মুখবন্ধ
বিগত ৫-৭ বছরে যেসব অ-কবিতা লিখেছি, তা এতদিন একটা ফাইলেই সেইভ করা ছিল। ২০১৪-১৫ নাগাদ একটা কবিতার বই বের করার ইচ্ছে নিয়ে গত কয়েক বছর ধরে সেগুলো সাজাচ্ছি, গোছাচ্ছি ও ক্রমাগত এডিট করছি, এবং ভালো-না-লাগাগুলোকে ‘Rejected Poems’ নামে আলাদা একটা ফাইলে ফেলে রেখেছি। হঠাৎ কী মনে হলো, একেবারে ফেলে না দিয়ে এগুলোকে এ ব্লগেও তো রেখে দিতে পারি! এমনও তো হতে পারে, এ থেকে কয়েকটি অ-কবিতা মাথা তুলে দাঁড়িয়ে যেতে পারে!
এখানকার বেশকিছু লেখা কোনো কোনো ব্লগারের পোস্টে কমেন্ট করার সময়ে লিখিত হয়েছিল; তাঁদের কাছে কৃতজ্ঞতা।
ক্ষমা প্রার্থনা। সংখ্যায় এগুলো অনেক বেশি- ৭৭টা। কেউ যদি এ থেকে একটা লেখাও পড়েন, আমি কৃতজ্ঞ থাকবো। এমনকি, একটা অক্ষর না পড়েও কেউ যদি ফিরে যান, তাঁর প্রতিও অশেষ কৃতজ্ঞতা আমার ব্লগবাড়িতে পদধূলি দেবার জন্য।
***
১
যত চাই ভুলে যেতে ততই পিছে টানে সবাই
পিছু ফিরে চেয়ে দেখি, আমি আছি একা
আমার পেছনে আর কেউ নাই।
২
‘তোকে দেখে তীব্র বিবমিষা, তা তুই বুঝিস?
এর চেয়ে ঢের ভালো মরে যাওয়া।’
সেই তোর চোখের ত্রিসীমা পার
অন্তহীন দূরের পথে ছুটেছি ক্লান্তিহীন
কতকাল! সুদীর্ঘ পঁচিশ বছর
জমাট পঁচিশ শতাব্দী ডুবে গেলো কালের পাথারে
তোর কি এখনো বিবমিষা হয়?
৩-২৮ মার্চ ২০০৮
৩
তুমি কি কবিকে ভুলে যেতে চাও? তাহলে হে নিষ্ঠুর, প্রেম শেখালে কেন? যেটুকু দিয়েছিলে ফিরিয়ে নিয়ে যাও। ২০০৬-এর ১৭ ফেব্র“য়ারি শুরু। তীক্ষè রোদের নিচে আজও দাঁড়িয়ে দেখি, তুমিই অদ্বিতীয় নান্দনিক গুরু।
৩১ মার্চ ২০০৮
৪
আমি বেঁচে থাকি তোর নিশ্বাসে
প্রেম বেঁচে থাকে শুধু বিশ্বাসে
৫
ঘুমে-জাগরণে, কাজে-অবকাশে
সবখানে দেখি তোর মুখ ভাসে।
তুই আমার সোনা, বিশ্ব-বিভূঁই
এ কোন্ অন্ধ প্রেম দিলি তুই?
১ এপ্রিল ২০০৮
৬
আঁসুর অনলে ক্ষয় হয়ে গেলো ঘুমহারা দুই আঁখি
তোর অ-কবিকে কেমন করিয়া ভুলে গিয়েছিস, পাখি?
তোর অ-কবিকে আর কি এখনো তেমনটি মনে পড়ে
পড়তো যেমন রাতদুপুরের ঝুমুবৃষ্টি ও ঝড়ে?
ঝুমুবৃষ্টিতে ভিজে ভিজে তুই কতদিন খুঁজেছিলি
কতদিন তুই খুন করেছিলি দুপুরের নিরিবিলি;
এইসব স্মৃতি মনে পড়ে আর চোখ ফেটে আসে জল
তোর অ-কবিকে কেমন করিয়া ভুলে যাবি তুই, বল্?
১৯ এপ্রিল ২০০৮
৭
পৃথিবীর সব রূপ তোর মুখখানিতে
তাই আর কোনো রূপ পারিল না টানিতে।
২০ এপ্রিল ২০০৮
৮
প্রতিভোরে ঘরের কোণে বাতাবিনেবুর ডালে আমার দোয়েল শিস কেটে ঘুম ভাঙাতো। আজ সারারাত ঘুম হলো না। দোয়েল পাখিও নীরবে উড়ে গেলো।
১৯ এপ্রিল ২০০৮
৯
কথা দিয়ে তুই কথা রাখবি না, মনে হয় নি তা একটিবারও,
সবখানি ভুল ভেঙে দিয়ে সখী সত্যিই তুই কথা রাখলি না!
তুই কি ভেবেছিস তোর কোনো কথা সত্যি মানিব এমনি আরো?
আর কি তা হয়, বুকের ভেতর বাজছে যখন অগ্নিবীণা?
২০ এপ্রিল ২০০৮
১০
বয়স আমার দুই কুড়ি এক, তোরই সমান সমান
এমন মধুর বয়সকালে মন হলো তোর পাষাণ!
তোর ও-বুকে জ্বলছে খরার আগুন
বল পাষাণী তোর কবিরে করলি কেন খুন!
২৫ জুন ২০০৮
১১
ভুলে যাবি তুই? যা না
যুগ যুগ পর একদা হঠাৎ
পাতাল ফুঁড়িয়া জাগিয়া আবার
অতর্কিতে তোর বুকে দেবো হানা।
তারপর তোর কলজে খাবো,
তখন করবি কী তুই-
সহসা আবার পালাই যদি ছাড়িয়া বিশ্ব-বিভূঁই?
২৫ জুন ২০০৮
১২
যা তুই তবে হারামজাদি, খেলার মাঠেই যা
তোর লাগি কেন অশ্র“ দেবো শুধুই খামোখা?
২৫ জুন ২০০৮
১৩
আমার কবিতার ভাষা করাতের মতো যদি হতো
তোর বুকের অন্তর্গত করে দিতাম এক লক্ষ ক্ষত।
২৬ জুন ২০০৮
১৪
তোর প্রেমে আর সুখ হবে না, এরচে অনেক সুখ হতো রে
ভালো যদি বাসতে পেতাম বেশ্যাদের এক ছিনাল ধরে।
আস্থা ছিল তোর উপরে, আস্থা ছিল ভালোবাসায়
ভালোবাসায় আজ মনে হয় বেশ্যাদেরই ভালো মানায়।
জুলাই ২০০৬
১৫
বহুদিন হলো, মিস্ডকল এ্যালার্ট সার্ভিস এ্যাক্টিভেট করে সিম বন্ধ রেখেছি; এ বুকে হিমালয়। যদ্দিন ওপেন ছিল একটিবারও খুঁজিস নি, বুড়ি। শূন্য থেকে
ডাকে না কেউ কোনোদিন, কোন্ আশায় তবে বসে থাকা? একটা সময় ছিল, এক দণ্ডের অনুপস্থিতি অস্থির সমুদ্র বেসামাল। এখনও তুই পুনর্বার, আগের মতো বিপুল বিচলিত, প্রতিটি মুহূর্ত আমাকে খুঁজছিস ক্রমাগত, নির্ঘুম- এ বিশ্বাসে বুকে বাঁধি সুখ।
বহুবার উদ্যত হই, সিম খুলি : কতবার আমায় খুঁজেছিস দেখতে। খুলি না আশঙ্কায়, বিশ্বাসভঙ্গের।
মে ২০০৭
১৬
আমি-ছাড়া তুই খুব কষ্টে আছিস, এই ভেবে ফিরে এসে দেখি, বিলকুল শোকচিহ্নহীন, সারা অঙ্গে ঝলমলে খুশি।
আমি-ছাড়া তুই খুব কষ্টে আছিস, এই সুখ নিয়ে একদিন হারিয়ে যাবো।
মে ২০০৭
১৭
সুচ হয়ে ভিতরে ঢুকবো, হৃৎপিণ্ড ফুঁড়ে বেরুবো
আমিই তোকে খুন করিব।
মার্চ ২০০৮
১৮
মাকে আমার খুবই মনে পড়ে
ঘর কী দেশান্তরে
শরীর ঘুমোয়, মা জেগে রন রন্ধ্রে রন্ধ্রে, রক্তের কন্দরে।
১ আগস্ট ২০০৮
১৯
রাধা নারায়ণের চাঁদসুন্দরী বউ ছিল; পুরুষলোকের লোলুপচক্ষু বউটাকে খুব ত্যক্ত করতো। একদিন গভীর রাতে দুর্বৃত্তরা হানা দিল, রাধা নারায়ণের হাত-পা বেঁধে হায়, অসুরেরা তার চোখের সামনে বউটাকে করলো বিষম ধর্ষণ।
ঘৃণা, যন্ত্রণা, গ্লানি আর সীমাহীন মনোকষ্টে কেটে গেলো বারটি বছর।
একদিন সুগভীর সঙ্গম শেষে তৃপ্তির হাত বোলায় বউয়ের শরীরে, তারপর শুধায় রাধা নারায়ণ, ‘তোর শরীরের কসম, আমাকে বল্ তো বউ, ধর্ষণকালে শুধুই কি কষ্ট, একবিন্দু সুখও কি পায় নি শরীর তোর?’ অবাক প্রশ্নে আকাশ ভেঙে পড়ে বউয়ের মাথায়। তবুও নিজেকে সামলে নিয়ে ঈষৎ হাত বোলায় মাথায়, অনেক আদর ঢেলে তারপর বউ বলে, ‘পাগল! ধর্ষণে কেউ সুখ পায়? পাই নি আমিও....’ খানিক পরে তার কণ্ঠে অতিশয় মৃদু স্বগতোক্তি ভাসে- ‘শুধু ঐ প্রথম দু-দণ্ড...।’ প্রথম দু-দণ্ডের সুখ! বাকরুদ্ধ রাধা নারায়ণের মন উতলা হয়- সহসা তার বুকে অশান্ত ঝড় ওঠে।
বউ তার নিদ্রায় ঘুমায় অমোঘ শান্তিতে। অশান্ত নারায়ণ একবস্ত্রে গৃহত্যাগী হয়- সন্ন্যাসব্রতে।
মার্চ ২০০৭
২০
এই দেহ এই মন সঁপিলাম যারে
তাহারেই সব সুখ দিতে পারি না রে
কী বিচিত্র এই মন বিচিত্র শরীর
যথাতথা সুখলাগি সতত অস্থির
সর্বপ্রেমে একদা যে ধন্য হয়েছিল
সেও হায় অন্য কোথা সুখ খুঁজেছিল।
মার্চ ২০০৭
২১
তারপর সাধক, আমাকে যেতেই হবে আরাধ্যের কাছে
জন্মান্তর পাড়ি দিয়ে পরম আরাধ্যের কাছে যাবো
জানি না, স্বর্গের কোন্ কুঠরিতে তাঁর বাস, কোন্ নরকের অনলকুণ্ডে
বিগলিত দেহে তিনি! তাঁর দেহসাথে আমিও অনন্তকাল পুড়ে পুড়ে
তাঁর দেহগন্ধ শুঁষে নেবো। তারপর, তবুও সাধক, আমাকে
যেতে হবে আরাধ্যের কাছে।
প্রথম পবিত্র প্রত্যূষে আমার ‘আমি’তে তিনিই করেছেন সত্তাদান
তারপর সুদীর্ঘ মহাকাল তাঁকে খুঁজি, হারিয়ে ভ্রমবশে
তাঁর অয়োময় অভিমান ফালি ফালি কেটে গেলো নিগূঢ় হৃৎপিণ্ড
সাধক, তোমার প্রতি আমার আমৃত্যু কৃতজ্ঞতা
তোমার আশ্রয় ও আশ্বাস, প্রেমপদ্ম সম্ভার, অসহ্য যৌবনদাহে তোমার অর্ঘ্য
আমাকে অমিত পাথেয় দিয়েছে বিপুল সম্মুখের
তাই নিয়ে চললাম, তোমার চরণে সকল মিনতি রেখে
আমাকে যেতেই হবে পরম আরাধ্যের কাছে
২-৫ এপ্রিল ২০০৮
২২
আজ যদি ঝুমবৃষ্টি হতো আমার এ শহুরে গ্রামটায়
বৃষ্টির ঘ্রাণ মেখে দিতাম তার সারাটা গায়
তারপর তাহারে বলিতাম, সত্যিকারেই যদি দিতে চাও
যা তুমি দাও নি আজও, সে মহার্ঘ আজ আমারে দাও।
আর যদি না দাও সখী, তবে
জেনে নাও, তোমার কবির আজই অ-সুখে মৃত্যু হবে।
৩ আগস্ট ২০০৮
২৩
এখন আমি গান গাইছি তোকে মনে করে
খানিক বাদে ঘুমোবো তোকে ছোঁবো বলে
‘ভয়কর স¦প্ন দেখেছি আজ খুব ভোরে’
জানতেও চাইলি না কী দেখেছি, কাকে।
৬ আগস্ট ২০০৮
২৪
একদিন একটা এক পঙ্ক্তির কবিতা লিখবো
সব কবিতার শেষে, সব কবিতার সার
যার হাজারটা অর্থ হয়;
আর তার মাথামুণ্ডু কিছুই না বুঝে তুই খুন করবি নিজেকেই
কারণ, আমাকে ভালো যে বাসতো, সে একমাত্র তুই।
৬ আগস্ট ২০০৮
২৫
তোমার নিটোল পুষ্পগন্ধা মন
হাতের তালুতে রাখি
আর নিগূঢ়তম শিল্পের ছোঁয়া মাখি।
১০ আগস্ট ২০০৮
২৬
প্রেম না হলে কবিতা হবে না
প্রেম থাকলেই কবিতা, কষ্ট কিংবা সুখে
শব্দ ভেঙে ভেঙে শব্দের ভেতর সমুদ্র
কবিতা ধেয়ে আসে ক্ষুধার্ত বাঘিনীর মতো
প্রেমের শিরদাঁড়া বেয়ে।
কবিতা মরে যায় কবিতা ঝরে যায় কবিতা শুকিয়ে কাঠ হয়
প্রেম চলে গেলে।
প্রকৃত প্রেম দহনে। দহনের কবিতাই প্রকৃত কবিতা।
২৭
হায় প্রেম! হায় প্রেম!! হায় হসনময়ী চতুরা লাস্যারা!!!
মনে হয় ধরা খেয়েছে, আসলে তা নয়, এটাই ওদের প্রকৃতি, চেহারা।
২৮
তোর বউকে বলিস, এখন আমি একটা
বাসা ভাড়া নিয়েছি, দুটো বেড
একটা ড্রইং একটা ডাইনিং
দুটো বাথ
আট হাজার টাকা ভাড়া
১ তারিখে উঠবো। আরও বলিস
আমার বাসায় বেড়িয়ে যেতে
আমি ভালো আছি, তোকে নিয়ে
আর ভয় নেই, তোর যা মন চায় করিস,
আমার কীইবা যায় আসে তাতে?
আমারও একটা নতুন বন্ধু হয়েছে, খুব ভালো সে
সব কথা শোনে।
১১ আগস্ট ২০০৮
২৯
একটা চুমু দিই, ঘাড়ে?
দে, কিন্তু কেউ যেন না দেখে।
আমি ঘাড়ের এক বিঘত নিচে
প্রকাণ্ড এক কামড় দিলাম
তুই কুঁকড়ে উঠলি
তোর চোখে পানি, টলটলে
কয়েকটি দাঁতফোটা লালচিহ্ন
তোর পিঠে, পাটের চাঁদ কিংবা সূর্য।
১১ আগস্ট ২০০৮
৩০
এবার এসে
চুমু খাবি না পাখি
আরও জোরে, খুব জোরে
আরেকটা কামড় দিবি
পিঠের সেই দাগটায়
তারপর
তুই ফিরে যাবি
কয়েকটা দগদগে ক্ষতের
ব্যথা নিয়ে আমি বহুদিন কাঁদবো
তোকে ভেবে।
১১ আগস্ট ২০০৮
৩১
ভীষণ বাঁধা দিই
তবু চাই, ক্যাবের ভেতর
বাসে
সিএনজিতে, রিকশায়
লিফটে
রেস্টুরেন্টে
অন্ধকারে
একটু একা হলে
কিংবা হাজার ভিড়ে
যখন তখন
অবশ্যই গোপনে
খুব সাবধানে
বুকে রাখবি হাত।
১১ আগস্ট ২০০৮
৩২
‘বরকে ভালোবাসা
তোমাকে এক লহমা প্রেম।’
‘কে তোমার বর, আমি, নাকি সে?’
সব ভেবে
প্রকট ঘোষণা : ‘কেউ না।’
১৯ আগস্ট ২০০৮
৩৩
স্বপ্নের মতো সম্ভেদ
আকাশের মতো স্বপ্নালু
পাখিদের মতো গেরস্থালি
গাছেদের মতো পাখিসুর
পাহাড়ের পায়ে সূর্য কাঁদে
পাতালে স্রোতের মেঘস্বিনী
পানির প্রতীতি পুণ্য পুকুর
কষ্টি পুরুষ নারীর এষণা
পাষাণ বিলাপে মিথুনবিলাস
পথের গরল শকট কঠিন
আকাশ পাহাড় পাতাল ঘোরে
এভাবে পালায় ফুরন্ত দিন।
২৭ আগস্ট ২০০৮
৩৪
কত প্লট...গল্প ও কবিতার...মাছির মতো কানের কাছে ‘ভন’ শব্দে দ্রুত সরে যাচ্ছে; হাত বাড়াই, ধরা যায় না। তীব্র প্রদাহ। যেমন তারও চোখ জ্বলে ইদানীং, খুব খুব বেশি; চোখের কোণে ঘা, হয়তো অন্ধ। এরূপ অশ্র“প্রপাত আমাকে দেয় প্রেম ও প্রাপ্তির সুখ ও প্রাচুর্য।
আমারও চোখ জ্বলে, ...সমূলক বা অমূলক।
এমন একটি চোখ আমায় দেবেন কি কেউ, আজন্ম যে চোখ চোখের জন্যই কেঁদেছে? চোখের জন্যই যে চোখ এখনও খুন হয়ে যায়?
এমন একটা চোখের জন্য নিরন্তর ক্ষয় হয়ে যাচ্ছে আমার দু চোখ; কবিতার থট আর গল্পের প্লটও যাচ্ছে হারিয়ে।
১০ অক্টোবর ২০০৮
৩৫
মহাজ্ঞানী মহাজন যে পথে ফেলে চরণ
নিয়েছেন নারীর শরণ
আমি ক্ষুদ্র চারণ কবি সাধ্য কি ব্যত্যয় করি
না করে পূজোয় বরণ!
৩৬
নারী নয় নিষিদ্ধ গন্দম
নারীতেই নরেরা উত্তম।
৩৭
আর কোনো বিত্তভাবনা নেই। একটাই আন্তরিক প্রার্থনা
আর জন্মে আমার বিধাতা
আমায় বানান আগুন অপ্সরা, ডাগরলোচনা।
ঐশ্বরিয়া যেমন
তাহলে আর কীইবা বাকি থাকে, যখন করতলে সমগ্র ভুবন!
১৪ সেপ্টেম্বর ২০০৮
৩৮
আমায় যারা বাসতো ভালো
তাদের এখন অন্য আলোয় ভালোবাসার ধুম পড়েছে
যাদের আমি দিয়েছিলাম আমারটুকু
আমায় তারা সবটুকু প্রেম ফিরিয়ে দিয়ে উধাও হলো
এখন আমি একলা পাখি আগের মতো
দুঃখবিহীন, হর্ষবিহীন, নিজের ভেতর
১২ ডিসেম্বর ২০০৮
৩৯
বিরহ বরিখে বিষচন্দনচুমো
বাতাসের বাহু ঘিরে
তোমার সোপান স্বর্গতোরণ ছুঁয়ে
বৃষ্টিজলের কুটিরে।
১৫ ডিসেম্বর ২০০৮
৪০
আজ যদি সবকিছু বদলে যেতো
চল্লিশ হয়ে যেতো শূন্য চার
তোমার ইস্পাত মন গলে মধুর তরল
আমি সেই উলঙ্গ শৈশবে, তোমার ইচ্ছেরা প্রবল ভালোবাসবার
তাহলে কেমন হতো?
২১ ডিসেম্বর ২০০৮
৪১
যদিও কিছুটা কবি
আসলে পুরোটাই কূলটা, অমানবী।
তবুও তোকেই ভালোবেসে ফেলি; তারপর ঝাঁপ দিই আটলান্টিক সমুদ্দুরে
পেছনে আমার ঔরসজাত হাসে তোর আগর্ভ শরীর জুড়ে।
৮ জানুয়ারি ২০০৯
৪২
(যে যা ভাবে বলুক, বরুণাও সবার মতোই বলবে?
কিন্তু বললো; আর সবার মতোই)
এই শহরে একটি ভীষণ মিষ্টি পাখি থাকে
সবার থেকে আলাদা সে ভিন্ন সুরে ডাকে
হঠাৎ দেখি এখন
অসাধারণ সেই পাখিটা বড্ড সাধারণ
একটু যদি ভিন্ন হতে আর সবাকার চেয়ে
তুমিই হতে এই শহরের অসাধারণ মেয়ে
১২ জানুয়ারি ২০০৯
৪৩
কী আমার স্বামী কিংবা সন্তান?
ওরা কোনো পিছুটান নয়
কোনোকালে; আমি চাই তোমাকে
অথবা অগ্নি। কী তোমার স্ত্রী
কিংবা সংসার? তোমাকে
আমি যদি না পাই,
কেউ পাবে না, কসম!
১৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮
৪৪
জিয়ারতমুখী হও, নিয়মিত, প্রত্যেক পবিত্র দিনে;
আর যখনই আসমানগামী, তাকাও জমিনে।
৭ মার্চ ২০০৯
৪৫
তোমার সান্নিধ্যে ফোটে অপার্থিব পরকীয়া ফুল
সঙ্গমমুখর আগুন ও হলাহলে
পুংসক জীবনে নিয়ত সঞ্জীবন
চাঁদের কৌলীন্যে সঙ্গম দাও তুমি
অমোঘ বিনোদে ঘন হয় বিদগ্ধ নেশা
গোপনে নদীর মনে গলে যায় নিজ্ঝুম ঢেউ
তারপর কিছুই থাকে না মন ও শরীরে
৪ এপ্রিল ২০০৯
৪৬
অহনা বলেছিল, কবি হবি?
সুদীর্ঘ নদী এঁকেছি কবিতার গহ্বর বিদীর্ণ করে; আমি কবি হলাম,
প্রেমিক হতে পারি নি।
৭ এপ্রিল ২০০৯
৪৭
যতদূর জানা যায়, তিনি খুব ভালো স্বামী ছিলেন
বাবা হিসাবেও অনন্যসাধারণ
কোনো এক নারীর কাছে প্রেমিকশ্রেষ্ঠ ছিলেন তিনি
একদিন সকালে তাঁর নিজ ঘরেই লোকটার লাশ দেখা গেলো
কেউ কি বলবেন, লোকটার কী হয়েছিল?
৮ এপ্রিল ২০০৯
৪৮
নারীর কাছে শেষ পর্যন্ত কী চাই?
তার গোলাপগন্ধা হাসি, হাঁটবার স্টাইল
কণ্ঠের অমৃতি
‘পাশাপাশি বসিবার’ একটা দুর্দান্ত দিন- চুলের অরণ্যে এক যুগ
Set your aim- now, or then.
নারীর কাছে কী চাই, প্রথম দিন থেকেই?
৯ এপ্রিল ২০০৯
৪৯
সে প্রতি রাতে স্বপ্ন দেখে তার গায়ে কোনো পোশাক নাই, আর ঘুম ভাঙলেও তাই-ই দেখে।
১৬ এপ্রিল ২০০৯
৫০
অরণ্যের রাতগুলো গুহার ভেতর কাঁদে
নদীর পানি শুকিয়ে গেছে, মাছেরা নাচে
৫ মে ২০০৯ রাত ১:২১
৫১
মা আমারে সব দিয়াছে
আমি কিবা দিলাম মারে
আমার পাওনা নিলাম বুঝে
মায়ের হিসাব দিলাম না রে
মায়ের জন্য কান্দি আমি
চির অভাগা রে
১০ মে ২০০৯ রাত ৮:০১
৫২
আপনার প্রকৃত লিঙ্গপরিচয় আসলে কোনটি?
একই আদলে কবিতা ও গল্প
বিশ্লেষণ ও মন্তব্যের ধরনও অভিন্ন
প্রায়শ ছায়া, কদাচিৎ স্বরূপে; অথবা উলটোটাই খাঁটি
সর্বজনবিদিত এ কথা- সওয়াল-জবাব আপন-আপন দোঁহে
সুচতুর খেলা
তুমি তবে ভার্চুয়াল নারী- তোমার কামরাঙা দেহভাঁজে ফণা তোলে আগুনের সাপ-
আমিও কি কম আছি সেয়ানা ওঝা? এসো আজ জলে ডুবে
ভার্চুয়াল রমণের প্রিয় খেলা খেলি।
২৫ মে ২০০৯
৫৩
পাহাড়ের ঘাস স্রোতের স্বপ্ন দেখে
আমি পাদপিষ্ট তৃণের সহচরী
তুমি চলে এসো, মায়ার শালিক
বৃক্ষকূজনে
২২ আগস্ট
৫৪
যদিও বিপণ্যা নারী বিনোদিয়া শাড়িতে টইটুম্বুর নদী
আমারে ঝুলায়ে রেখেছো মৃত্যুকালাবধি
৫৫
সে হায় কিছুই দিল না; না সংসার, না সঞ্জীবন
তার তীর্থের পানে চেয়ে চেয়ে পুড়িল নয়ন
আমি তো মানুষ বটে, মরুর জীবনে পানি চাই, পানি চাই
ও এতো নিঠুর কেন? ওর কি একফোঁটা দয়ামায়া নাই?
২৭ আগস্ট ২০০৯
৫৬
তাকে প্রথমদিন দেখে যা মনে হয়েছিল
আজও তাই মনে হয়-
তাকে যা ভেবেছিলাম, তা সে কিছুতেই নয়।
৪ সেপ্টেম্বর ২০০৯
৫৭
যদ্দিন আছে, মন চাইলে দিস
ফুরিয়ে গেলে দাবি নেই।
আমি তোর নামে আলো জ্বেলে
পথে পথে কুড়াবো হেম।
৭ সেপ্টেম্বর ২০০৯
৫৮
বিশিষ্ট পিঁপড়েবর্গ গজঢঙে হাঁটেন
নস্যি হস্তিকুল উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ায়
সুন্দর বনে পুষ্পরা স্রোতস্বিনী
অন্ধকারে তারকারা নদীর মতো
৯ অক্টোবর ২০০৯ রাত ৩:৫০
৫৯
বহুদিন বাদে আফরিনাকে দেখে গাত্রে তুমুল প্রেম উত্থিত হলো। অন্ধকার বরফ থেকে একটা কুঁকড়ানো কবিতা কেড়ে নিয়ে হাঙ্গ্রি পাঠকের মতো পড়তে শুরু করলো আফরিনা :
আমাদের একটা হলুদ ঘোড়া ছিল
ঘোড়াটার শিং দুটো ছিল হাতির শিঙের চেয়েও অঢেল লম্বা
আর ঘোড়াটার পাখায় রোজ রাতে আমরা মরিচবাতি জ্বালাতাম, তারপর
আমাদেরকে বুকে জড়িয়ে ঘোড়াটা সুদীর্ঘ সমুদ্রে সলম্ফ উড়াল দিত
আকাশে বড্ড যানজটে আটকা পড়ে ঘোড়াটা প্রায়শ
পেট্রল খেয়ে ফেলতো আনন্দে
আমরা লরি পাঠাতাম কয়েক ড্রাম কমপ্রেস্ড গ্যাস নিয়ে, ঘোড়াটার
পেটের ভিতর সুচ ফুঁড়ে ঢুকিয়ে দিতে
আমি আগেই জানতাম! যথারীতি আবেগে কেঁদে ফেললো আফরিনা। তার স্রোতস্বিনী শরীর বেয়ে অনাদি প্রেম আমার রোমসমগ্রে অশনি অনল ঢালে।
লাভ-ক্ষতির হিসেব শিকেয় তুলে রাখি
আমাদের প্রেম চলে মালবাহী ট্রেনের মতো।
৬ অক্টোবর ২০০৯ সকাল ১০:২৭
৬০
বুঝি না কে সরকারে এলো, কে হারালো গদি
মাসের বেতনে চালডালসবজি চাই, বাচ্চার গুঁড়ো দুধ, কোনোরূপে খেয়েপরে
দেনাহীন একটি মাস
ঘরে বিদ্যুৎ চাই প্রয়োজনমতো, চুলোর জ্বালানি চাই
পানীয় পানি চাই, ধোয়ামোছা হাঁড়ি ও শরীর
চাই যানযটমুক্ত রাস্তাঘাট, ধোঁয়াহীন বিশুদ্ধ বাতাস
আমাদের বেঁচে থাকবার ন্যূনতম চাহিদাগুলো মিটিয়ে দিন, হে সরকারাধিপতিগণ
তারপর আপনারা গদি কাড়াকাড়িতে মশগুল হোন
আমরা নিতান্ত আমজনতা। বেঁচে থাকবার প্রচেষ্টাই আমাদের নিকটতম সংগ্রাম
২১-২২ অক্টোবর ২০০৯
৬১
নারীই সকল সুখ আর অসুখের মূল
বিশ্বাসীরা মূর্খ
অবিশ্বাসীরা একগুঁয়ে
উভয়েই জেতে ও হারে, হারে ও জেতে
শেষমেষ, মরবার কালে একথা বলে যায়...
৩০ অক্টোবর ২০০৯ রাত ৮:১৩
৬২
জরুরি খবরটা হলো :
আমি একটা প্রেম চাই
যে প্রেমের কোনো সংজ্ঞা জানে না মানুষ
আমার ই-মেইল ঠিকানা, সেল নাম্বার
বাসায় পৌঁছবার নিখুঁত ল্যান্ডমার্ক এঁকে রাখলাম
দেয়ালে দেয়ালে
সিনসিয়ারলি বলছি, আমি একটা প্রেম চাই
কেউ কি আছেন?
৬ জানুয়ারি ২০১০ সকাল ৭:৪৫
৬৩
সে কি কখনও হাসতে পারে
অল্প বয়সে যে নারীর স্বামী খুন হয়ে গেছে?
১৮ জানুয়ারি ২০১০ রাত ১২:০৮
৬৪
একদা প্রেম ছিল তুফানে ও ঘরের শিকড়ে
এখন সে কুহকিনী, জানি না কোথায়, কী করে
অক্টোবর ২০০৮
৬৫
একটা তুড়িতে ধরা খায় টাসকি
এবার বল্ না, আর তুই চাস কী!
কম কি দেখেছিস ঘুঘুর ফাঁদটাঁদ
ওসবে থুথুয় গুরুর যমচাঁদ
ভালো রে বীনাবাঈ ভালো তো সব্বাই
আড়ালে আবডালে কে দেখে খাই খাই!
ঘাড় তো মটকেছি, বেদনা পাস কি?
একটা তুড়িতে খাবি তুই টাসকি
টাসকি টাসকি
টাসকি টাসকি!
৯ নভেম্বর ২০০৮
৬৬
কোন্ বয়েতি শেখালি তুই মেয়ে
প্রেমের ঘাটে ঘোলের পানি খেয়ে?
১৩ অক্টোবর ২০০৯ দুপুর ২:১৯
৬৭
বয়স কেবল বেড়েই চলে-
মন বোঝে না ওসব ছুঁতো!
মন মজে রয় রঙ্গরসে
মন কখনো হয় কি বুড়ো?
৪ মার্চ ২০১০ রাত ১:৫১
৬৮
বয়স আমার তিন কুড়ি তিন
খাই সন্দেশ, মণ্ডামিঠাই
বাউকুল আর মিষ্টি তেঁতুল
এরচে’ স্বাদের আর কিছু নাই
৪ মার্চ ২০১০ রাত ১:৫৬
৬৯
ছেলের কপাল মন্দ কপাল
জোটে না তার মেয়ে
এ দুঃখে তার দিন কাটে হায়
খেয়ে, বা না খেয়ে
সুন্দরীদের চুলের খোঁপায়
দেয় বারে বার হানা
একটা-দুটো জোটেও যদি
খুঁড়ো, না হয় কানা
৪ মার্চ ২০১০ বিকাল ৫:৩০
৭০
সে আমারে প্রেম দেয় অবিরল স্রোতে
আমি তারে বেঁধে রাখি সংবিধান মতে।
৫ মার্চ ২০১০ সকাল ১১:২৫
৭১
মাথার উপর লাটিম ঘোরে
মাটির উপর পা
মনের ভিতর ঘুরছে সেজন
যাকে পেলাম না
২০ মার্চ ২০১০ বিকাল ৫:৪৯
৭২
নারীর জন্য দুনিয়া সৃষ্টি, নারীর জন্য বাঁচিয়া রই
নারী না থাকলে থুবড়ে যেতো এই পৃথিবীর সমস্তই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১০ দুপুর ২:১৯
৭৩
আমার একগোছা চাবি আছে, তালাও আছে অসংখ্য- একটা কি-রিং নেই। চাবিগুলো যার যার ঘরে, কোনাকাঞ্চিতে ঘাপটি মেরে যথাস্বভাবে লুকিয়ে থাকে; জটিল মুহূর্তে ওগুলো আর খুঁজে পাই না, তালাবন্ধ দলিলদস্তাবেজ উপস্থাপনে ব্যর্থ হই; নিজস্ব সম্পদ সমূহ অবৈধ দখলদারের কব্জায় চলে যায়। আমি নিঃস্বতর হতে থাকি। আমার একটা চাবির রিংয়ের খুবই প্রয়োজন।
৫ এপ্রিল ২০১০ রাত ১২:২২
৭৪
দাদা তার নাম আফজাল মিয়া রেখেছিল, কিন্তু বড় হতে হতে সে দেখলো
সে হয়ে গেছে ‘আবজাইল্যা’।
সকালে ‘আবজাইল্যা’ কাঁচামরিচে বাসি পান্তাভাত খেয়ে কামলা দিতে যায়
তার শুকনো শরীর, বউয়েরও।
বিয়ে করেছে ৭ বছর হলো; এরই মধ্যে ৪টা বাচ্চা তার
প্রথমটা মেয়ে ছিল। বছর না ঘুরতেই আরেকটা। সেটাও মেয়ে।
ছেলে হলে বাপের সাথে কামলায় যেতে পারবে, কিন্তু ৩ নম্বরটাও মেয়ে
তারা পরিবার-পরিকল্পনা বোঝে না। রাতের বেলা বিনোদন একটাই,
বা ও-টুকুই।
৪ নম্বরটা মেয়ে হবার পর রাগে-ক্ষোভে-দুঃখে সে বউকে পিটিয়েছিল
এরপর মাঝে-মাঝেই পেটায় আর ‘অলইক্ষ্যা মাইয়া’ বলে বকাবকি করে
ভাঙা তলপেট নিয়ে ‘আবজাইল্যা’র বউ মাঝি বাড়িতে সকালসন্ধ্যা কাজ করে
বড় সাহেবের নেকনজর পাবার চেষ্টা সে করে নি তা নয়, কিন্তু
তার চামড়া ঝুলে পড়া শরীরের প্রতি বড় সাহেবের কোনো আগ্রহ বোঝা যায় নি
খিদের চোটে মেয়েগুলো খাবলাখাবলি করে; আবজাইল্যা হয়তো
আরও কিছু মেয়ের জন্ম দিতে পারবে, কিন্তু ওদের জন্য থালা ভরে ভাত
এনে দিতে পারবে কিনা, তা সে জানে না
২১ এপ্রিল ২০১০ রাত ১১:২৩
৭৫
পৃথিবীর আদিম ও চিরন্তন মাধুর্যের নাম ‘প্রেম’। এবং মানুষ স্বভাববশতই প্রেম করে; কিন্তু ‘প্রেমিক’ বা ‘প্রেমিকা’ কোনো স্বীকৃত সম্পর্ক নয়, অন্তত আমাদের দেশ ও সমাজে। এমনকি, যেসব দেশে ‘লিভ-টুগেদার’ অবৈধ কিংবা ‘অসামাজিক’ নয়, সেসব দেশের প্রেমিক-প্রেমিকারাও দলিলপত্রে পরস্পরের সম্পর্ক ‘প্রেমিক’ বা ‘প্রেমিকা’ লেখেন না।
আমাদের আদি মাতাপিতাগণ ‘প্রেম’ করেই পৃথিবীর জমিনকে উর্বরতা দান করেছেন। প্রেমকে আমরা আজও সামাজিক স্বীকৃতি দিতে পারি নি। প্রেম বরঞ্চ একটা ব্যাধি, অকাঙ্ক্ষিত উপদ্রব।
২৪ আগস্ট ২০১০ দুপুর ২:৫১
৭৬
সাধারণ মানুষের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁদের মধ্যে যে-ভালো গুণগুলির ঘাটতি রয়েছে, সেগুলোই তাঁদের মধ্যে অনেক বেশি পরিমাণে বিদ্যমান রয়েছে বলে তাঁরা জাহির করে থাকেন।
অসাধারণ মানুষের সাধারণ বৈশিষ্ট্য হলো, তাঁরা সরল মনে সবখানে অপর মানুষের ভালো গুণগুলির প্রশংসা করতে ভালোবাসেন।
আমি কতোখানি ভালো বা গুণী, এটা আমার বলে বেড়ানোর দরকার নেই; সব লোকে তা জানে।
৯ সেপ্টেম্বর ২০১০ ভোর ৬:১৬
৭৭
পরচর্চা আর আত্মপ্রচারণা ভাই ভাই,
দুজনই পাশাপাশি হাঁটি, খাইদাই-ঘুমাই।
এর বাইরে কোনো মহামানব নাই;
আমি কোন্ ছার, তাই দুটোই সমান তালে চালিয়ে যাই।
৭ জুন ২০১১