শ্বেত পতাকা
এবার ছুটি নেব তিনদিন, তারপর ঘুমাবো না
অসম্ভব ব্লগাবো আর বউয়ের হাতে খাবো তিনবেলা ক্ষীর
অনেকের সাথে খুব কষাকষি- বহুদিন নেই বনিবনা
সবকিছু দেখেশুনে 'ক্ষেপিয়া গিয়াছি', এবার মনের চাই সুমতি সুস্থির।
তুমি যদি ভালোবাসো সন্ততির ঘেঁষাঘেষি, আলাভোলা আটখানা হাসি দিনভর
একবেলা ঘুরে যেয়ো গরীবের ঘরে, হে দূরের সহচর।
আমার ভুলের সাজা দিও আপন দু হাতে
তারপর বাকি বেলা পাশাখেলা তোমাতে-আমাতে।
*৭ মার্চ ২০০৯ রাত ৯:৩৬
বিষদাহ
ভিড় করে লুকোচুরি ছায়ার ও-পাশে
ঝাঁকে ঝাঁকে মৌমাছি নাচে দুই গলুই আঙুলে
কখনো বা ফ্যাকাশে তাকায় উঠোনের সিঁড়িতলে
ভীরু কিছু চুল খসে ভেসে যায় বিধুর বাতাসে
আমি তারে দেখি দূর হতে
সারাদিন কী যেন সে খোঁজে পথে পথে
লতাপাতা ঘাসফুলে চিঠিখানি লেখা ছিল নিগূঢ় সবুজে
আজ তার সারাদিন কেটে যায় দলছুট বর্ণ খুঁজে খুঁজে
ও-মেয়ে বোঝে না জানি দুর্বোধ্য ভাষা সে-চিঠির
বুকের ভেতর অলখিতে ক্ষয় হয়, হয় চৌচির
সে জানে কী ভুল ছিল, আমি তার শোধ চাই, দ্বিগুণ মাশুল
তারপর ক্ষমা হবে সবগুলো ভুল।
*৩১ মার্চ ২০০৯
দেয়াললিখন; দ্রোহকথা
তুমি লেখো আর ভাবো, রোজ রোজ আমি গিয়ে
গোপনে পড়ে আসি তোমার দ্রোহকথা
জেনে রাখো, আমিও লিখে রাখি দেয়ালে দেয়ালে
তোমার ইতিহাস, রোজকার কৃতঘ্নতা
সন্ধির কথা বলে বহ্নিতে ঘৃত ঢালো,
এ তোমার জন্মজাত কুটিল স্বভাব
তারপর আহাজারি, শুরু হয় ডিপ্রেশন,
লোকদেখানো দাহ-অনুতাপ
তুমি কি ছিনাল তবে? তার চেয়ে ভালো হতো,
হতে যদি পথের সারমেয়
আকাশে ছিটিয়ে থুথু আমার কী করো ক্ষতি?
নিজেকেই করো তুমি হেয়
*১ এপ্রিল ২০০৯ রাত ৯:৩৯
মাশুল
ভুল করো আর মাশুল গোনো
আমার তাতে কষ্ট কেন হবে?
তোমার যাহা তোমার তাহা
আমার তাহা কোন্ কালেতে ছিল?
আমার যাহা তোমার তাহা
নেই তো এমন অনেক কিছু
অনেক কিছু ভাগ হয়েছে
আর গেছে সব নদীর জলে ভেসে
আর গেছে সব নদীর জলে ভেসে
সঙ্গে গেছে তুফানদিনের ঝড়ও
সাগরপাড়ে নীল শাড়িটা শুধু
ধু-ধু সাঁঝে আঁচল ওড়ায় আজও
*৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ দুপুর ২:২২