রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই
তখন পরকীয়া বঁধু আর ঘরের নারীতে অভিন্ন গন্ধ
সকল বসন ও ভূষণ খুলে ফেলো
যেটুকু রহস্য লুকিয়ে রাখো, অমৃত সেটুকু
অণুবীক্ষণে তোমাকে দেখি। গভীর আড়ালে একফোঁটা নির্যাস
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নির্যাসে
২৭ জুন ২০১৩
পাদটীকা
এ লেখাটাকে ধীরে ধীরে পড়ুন। প্রথমেই ধরে নিন যে, এটি একটা এক লাইনের কবিতা, এ রকম:
রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই
এরপর, আবার পড়ুন। এবার দ্বিতীয় লাইনটি বাদ দিয়ে পড়ুন:
রহস্য ঘুচে গেলে আর কোনো মাধুর্য নেই
সকল বসন ও ভূষণ খুলে ফেলো
যেটুকু রহস্য লুকিয়ে রাখো, অমৃত সেটুকু
অণুবীক্ষণে তোমাকে দেখি। গভীর আড়ালে একফোঁটা নির্যাস
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নিঃশেষে
দ্বিতীয় লাইনটা উপমা হিসাবে ব্যবহৃত হয়েছিল, যা উপরের লাইনের অর্থকে সম্প্রসারিত বা সাপোর্ট করে।
এরপর পড়ুন কেবল মাঝখানের দুই লাইন :
সকল বসন ও ভূষণ খুলে ফেলো
যেটুকু রহস্য লুকিয়ে রাখো, অমৃত সেটুকু
একজন নারীর সাথে তুলনীয় এ লাইনটাতে নারীকে কেবল উপমা হিসাবে ব্যবহার করা হয়েছে। নারীর কথা ভুলে গিয়ে অন্য কিছু ভেবে দেখুন তো!
শেষ দুই লাইন আলাদা ভাবে পড়বার সময় হলো? পড়ুন :
অণুবীক্ষণে তোমাকে দেখি। গভীর আড়ালে একফোঁটা নির্যাস
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নিঃশেষে
এ দু লাইন মাঝখানের দু লাইনের সাথে সম্পর্কযুক্ত। কিন্তু মাঝখানের লাইনের সাথে না মিলিয়ে পড়ুন। এখানেও নারী? হ্যাঁ। তবে নারীকে বাদ দিয়ে অন্য কিছু ভাবা যায় কিনা দেখুন।
তোমার মাধুর্য শুষে খাই, সবটুকু নিঃশেষে
আপনার ভেতরের সবচেয়ে নিরেট, খাঁটি, সৎ ও মহৎ বস্তুটাই হলো অমূল্য নির্যাস। আমরা সেই নির্যাসের মাধুর্যই খুঁজে বেড়াই অপর মানুষের মধ্যে।
এতক্ষণ যে কাজটা করলেন, তার নাম বীক্ষণ, বা গভীর বীক্ষণ, যার নাম হতে পারে অণুবীক্ষণ।