বাঘে ধরলেও ছাড়ে কিন্তু হাসিনা ধরলে ছাড়েনা"