এর আগে এই গানটা যথারীতি খালি গলায়ই হোম-স্টুডিয়োতে রেকর্ড করা হয়েছিল। তো, গত কয়েকদিন ধরে একটা অনুষ্ঠানের প্র্যাক্টিস হচ্ছে। সেখানে সুযোগ পেলেই মিউজিশিয়ানদের রিকোয়েস্ট করি, আমার এ গানটার একটা মিউজিক তুলে দিন তো! আজকের প্র্যাক্টিস শেষ। তাড়াহুড়ো করছি, বাসায় আসবো। মিউজিশিয়ানদের এ গানটার কথা বলার সাথে সাথেই তারা বললেন, আগে একটা ড্রাই প্র্যাক্টিস করেন, সুরটা একটা শুনে নেই। কিন্তু অত সময় হাতে নেই বলে বললাম, আমি গানটা শুরু করলাম। আপনারা যা পারেন, যেভাবে পারেন, যতটুকু পারেন শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকটা তুলুন, শুধু ফ্ল্যাট মিউজিক হলেও চলবে।
মিউজিশিয়ানদের প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হইয়া গেলাম। গানের শুরুটা (মুখ) শুরু করার পরই খেয়াল করলাম, তারা সুর ধরে ফেলেছেন এবং মিউজিকও তুলে ফেলতেছেন। অর্ধেক, মানে প্রথম অন্তরা গাওয়ার পর মনে হইল, আরে বাহ, আমার গান গাওয়া বন্ধ করে মিউজিশিয়ানদের মিউজিকটা রেকর্ড করলেই তো বরং সেটা আরো মধুর শোনাবে!
মোবাইলের ভয়েস রেকর্ডার অন করে রাখলাম। ভয়েস ভালো না এলেও মিউজিকটা ভালো এসেছে। ওভারঅল, এটা কোনো প্রেফেশনাল রেকর্ডিং না। কাজেই সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো হবে, তা আশা করি না। কিন্তু, আমি অবাক হচ্ছিলাম, শেষের দিকে মিউজিকের সুর-মূর্ছনা এতই তন্ময়তা সৃষ্টি করলো যে, আমি যেন একটা ঘোরের মধ্যে ঢুকে গেলাম। রেকর্ডিং ভালো না হওয়ায় অবশ্য সেই মিষ্টতা অনেকখানিই মিস করবো।
--
অনেক আগেই লেখা ও সুর করা, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭-তে। এক অন্তরার গান। পরের অন্তরা আর লেখা হয় নাই। দরকারও নাই। এক অন্তরায়ই সম্পূর্ণ হইয়া গেছে গানটা।
আমার মন দিলাম প্রাণ দিলাম
দিলাম সর্বস্ব
বন্ধু আমায় বিনিময়ে দিল কলঙ্ক
বিনিময়ে দিল কলঙ্ক
ও বন্ধুরে
বন্ধু আমার জানলো না তো হায়
অন্তর আমার পুড়ে সদাই চলার আগুনে
বন্ধু আমায় বিনিময়ে দিল কলঙ্ক
বন্ধুর লাইগা পরাণ আমার ক্ষইয়া ক্ষইয়া যায়
ক্ষইয়া ক্ষইয়া যায়
বন্ধু আমায় বিনিময়ে দিল কলঙ্ক
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এবার মিউজিকসহ গাওয়া গানটি শুনুন।
লিংক : আমার মন দিলাম, প্রাণ দিলাম, দিলাম সর্বস্ব
তার আগে খালি গলায় গাওয়া গানটিও শুনতে পারেন। এখানে অবশ্য ভয়েস ক্লিয়ার।
লিংক : আমার মন দিলাম, প্রাণ দিলাম, দিলাম সর্বস্ব - খালি গলায় গাওয়া
হোম-স্টুডিয়ো কী? মোবাইলে একেবারে আনাড়ি রেকর্ডিং, যা ঘরে বসে যে-কোনো অবস্থায়, দাঁড়ানো, দৌড়ানো, বসা, শোয়া, খাওয়ার সময়, এমনকি ঘুমন্ত অবস্থায়ও রেকর্ডিং করা হয়। তবে, আমার ছেলেমেয়েরা তাদের উন্নত ডিভাইস ও টেকনোলজিতে রেকর্ডিং করেও আমার কাছে বকা খায়, ওগুলোর সাউন্ড কোয়ালিটি ভালো হয় না বলে
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০২১ রাত ১২:৩৯