কবিতা তুই কুঁচো চিংড়ি নোস,
কবিতা তুই ঝিঙে-পটোল নোস;
কবিতা তুই তরকারী নোস,
যায়না রাঁধা,
ঢেকুর তুলে যায় না বলা -
"ভালোই ছিল, নুনটা শুধু কম হয়েছে, তেল কি বাড়ন্ত ??"
কবিতা তোর রেসিপি নেই কোনো,
গাঁথুনি নেই, মানতে যেটা হবে;
কবিতা তুই ঘরবাড়ি নোস,
রাজউক তোকে
আটকে দেবে,
মন মতো না হলেই;
প্রকৌশলী বলবে এসে - "জানলা গুলো বড্ডো বেশি বাইরে ঝুলন্ত !"
কবিতা তুই থাক না পাখি হয়ে,
বন বাদাড়ে একলা ডানা মেল ;
কবিতা তুই কবির মতো
হোস নে বোকা,
আটকে তোকে দেবে ;
চারপাশে তোর তুলবে গরাদ, দেখতে তোকে দেবে না আর আকাশ অনন্ত ।
কবিতা তুই স্কুল পালানোই থাক,
কবিতা তুই হোস নে ছেলে ভালো;
কবিতা তোর ছন্দ মুছে
একগাদা সব
মিথ্যে কথা
ওরা তোকে শিখতে দেবে;
কবির মতো পড়ুয়া এক যন্ত্র হবি, থাকবি না রে একটু দুরন্ত ।
কবিতা তুই অল্প ভালো থাকিস,
কবিতা তুই থাকিস তবু স্বাধীন;
কবিতা তোর বন্য ডানা
নাগাল পেলেই
মুচড়ে দেবে,
কাটবে পালক শক্ত হাতে;
তার চেয়ে তুই মেঘের উপর বন্য হয়েই থাক রে উড়ন্ত !
Wednesday, June 19, 2013 at 5:46am
নীলের পদ্য লেখার হাত কাঁচা। সে পদ্য লিখতে জানে না। যখন লাগে সুখ সুখ, অথবা কষ্টে দুচোখ পোড়ে, কলম হয়ে ওঠে নীলের ভেতর বাড়ির থাম, একটা দুটো কাঁচা গাঁথুনির বাক্য উগড়ে দেয় সে। সেগুলোই ব্লগের এক কোণে অযত্নে ফেলে রাখার চেষ্টা থেকে সামনে এলো নীলের কাঁচা কবিতার ডায়েরী "নীল পদ্য"; চলবে ততদিন, যতদিন নীল নীল হতে থাকবে, ব্যথায় অথবা ভালোবাসায়।
~ টেস্টিং সল্ট।
আমি জানি কবিতা হিসেবে আমার সন্তানেরা খুব বাজে মানের, একেবারেই সস্তা, তাই শিল্প গুণ সমালোচনা করতে যাওয়াও বাতুলতা। কবিতার পেছনের অনুভূতিগুলো একেবারেই ভেতর বাড়ির, পড়ুন, তার পর ভুলে যান।