বর্তমানে পরিবার নিয়ে বলিউডি সিনেমা দেখা অসম্ভবের কাছাকাছি। ছোট ড্রেস বলুন আর অশ্লীল সিন সবদিক দিলেই চরম নোংরামিতে ভরা। আর সিনেমার পথে হেঁটে বিজ্ঞাপণ গুলোও হয়ে গেছে চরম অশ্লীল। সাবান, শ্যাম্পু, বডি লোশান, ক্রিমের এড গুলো এবং পারফিউমের এড গুলো নগ্ন মেয়েতে ভরা। উদাহরণ দেখুন -
◆ একটা বিল-বোর্ড দেখেছিলাম কিছু দিন একটা মহিলা সেক্সি শাড়ি পড়ে দুটো লম্বা ভুট্টা ধরে আছে। বিজ্ঞাপণটা ভুট্টা বীজের। আমি অবাক হয়ে ভাবছি ভুট্টার সাথে মেয়েদের কি সম্পর্ক?! আর কোন মহিলা ভুট্টা চাষ করে?!!
◆ জে.কে সিমেন্টের বিজ্ঞাপণ। একটা মেয়ে টু-পিস পড়ে সমুদ্র থেকে উঠে আসছে। বাইরে থেকে আওয়াজ: সির্ফ দিখনে মে নেহি, আন্দর সে ভি মজবুত! বলুন তো সিমেন্টের সাথে টু-পিস পড়া নারীর কি সম্পর্ক?!!
◆ পারফিউমের এড। পারফিউম লাগান আর মেয়েরা যে যেখান থেকে দৌড়ে দৌড়ে আপনার কাছে চলে আসবে আপনাকে জড়িয়ে ধরবে। এমনকি স্বামী বা বয়ফ্রেন্ডকে ছেড়েও আপনাকে জড়িয়ে ধরে মুখ লাল করে দিবে। প্রশ্ন হল, মেয়েরা কি এতই হেলা? তারা কি এতই চরিত্রহীন যে গন্ধ শুঁকেই পাগল হয়ে যাবে আর স্বামীকে ছেড়েও অন্যের কাছে চলে যাবে??
তাহলে আসল ব্যাপারটা বুঝতে পারলেন তো? কিছু লম্পট, লুচ্চা পুরুষ চাই মেয়েরা স্বাধীনতার নামে অশ্লীলতা করুক যাতে তারা মজা নিতে পারে। তারা ভালো ভালো কথা বলে আর অশ্লীল পরিবেশ তৈরি করে এসবকে স্বাভাবীক করে দিয়েছে। এসব যেন খারাপ কিছুই নয়। ফ্রী সেক্স, বিয়ের আগে সেক্স, বিবাহ বহির্ভুত সেক্স, পরকিয়া, বেশ্যাগীরি, নোংরা ফটোশ্যুট, ব্লু ফিল্ম, ডিস্কো বারে ছোট কাপড় পড়ে ডান্স আজ আর কিছুই খারাপ নয়। এসব করলে মেয়েরা স্বাধীন হয়, আধুনিক হয়। এসব যারা করেনা (যেমন মুসলিমরা) তারাই তো মান্ধাতা আমলের লোক, কুসংস্কারী।
বলা হয়, ইসলাম ছাড়া সবাই নারীদের অধিকার দেয়। শুধুই ইসলামই তাদের ভোগ্য বস্তু মনে করে। এসব অশ্লীলতাই কি তারা ভোগ্য বস্তু হয়না? আরে না না... ভোগ্য বস্তু তো মুসলিমরা মেয়েদের মনে করে। কেন? কারণ তারা তাদের নারীদের সন্মান করে আর বেশ্যা হতে দেয়না।