একটি মেয়ে
একটি সুন্দরী মেয়ে, অনন্য শুভ্রের মতো হাসে, সামনে ঘুরে বেড়ায়, থির বসে থাকে মুখোমুখি; শিশিরের দানার মতো সর্বাঙ্গে ঝরে পড়ে পবিত্র লাবণ্য।
সে হাসে
সে হাসে
সে হাসে
তার দেহের সুবাসে ছেয়ে যায় অমরাবতীর বন।
সে আমার কেউ নয়- প্রেমিকা, কিংবা সোহেলি। অথচ সে আমার ঘরে বাস করে। অনেক অনেক দূরে তার ছায়া।
সে হাসে
সে হাসে
সে হাসে
অন্য কোনো মোহ নয়, চুম্বন কিংবা সঙ্গমের। তাকে যেন চোখ ভরে দেখি, বুক ভরে দেখি, মন ভরে দেখি, অনন্য শুভ্রের মতো আমার চারপাশে ঘোরে, শিশিরের দানার মতো গায়ে মেখে পবিত্র লাবণ্য তাকে যেন আজীবন ঘর জুড়ে দেখি।
মেয়েরা ফুলের মতো
মেয়েরা ফুলের মতো। গোলাপ, জবা, শিমুল ও কৃষ্ণচূড়ার মতো রাঙা, স্নিগ্ধ। রজনিগন্ধা ও হাসনাহেনার মতো পেলব গন্ধে ভরপুর। সেদিন টিভিতে একটি মেয়ে হাসছিল। অন্যদিন অন্য চ্যানেলে অন্য একটি মেয়ে। সেও হাসছিল। পথে যেতে যেতে একটি মেয়েকে রিকশায় বসে হাসতে দেখেছিলাম, বাতাসে তার চুল আর ওড়না উড়ছিল, হাসির ফোয়ারায় আনন্দ ঝরে পড়ছিল।
একদিন এক নাটকের মেয়েকে স্বপ্নে দেখেছিলাম। সামনে দাঁড়িয়ে পড়ে সে হাসছিল। কী আন্তরিক, কী নির্মল ছিল সেই হাসি। সে-হাসি আজও আমি ভুলতে পারি না।
স্কুলের মেয়েরা যখন রাস্তায় হেঁটে যায়, ওরা হাসে- কলকাকলিতে চারপাশ ভরে যায়।
একটি মেয়ে যখন হাসে, হাসতেই থাকে, নির্মল কাশবনে শাদা শাদা পালকের মতো হাসির রঙেরা পাখি হয়ে ওড়ে।
আমার ভালো লাগে- একটি মেয়ে, যেমন আমার ছোটোবোন, আমার ভাগিনি, ভাতিজি, আমার মেয়ে, যখন প্রাণ খুলে হাসে, আমার ভালো লাগে। আমার ভালো লাগে। আমি একধ্যানে ওদের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকি, ওদের হাসির গভীরে আমি হারিয়ে যাই। আমার ভালো লাগে। আমার ভালো লাগে। মেয়েদের হাসি আমার ভালো লাগে। ওরা ফুলের মতো। মেয়েরা নিসর্গের ফুল।