somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঋণ: ক্ষুদ্র, ভারতীয়, রক্তাক্ত

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শ্রমিকগুলো কেন ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে সুখে থাকে না, কেন তারা গার্মেন্টের দাসখানায় মরতে আসে? কেন শ্রমিকদের টাকায় মালিকরা শিল্পপুলিশ বানায় আর শ্রমিকেরা সমিতি পর্যন্ত বানাতে পারে না? কেন ভদ্রলোকেরা তাদের জন্য মরার ছাড়া আর সব দরজা বন্ধ রাখে?কেন ভূমিহীন খাসজমির অধিকার পায় না, কিন্তু ক্ষৃদ্রঋণ পায়? গ্কেন অর্থনীতিবিদ আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অর্থনীতি বিভাগ গবেষণা করে দেখায় না, হে ক্ষুদ্রঋণ! কত যে তোমায় বেসেছি ভাল, দেশবাসী যদি জানতো? কেন বুদ্ধিজীবীরা চোখ বুজে কলাম লিখে বলে দিতে পারে, ক্ষুদ্রঋণ মহান? কোন তারা যাদুবলে এই এক বটিকা দিয়েই দারিদ্র্যমুক্তি, নারীমুক্তি, যৌতুক লোপ, মৌলবাদ দূরসহ সমস্ত শোষণ-বঞ্চনার অবসান ঘটাতে চায়? কেন তারা তথ্যপ্রমাণ, পরিসংখ্যান, গবেষণাহীন মৌলবাদী বিশ্বাসে আরাম পায়? কেন তারা রাজসিক ঊর্ধ্বলোকের কোনো কথাতেই অবিশ্বাস করে না, অবিশ্বাস করে ক্ষুধার্তের কান্নাকে? কেন তারা যার যার কাজের লোককে জিজ্ঞাসা করে না, সে কেন গ্রাম ছেড়ে চকানি করে? কেন মিডিয়াগুলো খুচরো দুর্নীতি নিয়ে এত কথা বলে, অথচ বিরাট বিরাট টেলি-ঋণ বাণিজ্য নিয়ে কিছু বলে না? কেন বিদেশের দেওয়া ২% সুদ, গ্রামীণ স্পর্শে ৪০ পর্যন্ত হয়ে যায়? কেন বুদ্ধিজীবীরা ক্ষুদ্রঋণের সাফল্যের পক্ষে একটি নোবেল আর মহাজনের গলাবাজি ছাড়া কোনো জরিপ বা প্রমাণ দেখাতে পারে না? কোনো মধ্যবিত্ত ব্যবসায়ী ৩০-৪০ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে লাভ করাকে দুঃস্বপ্ন ভাবলেও গরিবকে কেন সেই স্বপ্ন দেখানো চলতে থাকে? কেন তারা স্বীকার করে না, শত কোটি নারীর ঘুমন্ত শ্রমকে বাজারের মধ্যে টেনে এনে শোষণের বৈপ্লবিক টোপ হলো ক্ষুদ্রঋণ? তারা কি জানে না, শোষণের নতুন একটি মহাদেশ সৃষ্টি, দখল ও নিঃশেষ করার পথ দেখানো পুজিবাদের জন্য কত বড় আবিষ্কার? পুজিঁবাদ উদ্বৃত্ত মূল্য শোষণের কথা জানতো, ইউনূস দেখালেন উদ্বৃত্ত শ্রমশোষণের পথ: শতকোটি নারীর ঘুমন্ত শ্রম জেগেই বন্দি হয়ে গেল। তাহলে, বড়লোকের, বড় দেশের বড় ব্যবসা কেন সেবা? কেন ভারতীয় ঋণ মানে সুদসহ পুরো টাকা ভারতের হাতে ভারতের জন্য ভারতীয় পণ্য কিনে খরচ হলে তার নাম কইয়ের তেলে কই ভাজা হবে না? কেন আমদের নদী-সমুদ্র-সীমান্ত-পণ্য-মানুষ বন্ধ কাঁটাতার আর কেন তোমার জন্য সবকিছু কাছাখোলা? কেন বলিউড তারকারা আমাদের এত ভালবাসে? কেন রাজা-রানী যখন ঢাকা মাতায় তখন এক্সিম ব্যাংকের নাদিম মহাজন বাংলাদেশকে শাসায়?

কেন ছোটোলোক বারেবারে মরে আর গায়, ''না, না, না, তোমাদের এ ই ঋণ কোনোদিন শোধ হবে না।’'

ক্ষুদ্র ঋণে আর ভারতীয় দানে স্বাধীনতার রক্তঋণ শোধ হয়ে গেছে না কি?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:৩৬
৬টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বর্ণচোখ

লিখেছেন শাম্মী নূর-এ-আলম রাজু, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ ভোর ৬:৩৮


(ষড়ঋপু সিরিজের তৃতীয় কাহিনি — লোভ)

⸻ সতর্কীকরণ: ছায়া পড়লে আলোও কাঁপে ⸻

এই কাহিনি কেবল একটি গল্প নয়। এটি এক মানসিক প্রতিচ্ছবি, যেখানে লুকিয়ে আছে মানব আত্মার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এসব লুটপাটের শেষ কোথায়!

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১২:১৮

আধা লিটারের পানির বোতল দোকানদার কেনে সর্বোচ্চ ১২.৫০ টাকায় আর ভোক্তার কাছে বিক্রি করে ২০ টাকা। এগুলো কি ডাকাতি না?

গোপন সূত্রে যতটুকু জানা যায়,
প্রাণ ৮.৫ টাকা কেনা
ফ্রেশ ১০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। চারুকলায় আগুনে পুড়ে গেল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ দুপুর ১:৪৭

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্‌যাপনের জন্য বানানো দুটি মোটিফ আগুনে পুড়ে গেছে। এর মধ্যে একটি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি ও আরেকটি শান্তির পায়রা।



আজ শনিবার সকালে চারুকলা অনুষদে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা....

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:২৬

ঘোষণাপত্র ও অঙ্গীকারনামা
March for Gaza | ঢাকা | ২০২৫

বিসমিল্লাহির রাহমানীর রাহীম
আল্লাহর নামে শুরু করছি
যিনি পরাক্রমশালী, যিনি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠাকারী,
যিনি মজলুমের পাশে থাকেন, আর জালেমের পরিণতি নির্ধারণ করেন।

আজ আমরা, বাংলাদেশের জনতা—যারা জুলুমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডক্টর ইউনুস জনপ্রিয় হয়ে থাকলে দ্রুত নির্বাচনে সমস্যা কি?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১২ ই এপ্রিল, ২০২৫ রাত ৮:৪১



অনেকেই ডক্টর ইউনুসের পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকার কথা বলছেন। এর জন্য সবচেয়ে ভালো উপায় নির্বাচন। আদালত যেহেতু তত্ত্বাবধায়ক ব্যবস্থা বহাল করেছে সেহেতু ডক্টর ইউনুস তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা... ...বাকিটুকু পড়ুন

×