ইসলাম মানে আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পন।তারমানে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী জীবন যাপন। আল্লাহ যেমন চান তেমন চলা।আল্লাহর ইচ্ছার বাইরে কোন কিছু না করা।এমন চলার জন্য জানতে হবে আল্লাহর ইচ্ছা সমূহ কি কি? আল্লাহর ইচ্ছা সমূহ কি কি এ সংক্রান্ত অনেক তথ্য রয়েছে।সব সময় আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে হলে আল্লাহর ইচ্ছা সংক্রান্ত তথ্য সমূহ সব সময় সংরক্ষিত বা জমা থাকতে হবে। আল্লাহর ইচ্ছা সংক্রান্ত যে তথ্য হারিয়ে যাবে আল্লাহর সে সব ইচ্ছা অনুযায়ী আর চলা যাবে না। কারণ তথ্যই নেই তো তেমন আর করা যায় কেমন করে? সংগত কারণে আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলার জন্য এ সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষণ বা এ সংক্রান্ত তত্য জমিয়ে রাখা অতীব জরুরী। আর তথ্য সংরক্ষন বা তথ্য জমিয়ে রাখার ভান্ডারকে বলে ডাটাবেজ বা ডাটা ব্যংক।আর এ সংক্রান্ত সক্ষমতাকে বলে মেমোরী বা স্মৃতি। স্মৃতি হলো তথ্য ধারণ ক্ষমতা। আল্লাহর ইচ্ছা সংক্রান্ত তথ্য সংরক্ষন আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলার জন্য অতীব জরুরী বিধায় এ সংক্রান্ত স্মৃতিও আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলার জন্য বা ইসলামের জন্য অতীব জরুরী। সংগত কারণে ইসলামের জন্য এ সংক্রান্ত স্মৃতি অতীব জরুরী।
আল্লাহর ইচ্ছায় চলা কিছু আছে বাধ্যতামূলক। যেমন চোখ দিয়ে দেখা আল্লাহর ইচ্ছা। যারা তাঁকে মানেনা বলে ঘোষণা দেয় তারাও চোখ দিয়ে দেখে। আল্লাহর ইচ্ছায় চলা কিছু আছে ঐচ্ছিক যেমন নামাজ পড়া। যার ইচ্ছা সে পড়ে আর যার ইচ্ছা সে পড়ে না।কোনভাবেই আল্লাহর ইচ্ছাকে পরিহার কারো পক্ষে সম্ভব নয়। তারমানে আল্লাহর সকল ইচ্ছাকে উপেক্ষা করা কারো পক্ষে সম্ভব নয় বরং আল্লাহর কোন না কোন ইচ্ছার কাছে আপনাকে নতি স্বীকার করতেই হবে। আর সবাই এমনটা করতে বাধ্য। এ জন্য আল্লাহ বলেছেন, ইচ্ছায় হোক বা অনিচ্ছায় হোক সবাই তাঁকে মেনে চলে।তারমানে অনিচ্ছায় হলেও সবাই আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে বাধ্য। আল্লাহ তাঁর এ ইচ্ছা অনুযায়ী চলার ক্ষেত্রে কাউকে বাধ দেনি। আর আমরা দেখিয়েছি স্মৃতি ছাড়া আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলা যায় না। সে জন্য আমরা এটা মানি যে সব কিছুর স্মৃতি রয়েছে। তারমানে সব পদার্থ, শক্তি, জীব ও জড়ের স্মৃতিশক্তি রয়েছে। নতুবা সবাই আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলে কেমন করে? আল্লাহতো বলেননি ওটা বা ওমুক আমার ইচ্ছা অনুযায়ী চলেনা। আল্লাহর কথার ভিত্তিতে আমি বলেছি মাটি ও আলোর স্মৃতি রয়েছে। মাটিতে সম্পন্ন ক্রিয়ার পরিমাণ বেশী বিধায় মাটির স্মৃতি বেশী। আলোতে সম্পন্ন ক্রিয়ার পরিমাণ কম বিধায় আলোর স্মৃতি কম। কাজ হতে তথ্য লাগে। সেজন্যই কাজের ভিত্তিতে তথ্য কম বেশী ও এ সংক্রান্ত মেমরীর কম বেশী হওয়ার কথা বলা হয়েছে।এখন এক ব্লগার আমাকে ধরলেন তাকে বিজ্ঞান দিয়ে বুঝিয়ে দিতে হবে কিভাবে আলোর স্মৃতি আছে। তো বাপু এখানে যেহেতু বিজ্ঞান আমার আলচ্য বিষয় নয় তো আমি তোমাকে বিজ্ঞান দিয়ে বুঝাতে যাব কেন?
কোরআন মানুষকে সেরা বলেছে। মানুষ কেন সেরা এটা বুঝাতে গিয়ে আমার স্মৃতির কথা এসেছে। বিষয়টা যেহেতু ইসলামের সেহেতু আমি স্মৃতির হিসেব করেছি ইসলামী ভাবধারায়। সেখানে বিজ্ঞান প্রবেশ করে কেমন করে? তেনারা এখানে কায়দা করে ধর্মের ভিতর বিজ্ঞান টেনে আনলেন। তাতে কিন্তু কোন দোষ হয়নি। কিন্তু যখন ধর্মের লোকেরা বিজ্ঞান টেনে আনে তখন হই হই শুরু করে বলে ধর্মে কেন বিজ্ঞান টেনে আনা হলো? ধর্ম পরকালের কথা বললে তখন বিজ্ঞান টেনে বলে এটা রূপ কথা। বিজ্ঞান যা বলেছে সেটা সঠিক। তো বাপু তোমাকে বিজ্ঞানের কথা কে জিজ্ঞাস করেছে? তুমি বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মের কথাকে রূপ কথা কেন বল? যদি ঘটনা এমন হয় যে ধর্মে বিজ্ঞান টানা যাবেনা! তোমরা আইন কর তোমরা তোমাদের আইন ভঙ্গ কর, এ তোমাদের কেমন আইন? আমার এ নিবন্ধ লেখার প্রধান কারণ পাবেন এখানে-
মানুষ কেন সেরা?
# প্রসঙ্গতঃ আমরা বিজ্ঞান থেকে ইসলামকে অধিক সঠিক বলে বিশ্বাস করি।কারণ আমরা মুসলিম।
# প্রসঙ্গতঃ কোরআন হলো মহাবিজ্ঞান। সংগত কারণে কোরআন থেকে বিজ্ঞান নিম্নমানের। সেজন্য আমরা কোরআন বাদ দিয়ে বিজ্ঞান মানিনা।
বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৯:৪৫