কাকে নিয়ে লিখেছো তোমার এ হীরকখচিত কবিতাগুলো, আমি ঠিক জানি;
সে এখন হাওয়ায় হাওয়ায় নাচে,
আনন্দবন্যায় ভেসে যায় তার উচ্ছল ভুবনখানি।
তোমার প্রেমে সেই পাগল-কবি আজকাল
নাওয়া-খাওয়া সব ভুলে কবিতার কর্ষণ করে দিনরাত
এ খবর জানবে যখন তুমি, আমি এ-ও জানি,
তুমি হবে বিস্রস্ত পাগলিনী এবং মুহূর্তে সংজ্ঞা হারাবে নির্ঘাত।
কখনো প্রচ্ছন্ন ছায়ার মতো, কখনো মেঘভাঙা রোদের মতো
তুমি খলখল খেলা করো তার সমগ্র কবিতায়।
তোমার প্রতিটি কবিতা পড়ে তারও কিন্তু এমনি মনে হয়,
তথাপি সে করে না প্রকাশ অন্তরের বাসনা,
যদি বা পেছনে তার ভাবনাগুলো পূর্বাপর মিথ্যে হয়ে যায়।
তোমার স্বপ্নের সুপুরুষ ব্যাকব্রাশে সাজায় মাথায় মেহেদিরাঙা স্বল্পকেশ
তার কবিতার নারী মুগ্ধ-বিহ্বল চোখে তাকিয়ে তার পানে অনিমেষ।
আমি আরো জানি, এ কবিতাটি পড়ে তুমি বক্রঠোঁটে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসবে
এবং বলবে, 'নির্বোধ কবি, এতোটা উড়ো না আকাশে।'
তখনই চকিতে কবির যাবে ভেঙে ভুল...ঘোরলাগা চোখে দেখবো,
একি, এ যে আমি নিজে! অদ্ভুত স্বপ্নরঙ্গ শেষে হয়ে যায় সব এমনই ফ্যাকাশে।
তোমার কোনো কবিতাই যেমন আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখো নি, তেমনি
আমার এ কবিতাগুলোও তোমাকে নিয়ে লিখা নয়।
তুমি যেমন জানো, তেমনি আমিও জানি, আমাদের কাব্যিক যাত্রা
সুদীর্ঘ দিনের পথে কেবলই ছলচাতুরীময়।
আমি এখনো নিশ্চিত নই, এ কবিতাটি কার উদ্দেশে হলো লিখা
যেমন তুমিও বলবে না কোনোদিন তোমার কবিতার কথা, সুদূরিকা।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৯ রাত ১০:৩৮