যেমন ইচ্ছা জীবন যাপনের বিরোধী ইসলাম, এ জন্যই ইসলামের জঘণ্য বিরোধীতা।ইসলাম হলো আল্লাহর ইচ্ছার প্রতি আত্মসমর্পন। আল্লাহর ইচ্ছা অনেকের পছন্দ নয়। নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা অনেকের পছন্দ। এ ক্ষেত্রে আল্লাহর রয়েছে অনেক বিধি-নিষেধ।সে জন্য তারা আল্লাহকে বলে মানিনা মানিনা। আল্লাহ আছে কিনা জানিনা জানিনা।অথচ মুছা (আঃ) ও মোহাম্মদ (সা.) আল্লাহর সাথে কথা বলেছেন।তারা বলে আমরাতো আল্লাহর সাথে কথা বলিনি। আমরা কথা বলিনি অন্য লোক কথা বলেছে, এমন অনেক লোককে আমরা অবলিলায় বিশ্বাস করি। কিন্তু আল্লাহর ক্ষেত্রে আমাদের যুক্তি বদলে যায়।আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী চলতে না চাওয়ার কারণে এমন মনভাব তৈরী হয়।
ইবলিশকে আল্লাহ আদমকে (আ.) সিজদা করতে বললেন। ইবলিশের আল্লাহর ইচ্ছা অনুযায়ী আদমকে (আ.) সিজদা করতে ইচ্ছা হলোনা।তার নিজেকে আদমের (আ.) চেয়ে উত্তম মনে হলো। সেজন্য আদমকে (আ.) সিজদা করতে তার সংকোচ দেখা দিল। সে আল্লাহকে মানিনা মানিনা এর কাতারে দাঁড়িয়ে গেল।আল্লাহ শয়তানের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিলেন। এখানে শয়তান পক্ষের লোকদের দাবী আল্লাহর আদেশ অন্যায় ছিল, সেজন্য শয়তান সেটা মানতে পারেনি। কিন্তু আল্লাহর বিচার করবে কে? কে তাঁকে দন্ড দিবে? তবে তাঁর অন্যায় নিয়ে ভেবে আর কি লাভ? তারচে এটাই ভাল যে আল্লাহর দাবী অনুযায়ী তাঁর কোন অন্যায় নেই এটা মেনে তাঁকে মেনে চলা যদি কেউ তাঁর শাস্তি থেকে বাঁচতে চায়। আল্লাহর শাস্তি থেকে যেহেতু পালিয়ে যাওয়ার কোন রাস্তা নেই সেহেতু তাঁর ইচ্ছাই আমার ইচ্ছা হওয়া উচিত। আমি কিন্তু মোটেও বলছিনা আল্লাহ মন্দ। আমি বলছি আল্লাহকে মন্দ ভাবায় মূলত কোন লাভ নেই। এটা একটা বেদরকারী কাজ। কাজেই আল্লাহ অমুক করলেন কেন? তমুক করলেন কেন? এমন সব প্রশ্ন অবান্তর। কারণ আল্লাহ আমাদের নিকট তাঁর কাজের কৈফিয়ত দিতে বাধ্য নন। তিনি যা ইচ্ছা করবেন। আর তাঁর শাস্তি থেকে বাঁচতে হলে আমাদেরকে উল্টা আল্লাহর ইচ্ছা মত চলতে হবে। আর যদি আমরা তেমন না চলি। তবে আমাদের জন্য শাস্তির ঘোষণা দেওয়া আছে। অবকাশ সময় শেষ হলেই আমাদের পাওনা আমাদেরকে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
শৈশব থেকেই আমি এটা ভেবেছি যে আল্লাহ নবি (সা.) ইসলাম এসবের দোষ ভেবে আমার কিলাভ? যদি এতে কোন লাভই না থাকে তবে এ সংক্রান্ত ভাবনা বন্ধ। লাভ কিসে হয়? আল্লাহ নবি (সা.) ও ইসলামের সুনাম করলে লাভ হয়। ভাবলাম তবে তাই করি। আল্লাহ নবি (সা.) ও ইসলামের সুনাম করার মত অনেক বিষয় রয়েছে। আলোচনা চলবে সে সব বিষয়ে। আর অলাভ জনক বিধায় এসবের বদনাম সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা বন্ধ থাকবে। অবশ্য আল্লাহ নবি (সা.) ও ইসলামের বদনাম মূলত সঠিক নয়। সেটাও আমরা প্রমাণ করতে পারি।
ইসলামে নিজের ইচ্ছাকে জলাঞ্জলি দিতে হয় এটাই অনেকের অসহ্য। নিজের ইচ্ছা জলাঞ্জলি দিয়ে কোথাকার কোন আল্লাহ আছে না নাই যার নাই কোন ঠিক ঠিকানা, কোথাকার কোন আরব নেতা মোহাম্মদ (সা.) ঠিক বলেছে না বেঠিক বলেছে যার নাই সনাক্ত তাদের কথামত চলা মহা কষ্টকর। তারা এটা পারেনা, কিছুতেই পারেনা। যারা তাদের কথা মানতে বলে তারা তাদের মাথা চিবিয়ে খেতে চায়।যদিও আল্লাহ তাঁর নবি (সা.) ও ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। যারা এর তালাশ করেনা তারা এটা পায় কেমন করে? সার কথা হলো ইসলাম বিষয়ে জাহেলিয়াত বা অজ্ঞতার কারণে নিজের ইচ্ছার বিপরিতে ইসলাম মানায় যাদের ঘোর আপত্তি তারাই ইসলামের চরম বিরোধী। আর এটাই তাদের ইসলাম বিরোধীতার যথাযথ কারণ।
বিঃদ্রঃ ‘ইসলামের সঠিকতার অকাট্য প্রমাণ’ গ্রন্থের একটি অধ্যায় হিসেবে লেখাটি লেখা হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯