বন্ধুরা, যখন তোমরা প্রথমবার শাহবাগে পা দিয়েছ, গোলাম আজম, মুজাহিদ, সাইদীর ফাঁসি হয়ে গেছে; তাদের রক্ষা নেই আর; কাদের মোল্লারও ফাঁসি হয়ে গেছে, সে আর বের হতে পারবে না। কিন্তু মীর কাশেম আলী ও সাকার ফাঁসী না হওয়ার সম্ভাবনা এখনো থেকে যাচ্ছে; কেন, তা তোমা ভেবে দেখিও!
এখন তোমাদের আরেকটা বিষয়ে ভাবতে অনুরোধ করতে চাই, তোমরা জান, ৯০ হাজার মুক্তিযোদ্ধার মাঝে প্রায় ৪০/৫০ হাজার ছিল চাকুরীবিহীন গ্রামের মানুষ; এদের একাংশ বিপদে পড়ে রিক্সা চালায়েছে, বুড়ো বয়সে ভিক্ষা করেছে; কেন এ অবস্হা হয়েছিল, তা তোমাদের অজানা নয়! আজ যখন শাহবাগে এসেছ, এটা নিয়েও ভাবো!
যুদ্ধে পরাজিত হওয়ার পর কোন রাজাকার কোনদিন ভিক্ষা করেনি, রিক্সা চালায়নি; আজও তারা টাকা পায়! ভেবে দেখ, কোথা থেকে সে টাকা আসে! ভেবে দেখ, বাংলাদেশের ফাইন্যান্সের নার্ভ সেন্টারগুলো: ব্যাংক, ইনসিওরেন্স, এডুকেশন, ঔষধ, হাসপাতাল কারা কিভাবে দখল করেছে? শুধু কাদের মোল্লার ফাঁসী, শহীদদের প্রতি আমাদের দায়িত্বের আংশিক পুরণ মাত্র। কিন্তু যারা আমাদের অর্থনীতি দখল করেছে, তাদের থেকে মুক্ত হতে হলে, আমাদিগকে আমাদের অর্থনীতির নার্ভগুলো মুক্ত করতে হবে!