কাদের মোল্লার শাস্তিকে কেন্দ্র করে শাহবাগে সমাবেশ শুরু হয়েছিল; প্রথমিকভাবে, ফলাফল পাওয়া গেছে, সাফল্য আছে। শাস্তিই যদি আসল চাওয়া হয়, তা'হলে সময়ের সাথে আন্দোলনের তীব্রতা কমে আসবে! আন্দোলন চলাকালে নতুন ঘটনা যোগ হলে, আবার কিছু তীব্রতা বাড়বে।
তবে, শুধু শাস্তিকে কেন্দ্র করে এ জাগরণ সৃস্টি হয়নি; আসলে ৪২ বছরের ক্ষোভ মানুষের বুকে জমে আছে, সে ক্ষোভের প্রকাশ ঘটছে শাহবাগে। যাদের বয়স ৬০ বছরের নীচে, বাংলাদেশ সম্পর্কে তাদের ভাবনা ও যাদের বয়স ৬০ বছরের উপরে তাদের বাংলাদেশ ভাবনা এক নয়; তবে, শাহবাগে এখনো সবার ভাবনা এক মনে হলেও, তা বেশীদিন এক থাকবে না।
যারা যুদ্ধ দেখেনি, বা যুদ্ধকালীন সময়ে জাতির ভাবনাকে সঠিকভাবে বুঝেনি তাদের চাওয়ার সাথে যুদ্ধকালীন মানুষের চাওয়া ও ভাবনা মিলবে না; ফলে, শীঘ্রই এসব ব্যাপারে কথা হবে!
এটা সঠিক যে, স্বাধীনতার পর জাতি যে উন্নয়নটুকু করতে পেরেছে, পাকিস্তান হলে তা সম্ভব হতো না; কিন্তু যে উন্নয়ন হয়েছে, সেটুকু করতে গিয়ে জাতি অনেক কঠিন সমস্যার জন্ম দিয়েছে; তা সবাই না দেখলেও, জাতির একটা অংশ তা বুঝে; যারা এ ব্যাপারটা বুঝে, তারাও কথা বলবে।
এখন দরকার, সবার ভাবনার সমন্ময় সাধন করা; যারা আসছে, তাদের ভাবনাকে সংযুক্ত করতে না পারলে, এ জাগরণ সময়ের সাথে কোন সার্থক ফলাফল ব্যতিত স্তিমিত হয়ে যাবে!
অনেককে বলেছেন, আসুন এক একটা সমস্যা নিয়ে সামনে যাই; সমস্যা সমাধানের জন্য এ ধরণের পদক্ষেপ শুধু কোন প্রতিস্ঠান নিতে পারে; গণ জাগরণ যে নিয়ম মানতে পারে না, সেখানে বহু মনের বহু ভাবনাকে একই সময়ে স্হান দিতে হয়!