ভালোবাসার মানুষটিকে যেভাবেই হোক নিজের করে নিতে চাইছেন। প্রয়োজনে পালিয়ে যাবেন তাকে নিয়ে, সমাজ সংসার-পরিবার ছেড়ে। কিন্তু তা কি করে সম্ভব?
সমাজ-পরিবার তো আপনাকে ছাড়বে না! আসবে বাঁধা-বিপত্তি। যে ধরনের বাঁধা মোকাবেলা করতে হবে আপনাকে-
সাধারণত প্রেমের বিয়ের ক্ষেত্রে অপহরণের মামলা হয়: মেয়েটিকে অপহরণের মামলা করা হতে পারে আপনার ও আপনার পরিবারের বিরুদ্ধে, আটকে রাখার অভিযোগ আসতে পারে।
আপনার বিরুদ্ধে হতে পারে ধষর্ণের মামলাও। স্বেচ্ছায় বিয়ে করে যদি প্রেমিক স্বামীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে, তবে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না। তবে মেয়ের বয়স যদি ১৬ বছরের কম হয়, সে ক্ষেত্রে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যেতে পারে। কারণ মেয়ের বয়স ১৬ বছরের নিচে হলে তার ইচ্ছা-অনিচ্ছা বা সম্মতি আইনে গ্রহণযোগ্য নয়। তার সাথে যৌন সম্পর্ক করলে সেটি ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে ভিকটিমকে সাক্ষ্য দিতে হবে যে তার সাথে প্রতারণা করে এই সম্পর্ক স্থাপন করা হয়েছে।
বিবাহবন্ধন-বহির্ভূত ১৬ বছরের অধিক বয়সের কোনো মেয়ের যদি যৌনকর্মে সম্মতি থাকে, তবে তা ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না এবং এর জন্য পুরুষসঙ্গীর কোনো শাস্তিও হবে না। কিন্তু অপহরণের ব্যাপারে কোনো বয়সের কথা উল্লেখ নেই। দণ্ডবিধির ৩৬১ ধারাতে উল্লেখ আছে, ১৬ বা তার অধিক বয়সের কোনো নারী যদি কারও সঙ্গে স্বেচ্ছায় চলে যায়, তবে তা অপহরণ হিসেবে গণ্য হবে না।
এসব সমস্যা মেটার পর দেখা যাবে যাকে ভালোবেসে এত কিছু করলেন সেই আপনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছে, আপনাকে প্রতারক ও অপহরণকারী বলে নিজ বাবা-মায়ের মতে আপনাকে জেলের ভাত খাওয়াচ্ছে!
তবে আপনার ভালোবাসার মানুষটি যদি হয় প্রাপ্তবয়স্কা এবং আইন অনুযায়ী আপনাদের বিবাহ কার্য সম্পন্ন হয় এবং একে অন্যের প্রতি যদি সৎ ও বিশ্বস্থ থাকেন তবে এ ধরনের সমস্যাগুলো থেকে পার পেয়ে যাবেন।
বিঃদ্রঃ এটি আপনাকে পালিয়ে বিয়ে করতে অনুপ্রেরণা নয় বরং না করতে ও ভালোবাসাটাকে সকলের সম্মতি ও সাহসের সাথে নিজের করে নিতে বলছি।
পালিয়ে বিয়ে করার আইনি পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচে ক্লিক করুণ -
view this link
(ছবিঃ ইন্টারনেট)
★★★আইন সবার জন্য সমান, তাই জানুন, সচেতন হউন।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৬ বিকাল ৪:১০