জোৎস্না মাখা মেঘগুলো ঐ নীল নীলিমায় ভাসে
তারা কাছে আসে, সব তারাদের ভালোবেসে
নিশিথ রাতে জেগে থেকে, শূণ্যে হয়ে ভেলা
এমনি করে তাদের যেন মনটা করে খেলা।
নিশাচরের দৃষ্টি গুলো নীল আকাশে উড়ে
তারা যেন লেপ্টে থাকে মেঘের ভেলা জুড়ে
মেঘের দ্বীপে দৃষ্টিরা সব জটলা করে বসে
মনটা তাদের ভরে উঠে মিষ্টি কথার রসে।
আকাশ নীলে তারার ঝিলে চোখ টিপ টিপ চলে
দুষ্ট মেয়ের মত তারা মিষ্টি হেসে বলে
গাও গতরে এমন করে জোৎস্না মাখাও কারা?
চন্দ্রিমাতে ভিজে বুঝি হলে পাগল পারা?
মেঘ বালিকা খিলখিলিয়ে হেসে বলে চুপ!
ঐ দেখনা ঝরছে কেমন আনন্দ টুপ টুপ।
গুঁড়ি গুঁড়ি জোৎস্না কণা পাতায় ফুলে পড়ে
তার পরেতে তারা সবে বাতাস এলে নড়ে।
এমন সময় চোখগুলো যার ঘুমে হলো কাদা
তারা কি আর দেখতে পারে বরপ কুঁচির সাদা
চন্দ্রধোয়া মেঘগুলি সব ভেসে ভেলার মত
দৃষ্টি দলে মিষ্টি স্বরে ডাকছে কাছে কত?
ফেলফেলিয়ে আকাশ দেখে চাঁদের টিপ পরে
সারা জগৎ তার দিকেতে দেখছে কেমন করে
নিশিথ রাতে রূপের মেলা বসে আকাশ তলে
ঘুরে সেথায় ঘুম হারানো দৃষ্টি দলে দলে।
উৎসর্গঃ বেগম রাবু চৌধুরী, যার আব্দারে এমন কবিতা লেখা হলো।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৯