জিয়া যখন ইয়েস নো ভোট করেছে তখন আমার শৈশব কাল ছিলো। তথাপি মনে আছে দেশে একটা ইয়েস-নো ভোট হয়েছে। পাশের বাসার কাকা ছিলেন ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা। তাঁকে জিজ্ঞাস করে ছিলাম কাকা ভোট কেমন হয়েছে? কাকা বললেন, ভোট ভালো হয়েছে। তারপর একটা সংসদ নির্বাচন হলো, তাতে জিয়ার দল দু’শর উপরে আসন পেয়ে ছিলো। তারপর জিয়াকে মেরে ফেলা হলো। তার লাশবাহী গাড়ী যাওয়ার সময় যাত্রাড়ীতে তার লাশবাহী গাড়ি দেখতে গিয়ে দেখলাম লোকে লোকারণ্য। তখন বুঝলাম লোকটা জনপ্রিয় ছিলো। তারপর এরশাদ ক্ষমতা নিলো। সেও ইয়েস-নো ভোট করলো। সে কয়েকটা সংসদ নির্বাচন করলো। সেই সব নির্বাচনে সেও দু’শোর উপরে আসন পেলো। কিন্তু তাকে কেউ না মারলেও জনগণ তাকে ক্ষমতা থেকে তাড়াতে উঠে পড়ে লাগলো। তখন আমার যৌবন কাল। এরশাদ তাড়ানো আন্দোলনে আমিও শরিক হলাম। ওমা একি এখনো দেখি যারা ক্ষমতায় আসে তাদেরকে লোকেরা ক্ষমতা থেকে তাড়াতে আন্দোলন করে। এখন বুঝলাম এটা একটা রাজনৈতিক রোগ। যেই ক্ষমতায় আসবে তাকেই তাড়াতে লোকেরা এমন আন্দলোন করবে। এখন মনে হয় এরশাদ তাড়ানো আন্দোলনে আমার অংশগ্রহণ ঠিক ছিলো না।
চলমান সরকার জিয়া ও এরশাদের ইয়েস-নো ভোটের অনেক বদনাম করে। তো এ সরকার যেহেতু উন্নয়নের সরকার সেহেতু তারাতো একটা উন্নত ইয়েস-নো ভোট করতে পারে। যেন সে ইয়েস-নো ভোট দেখে লোকেরা তাদেরকে ধন্য-ধন্য করতে পারে।এ সরকার আরো পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকবে কি? এ বিষয়ে ইয়েস-নো ভোট হবে। পূর্বের মত জনগণ ইয়েসে ভোট দিবে, আর তাতে উন্নয়নের সরকার আরো পাঁচ বছরের জন্য ক্ষমতা পেয়ে যাবে। তারপর মাঝে মাঝে এমপি মারা যাবে। তাতে উপ নির্বাচন হবে। হিরো আলম তাতে প্রার্থী হবে। তাকে চ্যাং দোলা করে রাস্তায় টানাটানি হবে। তাতে জনগণ বিনোদন পাবে।
সরকার উন্নত ইয়েস-নো ভোট না করে তো অন্যদের সমালোচনা করতে পারে না। একান্ত জনগণ যদি সরকারকে নো করে দেয় তাহলে সরকার জনগণের পছন্দের লোকের কাছে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে অবসরে যাবে। পরে যে নির্বাচন হবে সে দিকে তারা ফিরেও তাকাবে না। পরে আবার যে সরকার আসবে তারা আবার প্রতি পাঁচ বছর অন্তর ইয়েস-নো ভোট করবে। তাদেরকে আবার যখন জনগণ নো করে দিবে তখন তারা ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াবে এবং পরের নির্বাচনে দিকে তারা আর ফিরেও তাকেবে না। পূর্বে যারা নো খেয়েছে তারা আবার এ নির্বাচনে অংশ নিবে।তাতে যারা ক্ষমতায় আসার আসবে। আমি জনবন্ধু হিসাবে অনেক গবেষণার পর নির্বাচনের এ কালজয়ী পদ্ধতি আবিষ্কার করেছি। এ ক্ষেত্রে নোবেল কমিটি আমাকে একটা নোবেল শান্তি পুরুস্কার দিলে শেষ জীবনে আমি একটু নিশ্চিন্তে খেয়ে পরে বাঁচতে পারি। একজন জনবন্ধুর জন্য তারা এটা করতেই পারে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা নভেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৪৮