প্রিয় বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেলে উঠতি যৌবনে আমরা সবগুলো ছেলেবন্ধু পারস্পরিক শত্রুতা ভুলে দল বেঁধে দেবদাস হতাম। আমাদের চরণসমুদয় অনাথের মতো নিস্তেজ হয়ে পড়তো। বিরহীসংঘের সমাবর্তনে বিগত বান্ধবীকে প্রতারণার দায়ে গোষ্ঠি উদ্ধারে লিপ্ত হতাম।
বয়স বাড়ে; সময় বদলায়; দৃষ্টি ও দর্শন বদলে যেতে থাকে। পৃথিবীর সবখানে, সবকিছুতে ছড়িয়ে আছে আর জড়িয়ে আছে প্রেম।
প্রিয় সহেলিরা সংবিধিবদ্ধ প্রেমিকা আমাদের সকলের। বিয়ের আগে ওরা একেকটা ব্যক্তিগত, হস্তান্তর-অযোগ্য মূল্যবান সম্পদ; আমরা প্রতিদ্বন্দ্বী বন্ধুদের সহজাত শত্রু ভেবে নিজস্ব অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর সংগ্রামী হয়ে উঠি।
বিয়ের পর বান্ধবীরা কারো ব্যক্তিগত সম্পদ থাকতে পারে না, না তার স্বামীর, না কোনো পুরনো প্রেমিকের। ওরা তখন আমাদের সর্বজনীন প্রেমিকা হয়ে ওঠে।
প্রিয় বান্ধবীদের বিয়ে হয়ে গেলে এখন আমাদের মনে আগের মতো বিরহভাব জাগে না; যেসব পরমা সুন্দরীর বিয়ে হয়েছিল অনেক অনেকদিন আগে, তাদের এখন নতুন করে চিনি। রম্য আড্ডায় আগের চেয়েও সুনির্মল, সতেজ আর লাবণ্যময় ওরা, আর ওদের প্রাণোচ্ছল হাসি। অনাবিল সান্নিধ্যে আমাদের প্রতিটি মুহূর্ত ওরা বাঙ্ময় ও স্মরণীয় করে তোলে।
আমাদের বান্ধবীরা আজকাল বড্ড উদার ও অমায়িক। স্বামী ও সংসার বিলকুল ঠিক রেখে নিত্যনৈমিত্তিক আচারের মতোই ওরা আমাদের নিয়মিত প্রেম সম্প্রদান করে।
এসব রম্যকথা স্ত্রীদের জন্য নয়; এ হলো প্রিয় সহপাঠিনীর প্রতি অনাঢ্য প্রেমিকগণের অভবিষ্য প্রেমবাঞ্ছা।
অফটপিক : এটি পড়ার আগে লিংকের লেখাটি পড়া বাঞ্ছনীয়, অথবা লিংকের লেখাটি পড়ার পর এটি পড়ুন
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে মার্চ, ২০১০ রাত ১:০০