Be the one I've been waiting for my whole life....
তুমি ছিলে সেই অমরাবতীর পাখি
যাহার লাগিয়া একটি জীবন নদী
তোমার অধরে তীব্র আলোর ক্ষুধা
নীরব দহনে দুঃখী বনস্পতি
ঘাসের শরীরে শিশিরের বেদনারা
চাঁদের আলোয় মৃত ওষ্ঠেরা কাঁদে
যে-ফুল ফুটিল শুধুই তোমার লাগি
ক্ষয় হলো সে-ই নিষ্ঠুর সম্পাতে
২ সেপ্টেম্বর ২০১২
একটা ঘ্রাণ
হঠাৎ হঠাৎ একটা অরিহ গন্ধ ভেসে আসে বাতাসের স্বননে; প্রথম তারুণ্যে আফরোজার কেশফুলে এমন পেলব একটা ঘ্রাণ ছিল; কলমিলতা আর ধুধুল্লার শরীরেও ছিল এমন অদ্ভুত কিছু ঘ্রাণ; এখনো কোনো কোনো নিঝুম দুপুরে বড্ড আচানক নাকের পর্দা ভেদ করে একগুচ্ছ সৌভিকঘ্রাণ মগজে ঢুকে পড়ে; অন্ধের মতো ঘ্রাণের উৎস খুঁজতে খুঁজতে কেবলই দিশেহারা হই;
সে-রাতে ভৈরবের রেল-স্টেশনে নামতেই বহুকাল আগে হারিয়ে যাওয়া একজন মানুষ একটা অচেনা নাম্বার থেকে ফোন করলো; ‘ভালো আছিস, সোনাপাখি?’ বলতেই কেঁদে উঠলো অহনা, ‘তোর ঘ্রাণ এখনো ভুলতে পারি না সোনা; ঘরের চারপাশ, বারান্দায় এখনো তোর ঘ্রাণ। আমাকে জ্বালায়, পোড়ায় তোর ঘ্রাণ। আর পারি না, আমাকে একটু বাঁচতে দে না, পাখি!’
১২ অক্টোবর ২০১২
তোমার জন্য
সব কবিতারই কিছু মানে হবে
এ ভেবে কখনো কবিতা লিখি নি
সব ইশারায় সাড়া দেবে তুমি
এমন করেও কখনো ভাবি নি
যখন যেভাবে শব্দরা আসে
ক্রোধ ও কান্না, প্রেম ও দ্রোহে
ওভাবেই ওরা ঠাঁই করে নেয়
আপন গুণ ও গন্ধ-আবহে
যা কিছু লিখেছি প্রেমের জন্য
হয়তো সবই তা নিরেট বর্জ্য
অশ্রু ফেলো না, যেদিন বুঝবে
তোমার জন্য এসব অর্ঘ্য।
১৬ অক্টোবর ২০১২
ঋণ
তুমি চলে গেছো, সেই বেদনার অমৃত-খনি থেকে
উঠে আসে চির-ফল্গুধারার কবিতারা একে একে
তুমি চলে গেছো, চলে-যাওয়া পথে সোনা ফোটে প্রতিদিনই
আমার সকল কবিতারা তাই তোমার কাছেই ঋণী।
১৭ অক্টোবর ২০১২
হারিয়ে গেলে আপন নামের মাঝে
কোথায় তুমি হারিয়ে গেলে
আপন নামের মাঝে
তোমার কথা আজও ভাবি
আমার সকল কাজে
এই যদি হয় আর এসো না
ছায়ার মতো রোজ
সাঁঝের তারা আমার হয়ে
করবে তোমার খোঁজ
থাক তবে আর আমার জন্য
দুঃখ করো না কেউ
আমার কথার জবাব দিবে
পদ্মানদীর ঢেউ
২ নভেম্বর ২০১২
তোমার প্রেমিকের নাম বলো, প্রমীলা
যার সাথে প্রতিদিন গোপনে দেখা করো, অবলীলায় যে তোমার হাত ধরে
মনুষ্যভিড়ে; অথবা চিলের মতো ছো মেরে কেড়ে নেয় তোমার হৃৎপিণ্ড,
যার ধ্যানে একদিনও চোখ খুলে দেখলে না
তোমার পাদপদ্মে আত্মাহুতি দিয়ে গেলো ঘোরের সন্ন্যাসী
আমাকে তার নাম বলো, প্রমীলা, সেই মহান পুরুষের বিরাট ছায়ায়
একবার নিজেকে দেখি।
৭ নভেম্বর ২০১২
আমার কোনো দুঃখ নাই
আমার কোনো দুঃখ নাই। দুঃখের সাথে সখ্য আছে, সে হয় আমার আপন ভাই।
১৫ নভেম্বর ২০১২
প্রথম কবিতাটাঃ
নীচের গানটা থেকে প্রথম কবিতার শিরোনাম নেয়া হয়েছে। পুরো গানে শিরোনামের কথাটি খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে নেই, কিন্তু এ কথাটি আমার মনে একটা গভীর দাগ কাটে। কথাটির ভাব অনুভব করা যাচ্ছে, কিন্তু এর বঙ্গানুবাদ কী হতে পারে, তা এখনও ভাবছি, এবং এখনও মনের মতো কোনো বঙ্গানুবাদ দাঁড় করাতে পারি নি।
আর এ কবিতাটা লেখা হয়েছিল এই গানটা শোনার পর থেকেই। খুব সম্ভবত মেহেরুন আপু তাঁর কোনো পোস্টে এ গানটি যোগ করেছিলেন, আর গানটি শোনার পর কমেন্টের ঘরে এটি লিখে ফেলি। কবিতায় গানের কোনো ছায়া খুঁজতে যাওয়া বৃথা, কারণ, এ কবিতাটি উদ্ধৃত গানের বঙ্গানুবাদ নয়, গান শোনার পর উদ্ভূত অনুভূতি থেকে এর জন্ম। আর এটি আমার অসম্পর্কের ঋণ কবিতার বইয়ে উৎসর্গ পৃষ্ঠায় লেখা রয়েছে।
মূল ভিডিও
চোখ আরেকটু ভালো হলেই ফিরবো