মলিন একটা দিন বিমর্ষ ভোরের ভেতর জেগে ওঠে
ছন্নছাড়া একটা ব্যাগ কাঁধে ফেলে জীর্ণশীর্ণ কবি এক
সূর্যকে প্রার্থনা করে বৃষ্টির ফুল, যেখানে কবিতারা
থরে থরে বীজ বুনে রাখে, সুগন্ধি গাছের
আমি সেই সংশপ্তক কবি, মুকুরে দগদগে স্মৃতির ঘা
ভাটির মোহনায় আমাকে ভাসিয়ে নিয়ে যায় পাষাণী নদী
তবু আমি তেড়ে আসি উজানের বরাভয়ে, নন্দিত লালসায়
জীবন আমাকে টানে, অনাঘ্রাত কবিতাকাননে
শঙ্খিনি, তোমাকে ভুলি নি, তাই ভুলি নি কবিতাকে
তোমার বাহুবন্ধ প্রেম অতীতকে ফালি ফালি কাটে
আমার হৃৎপিণ্ড কাটে, ফালি ফালি কাটে তোমার ‘আমাকে’
তবু আমি জেগে উঠি বারংবার, প্রতিটা সুবর্ণ প্রত্যুষে
শঙ্খিনি, আমি সেই সংশপ্তক কবি, তোমার পদ্মপদে
গোপনে রেখে যাই কবিতার ডালি, হয়ত-বা অনবধানে হলেও
একদিন তোমার চোখটি পড়ে যেতে পারে সেখানে
শঙ্খিনি, হে মহীয়সী, কবিতার ঈশ্বরিনী,
আমাকে দেবে না বর?
১৪ মার্চ ২০২২
ফুটনোট :
আহমেদ জী এস ভাই ঠিকই বলেছেন, এবং আপনারাও ইতোমধ্যে জেনে গেছেন যে, গানই আমার একটা প্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই নেশা কবে কাটবে জানি না। তবে, যখন যে নেশায় আটকে যাই, সেটাকে ফলপ্রসূ ভাবে কাজে লাগাতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ। গানকে শিল্পের একটা শাখা হিসাবে বিবেচনায় নিলে আমার সময়টা যে খুব নষ্ট হচ্ছে, তা না। তবে সাহিত্যে আমি আগের চাইতে আরো পিছিয়ে পড়ছি, সেটা অবশ্য ধ্রুবসত্য। গল্প বা কবিতার অনেক প্লট মাথায় গিজগিজ করছে, কিন্তু গানের কারণে সেগুলো চাপা পড়ে যাচ্ছে, বা হারিয়ে যাচ্ছে। সম্ভব হলে কিছু টুকে রাখি। আজকের এ কবিতাটা শুরু করেছিলাম ১৪ মার্চে। কোথাও শেয়ারও করেছি। আজ এটাকে চূড়ান্ত করলাম আমারআগের পোস্টে আহমেদ জী এস ভাইয়ের কমেন্ট পড়ে। তাঁর সম্মানার্থেই এ কবিতাটা আজ শেয়ার করলাম, যদিও অন্য একটা চটুল পোস্ট লেখার কথা ছিল আজ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মার্চ, ২০২২ রাত ১০:০১