বিছুটি বিছানো পথে কচি কচি আলোঘাস সুন্দর স্বপ্নের মতো হাসে
আঁকাবাঁকা আ’ল ধরে কতোদূর হেঁটে গেছি ভেঙে ভেঙে সকালের দূর্বাশিশির
ধু-ধু চরের মতো আজ সব ঝাপসা অন্ধকার
একটি ছায়ার মতো স্মৃতির অবয়ব বার বার জেগে ওঠে,
আবার গলে পড়ে সূর্যের ভেতর
আমি কিছুই বুঝি না আজও- কে আমারে নিয়ে গেছে বহুদূর সপ্তসিন্ধু পাড়ে
বালুচরে ফেলে রেখে মৃতকোষ, জীর্ণ দেহখানি
একদিন ভোরে উঠে দেখি, সব নদী ভরে গেছে কুসুমে কুসুমে
আর ধবল মেঘেরা উড়ন্ত কাশফুল সুস্নিগ্ধ নীলে
কতোদিন লুকিয়ে কেঁদেছি এমন একটা ভোরের বাসনায়
সন্ধ্যার বলাকারা বহুদূর ভেসে গেছে আনন্দ কোলাহলে-
কতো সাধ হতো আমিও মিশে যাই পাখির ভুবনে-
আমারে ডাকে নি ওরা ওদের মিছিলে
পৃথিবীতে কিছুই যাও নি রেখে আমার জন্য, হে পলাতকা পাখি, নদী ও কুয়াশা
আচানক তোমাদের দেখি আর দু ফোঁটা অশ্রুতে উপশম খুঁজি, নিত্য, নিরবধি
আমারে শান্তি কে দেবে? নদীর দহনে জল কোথা পাবো, বলো!
*২৬ আগস্ট ২০০৯