একদল অন্ধকার তো ঠেকিয়েই দিতে চেয়েছিলো
জন্ম তার,
এখন ভোলাতে চায় জন্ম-বার।
অন্ধকার—
দেখে নন্দনাকাশে করে মিটমিট
সব হারাম নক্ষত্র।
সেই অন্ধকারেই একদিন গিয়ে মিশলো
কুয়াশা একদল।
কেউ কি আছেন, যিনি অন্ধকার থেকে
করতে পারেন কুয়াশা আলাদা?
তাই আরও কঠিন হয়েছে ব্যাকপ্যাকে
মুড়ে রাখা মৌলিক সুদূরের ভাঁজ,
তাই লোকমায় উঠে আসা মাংসে
কামড় দিয়ে উঠেছি ব্যথায় চিৎকার করে—
আমি-আপনি-সে।
প্রাকৃতিক ছোপ লাগা ফিলামেন্টগুলো
পোয়াতি হলো তারপর।
আমি-আপনি-সে খরগোসালোকের সাথে
খেলে উঠেছি কি উঠিনি; তার মাঝেই
উপলব্ধি করলাম— আমাদের হাত-পাগুলো গাজর,
খামারি মন উজ্জল হয়ে শুয়ে ফিলামেন্টে।
খামারিরা কিছু সময়ের জন্য মানবিক,
পেলে-পুষে করে বিক্রয়যোগ্য।
হাটবারের সাথে ঝুলিয়ে বাঁধা
আমি-আপনি-সে।
রেসকোর্সে ওই তো ‘লাব্বাইক আল্লাহুম্মা’ পড়ছে ফিলামেন্ট-কুয়াশান্ধকাররা,
বাকি আছে সে।
সে আমাদের মতই।
ন্যায্য হলে তার দিকে
নির্ভয়ে তুলতে পারা যায় আঙ্গুল,
মতিঝিলফুল ভাসতে দেখা যায় না
কাটা আঙ্গুল আড়াল করে।
সে’কি আছে রেসকোর্সে? জানেন কিছু?
আমার আসনে নেই,
আপনার আসন থেকে দাঁড়ালে
বাংলাদেশকে ভোটটা দেবেন !
২৭-১২-১৮