আলীবর্দী খান ছিলেন একজন বৈদেশিক ভাগ্যান্বেষী; তাঁর পিতামহ আরব বংশোদ্ভূত ছিলেন এবং সম্রাট ঔরঙ্গজেবের আমলে মোগল মনসবদার।
নবাব সিরাজউদ্দৌলা ছিলেন আলীবর্দী খানের দৌহিত্র।
নবাবী আমলে এ বাংলা সুবাদার বা নবাবগণের পদনাত ছিল; সুবাদার বা নবাবগণ ছিলেন মোগল সম্রাট কর্তৃক নিযুক্ত বাংলার শাসনকর্তা; তাঁরা ভিনদেশী রাজ কর্মচারী ছাড়া আর কিছু নয়। কেবল জমিদার ও প্রজাগণই ছিলেন এ দেশের সন্তান।
১৭৫৭ সালে পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মাধ্যমে বাংলার শাসনক্ষমতা ঔপনিবেশিক ও ভিনদেশী নবাবদের হাত থেকে ক্রমশ আরেক ঔপনিবেশিক ও বণিক ইংরেজদের হাতে স্থানান্তরিত হতে থাকলো।
কিন্তু বাংলার স্বাধীনতাসূর্য অস্তমিত হয়েছিল এর অনেক আগে- ১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে সম্রাট আকবরের বাংলা বিজয়ের মাধ্যমে।
বাংলাদেশের প্রকৃত স্বাধীনতা পুনরুদ্ধার হয়, ১৫৭৬-এর পর, ১৯৭১-এর ১৬ ডিসেম্বরে।
যুগে যুগে ভিনদেশীগণ এই বাংলাকে রক্তাক্ত করেছে; তাদের ক্ষমতালাভের লড়াইয়ে বলির পাঠা হয়েছে এ মাটির সন্তানেরা।