ধর্ষনবিরোধী আন্দোলনে ফেস্টুন হাতে দাড়ানো রক্ত গরম করা স্লোগানে আপনার পাশে থাকা নারীটি ভীন্ন এক পরিবেশে একাকী নির্জন কোনো স্থানে আপনার নিজের কাছেই কি নিরাপদ? পরিবেশ পরিস্থিতি অবশ্যই আপনার মস্তিস্কে আলাদা সংকেত পাঠায়। দিনের আলোতে জনসমাগমে যাকে আপনি মানুষ ভাবেন, অধারে-নির্জনে সেই একই মানুষটা আপনার কাছে নারী হয়ে যায়।
আজকে যারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ষনবিরোধী অগ্নি বাক্যে সবকিছু ফাটিয়ে ফেলছে। কিছুদিন পরে এদের মধ্যে অনেকেই ধর্ষকে পরিনত হবে। তারপর তাকে নিয়ে আবার লেখালেখি হবে, স্লোগান হবে, আন্দোলন হবে।
এই সময়ে এসে ধর্ষন খেতাবপ্রাপ্তরা অতীতে কিন্তু ধর্ষক ছিল না। হয়তো তাদের মধ্যে অনেকেই অতীতের কোনো ধর্ষনবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিল। এখন যাকে ধর্ষক বলা হচ্ছে সেই মানুষটাই হয়তো বছর দুয়েক আগে অন্য কোনো ধর্ষকের ফাসি চেয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছিল। সময়ের নিষ্ঠুর পরিহাসে আজ সে ধর্ষক।
পুরুষের মাঝে একটি 'ধর্ষক' সুপ্ত অবস্থায় থাকে। সময় ও পরিস্থিতিতে সেই 'ধর্ষক' যেকোনো সময় বেরিয়ে আসতে পারে। জনসম্মুখে ধর্ষনের বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া পুরুষটাই কিন্তু জনমানুষহীন প্রান্তরে ধর্ষকে পরিনত হয়।
কোনো স্লোগান কোনো আন্দোলনের প্রয়োজন নেই।পুরুষরা নিজেকে ঠিক করুন। আপনার গলায় ঝুলানো প্লেকার্ড, হাতের ফেস্টুন, অগ্নিকন্ঠের স্লোগান কিংবা ফেসবুকে স্টেটাস - এসব কোনো কিছুই ধর্ষন থামাতে পারবে না, যদি আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রন না করতে পারেন। প্রতিটা পুরুষ আন্দোলন না করে বরং নিজেকে ঠিক করুন, তাহলে ধর্ষন থেমে যাবে।
আজ থেকে যদি পুরুষরা ঠিক হয়ে যায়, তাহলে আগামীকাল থেকে এই পৃথিবীতে আর কোনো ধর্ষনের ঘটনা ঘটবে না।