এক শব্দের যত মানে
(সেলিনা শিরীন সিকদারকে)
যারা বলবার বলুক না তা, তুমি কেন বলো ও-কথা?
রামগরুড়ের জ্বর সেরে গেলে হাসবেই সে অযথা।
আমার ছিল না এত মানে জানা, তুমিই এসব শেখালে;
কাল থেকে আর ঘুমুবো না রাতে, একটু ঘুমুবো সকালে।
এসবও তোমার ঠিক জানা আছে, জানা নেই শুধু সে-কথা :
পথে পথে তুমি সোনা বুনে গেছো, আমায় দিয়েছো ঋদ্ধতা।
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১১
বিভ্রম
ধবল জ্যোৎস্নার মতো ফরসা নার্স-রমণীরা দরজার পর্দা গলে অবিন্যস্ত দাঁড়ায়। তাদের কোমরের খাঁজে মাখনের মতো তকতকে লাবণ্যরা - স্মিত ভেসে থাকে- আচানক আরেকটা জীবন, অনেক অনেক দূর থেকে আচানক জ্বলে ওঠে দেশলাই’র বারুদের মতো।
এ ছিল বিভ্রম। করুণ স্যানোটোরিয়াম! - এখানে-ওখানে স্যাঁতসেঁতে ছত্রাক, যাবতীয় দুর্বিষহ গন্ধের ভেতর কীভাবে এতদিন বেঁচেছিলে- তুখোড় বিস্ময়!
৬ নভেম্বর ২০১২
প্রেম
প্লেটোনিক প্রেমই সবচেয়ে গভীর প্রেম। তোমার প্রেমে যেদিন যৌনাকাঙ্ক্ষা জাগ্রত হবে, সেদিনই প্রেমের অনিবর্চনীয় সুখ ও মাহাত্ম্য চিরতরে তিরোহিত হবে। সম্ভোগ তোমাকে বাহ্যিক সুখ দেয়। চিরস্থায়ী সুখ একমাত্র নিষ্কাম প্রেমেই সম্ভব।
যাকে অদৃশ্যে থেকে যুগ যুগ ধরে ভালোবেসেছ, তার সামনে যেয়ো না, তাকে হারাবে। কবিতার মতো যে মেয়েটি তোমাকে পাগলের মতো ভালোবাসে, তাকে ছুঁয়ে দিও না। সে তোমার ধ্যানের সামগ্রী। তাকে পূজোর আসনে বসিয়ে একাগ্রচিত্তে তার ধ্যান করো।
ভোগে নয়, ধ্যানেই শান্তি।
১ জানুয়ারি ২০১৫
***
পেলব স্নেহে ভরা মায়াময় চোখ, বিশুদ্ধ কচুরিফুলের মতো শুভ্র তার মন ও অবয়ব, সকল পাপ ও পঙ্কিলতার উর্ধ্বে সেই নারী, অনাঘ্রাত কুসুমের মতো সজীব এবং পবিত্র, যাকে কখনো ছুঁয়ে দেখতে নেই, কেবল নিবিড় চোখে তার ঐশ্বর্য অবলোকন করতে হয়- এমন একটি মেয়েকে দেখলেই মনের ভিতর যে ভাবের উদয় হয়, তা হলো- ‘কবিতার মতো মেয়েটি’।
উৎসর্গ : সকল নারীকে, যারা প্রেম গ্রহণ করে, এমনকি হরণও করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ৯:৩৬