somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

টি-২০ বিশ্বকাপ ২০১৬ :D

১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একদা ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড কর্তৃক আয়োজিত হত বেনসন এন্ড হেডজেস ট্রফি। ২০০২ সালের দিকে এই টুর্নামেন্ট জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করে, সেইসাথে স্পন্সরশিপ ও খোয়াতে থাকে। তোঁ এই কারণে ইসিবি কর্তারা নতুন কিছুর সন্ধানে নামেন। তারা এমন কিছুর খোজ করতে থাকেন যা তরুন সমাজ কে টানবে এবং গতিময়তার সাথে সাথে মানুষ আনন্দ নিয়ে তারাতারি বাড়ি ফিরে যেতে পারবেন। ততকালিন ইসিবি বোর্ড অফিশিয়াল স্টুয়ার্ট রবারসন ২০-ওভারের খেলা যোগ করার পরামর্শ দেন কাউন্টি তে। যা পরবর্তিতে বোর্ড কর্তারা ভোটাভুটির মাধ্যমে এ ফরম্যাটের পক্ষে রায় দেন :D
২০০৩ সালের ১৩ই জুন ইতিহাসের প্রথম স্বীকৃত টি-২০ ম্যাচ মাঠে গড়ায়। যাতে অংশ নেয় কাউন্টি দল সারে এবং ওয়ারউইকশ্যয়ার। এ বছরই ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড আয়োজন করে টি-২০ কাপ এর।
প্রথম আন্তর্জাতিক টি-২০ মাঠে গড়াতে সময় নেয় প্রায় ২বছর। এর পক্ষে-বিপক্ষে নানা মত ছিল, কিন্তু অনেক বজুর্গানের কথা অগ্রাহ্য করে নিন্দুকদের নাক সিটকিয়ে ২০০৫ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি মাঠে গড়ায় প্রথম আন্তর্জাতিক ২০-ওভারের ম্যাচ। এতে অংশ নেয় একই মহাদেশিয় দল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ড... সেই থেকে শুরু, এখন বলতে গেলে এই গতির খেলার-ই জয়জয়কার...

প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হয় ২০০৭ সালে, দক্ষিন আফ্রিকায়। এতে চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। দেখতে দেখতে ৯ বছরের মাথায় ৬ষ্ঠ ২০-ওভারের মহাযজ্ঞের সাক্ষী হতে যাচ্ছি আমরা :D



ফিক্সচার লিখতে কষ্ট লাগে। যার লাগবে টিপ দেন ( ঐসব টিপ না ;) )

সবাই জেনে গেছেন যে বাংলাদেশ গ্রুপ এ থেকে সুপার টেন এ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। এবং গ্রুপ থেকে একই যোগ্যতা অর্জন করেছে আফগানিস্তান :)
প্রতিটা দলের স্কোয়াড দেখতে চাইলে আবার টিপ দেন ;)

এবার ফজলুভাই একটু পাকনামি করবে আরকি :P আসেন দেখে নেই দলগুলার কিরকম মতি-গতি...

অস্ট্রেলিয়া



পৃথিবী নামক মহাদেশের বুকে সবচেয়ে সফল দল এরা। বর্তমান মূল বিশ্বকাপের চ্যম্পিয়ন তোঁ বটেই, সবচেয়ে বেশিবার এই কাপ জেতার অর্জন ও তাদের। তাদের অধিনায়ক স্টিফেন স্মিথ তাদের সেই ঐতিহ্য কে ধরে রেখে এগিয়ে চলেছেন সমান তালে।
ওয়াটসন এবং ওয়ার্নার ও নক এ আছেন। সেইসাথে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষদের এটাও মনে রাখতে হবে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল যে কোন সময় টর্নেডো বর্ষন করতে ওস্তাদ। বিগ ব্যাশে ভাল করা টাই, খাজা রা চাবেন নিজেদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার।
বোলিং এর কথা বলতে গেলে অস্ট্রেলিয়ার পেস অ্যাটাক বরাবরই ছন্দে এবং গতিতে সেরা। হ্যাজেলউড, কোল্টার-নাইল, ফকনার, হেস্টিংস রা তারই প্রতিনিধি। সেইসাথে ওয়াটসন এবং মিচেল মার্শের অলরাউন্ড ও ভাল কাজে দিবে।
তাদের স্পিন অ্যাটাক নিয়ে বেশি ভরসা না করা গেলেও, অ্যাগার এবং জাম্পা বিগ ব্যাশে ভাল করেই দলে এসেছেন।
গ্রুপ প্রতিপক্ষদের মধ্যে তাদের চেয়ে এগিয়ে আছে শুধুমাত্র ভারত, এছাড়া বাংলাদেশ, নিউজিল্যান্ড এবং পাকিস্তান কে অস্ট্রেলিয়া পাত্তাই দেবার কথা না। এবার মাঠে কি ঘটে তাই দেখার পালা :)

বাংলাদেশ



বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বের সবচেয়ে আলোচিত দল বাংলাদেশ, গত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড কে হারানর পর থেকেই তারা আলোচিত হতে শুরু করে সর্বত্র। কিন্তু তাদের উন্নতির গ্রাফ এর ঢাল টা হঠাত করে এই পর্যায়ে আসেনি। একটা একটা ধাপ করেই এই পর্যায়ে তারা :)
কিন্তু #best_is_yet_to_come B-))
বাংলাদেশ দল সদ্যসমাপ্ত এশিয়া কাপের রানার-আপ। কিন্তু পূর্বে র‍্যাঙ্কিং এ পেছন এর দিকে থাকায় তাদের বাছাইপর্ব খেলতে হয় টি-২০ বিশ্বকাপের। কিন্তু কোনরকম অঘটন ছাড়াই সুপার টেন এ জায়গা করে নেয় তারা।
বর্তমানে সবার আগে বলা লাগবে তামিম ইকবালের নাম, তিনি যেভাবে খেলছেন, তাতে বিশ্বের যে কোন বোলার বা যে কোন বোলিং অ্যাটাক তার সামনে দাড়াতে ভয় পাবে। সেইসাথে যদি বাংলার দামাল-কামাল মুশফিক, সাকিব, সাব্বির, রিয়াদ রা স্ট্রাইক করতে পারেন কোনদিন, তাহলে মহাবিশ্ব একাদশ ও পার পাবেনা, আর বাকিরা তোঁ বাকিরাই।
বাংলাদেশের বোলিং অ্যাটাক বলতে আগে বোঝা যেত শুধুই বাহাতি স্পিন। কিন্তু এখন অবাক জাগানিয়া হলেও সত্য যে বাংলাদেশের পেস অ্যাটাক এশিয়ার সেরা। মোস্তাফিজ নামক মুর্তিমান আতঙ্ক ইঞ্জুরি থেকে ফেরার কথা মূল পর্বে। সেইসাথে তাসকিনে এবং বড় ভাই যে ফর্মে আছেন সেটা ধরে রাখতে পারলে আর ঠেকায় কে?
স্পিন অ্যাটাক এ একটা গলার কাটার মত আটকে থাকার নাম আরাফাত সানি, দুর্দান্ত বোলিং করে আসলেও তিনি বোলিং অ্যাকশানের জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন মাত্রই, পূর্বেও ঘড়োয়া ক্রিকেটে একই অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন বলে ভয় টা এখানে একটু বেশি। কিন্তু সাকিব আল হাসান এবং মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ বা নাসির রা আছেন বলে ভরসা পাওয়া যায়।
সব দিক মিলিয়ে বাংলাদেশ এক ব্যালেন্সড সাইড এর নাম :D
গ্রুপের মধ্যে নিউজিল্যান্ড কে উপমহাদেশে পাত্তা দেয়ার কথা বলে মনে হয় না বাঘেদের, পাকিস্তান কে তোঁ আরো না। শুধু ভয় ইন্ডিয়া এবং অস্ট্রেলিয়া কে নিয়ে। ইন্ডিয়া তাদের মাটিতে দুর্ধর্ষ, সেইসাথে তারা টি-২০ তে সেরা সাইড এটা মানতেই হবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া কে হারানো অসম্ভব নয় :D আমরা সেমি-ফাইনালের জন্য স্বপ্ন দেখতেই পারি...

ইন্ডিয়া



বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ টি-২০ দল তারা!! তাদের নিকট অতীতের পারফর্মেন্স তাই বলে। সেইসাথে এবার তাদের মাটিতে বিশ্বকাপ। তাদের ব্যাটিং তোঁ বিখ্যাত বরাবরই!! যে কেউ যে কোন দিন দাঁড়িয়ে যেতে পারেন যে কোন পজিশনে। কোহলি, ধাওয়ান, রোহিত,রায়না রা তোঁ পরিক্ষিত ও বটে।
বোলিং এর ক্ষেত্রে অশ্বিন, হরভজন, জাদেযা যেই সুযোগ পান না কেন পারফর্মেন্স এর দিকে দিয়ে নিজেদের সেরাটাই দেবার যোগ্যতা রাখেন। বুমরাহ, নেহরা, শামি রা নিজদের মাটিতে গতির ঝড় তুলতেও ওস্তাদ।
সেইসাথে পান্ড্যিয়া, যুবরাজ, রায়না দের অলরাউন্ড ও কাজে দিবে :)
সব মিলিয়ে ভারত কে সেরা দল মানতেই হবে, যদিও এদের সহ্য হয়না!! কিন্তু ক্রিকেট খেলা হল অনিশ্চয়তার খেলা, আর টি-২০ তার বাপ।। তাই আগে থেকে কিছুই বলা যায় না...

নিউজিল্যান্ড



পেস অ্যাটাক নির্ভরশীল দল নিউজিল্যান্ড। তাদের দল নির্বাচন উপমহাদেশের সাথে সামঞ্জুস্যপূর্ন না হলেও তাদের ব্যাটিং যথেষ্ট ভারসাম্যপূর্ন। উইলিয়ামসন, রস টেইলর, গাপটিলের মত খেলোয়ারেরা সেই দিক কেই ইঙ্গিত করে।
কোরি অ্যান্ডারসন, গ্রান্ট এলিয়ট এর মত পেস বোলিং অলরাউন্ডার দের সাথে আছেন মিচেল মেকগ্লেনাঘান, ট্রেন্ট বোল্ট, সাউদি দের মত গতিতারকারা। স্পিন অ্যাটাক এ ভারসাম্য আনতে আছেন ছোট ম্যাককালাম নাথান এবং সান্টনার।
উপমহাদেশে বাংলাদেশ এবং ভারত এর মত দল কে মোকাবিকালা করতে ভালই বেগ পেতে পাওয়ার কথা তাদের। অস্ট্রেলিয়া কে চেনা জানা থাকায় তাদের সাথে খেলতে কিছুটা সুবিধা হলেও সেমিতে যেতে হলে কিউই দের সর্বোচ্চ পরিক্ষা দিতে হবে :)

পাকিস্তান



এশিয়ার এক কালের সেরা দল এখন এশিয়ার আন্ডার ডগ!! সেই আন্ডার ডগ পাকিস্তান!!
হাফিজ, নওয়াজ, উমর আকমল, শারজিল, সরফরাজ দের নিয়ে পাকিস্তানের ব্যাটিং টা একদম ফেলনা না। সেইসাথে আফ্রিদী এবং ইমাদ ওয়াসিম এর স্পিন বোলিং অলরাউন্ড ও কাজে দেয়ার কথা।
আনোয়ার আলি, সামি, আমির, ইরফান, ওয়াহাব রিয়াজ দের নিয়ে গড়া পেস অ্যাটাক টা নামের দাম দিতে পারছে না কদিন ধরে। কিন্তু এই অ্যাটাক একসাথে স্ট্রাইক করলে কি ঘটতে পারে তা......
পাকিস্তান দলে অভিজ্ঞতার ঘাটতি টাই বেশি বলে মনে হয়ছে এশিয়া কাপে।
এ গ্রুপে সবচেয়ে দুর্বল দল আমার কাছে পাকিস্তান কেই মনে হচ্ছে =p~


আফগানিস্তান



বাছাইপর্বের গ্রুপ-বি থেকে টেস্ট প্লেয়িং জিম্বাবুয়ে কে হারিয়ে তারা মূল পর্বের টিকেট নিয়েছে তারা।
তারা যে দল, যা দেখাচ্ছে, যা ক্ষমতা আছে তাদের - তাদের নিয়ে কথা বলা সমিচীন নয়। তারা দেখিয়ে এসেছে তারা কি পারে, রিফিইজি ক্যম্প থেকে এসে তারা বিশ্ব কে চ্যালেঞ্জ করেছে। ভয় তাদের কোন কিছুতেই নেই :)
মোহাম্মদ শেহজাদ এর মত হিটার, আসঘার স্ত্যানিকজাই, গুলবদিন নাইব, নজিবুল্লাহ দের মত ব্যাটসম্যান আছে দলটিতে। মোহাম্মদ নবী, সামিউল্লাহ শেনওয়ারি 'র মত অলরাউন্ডার দের কথা তোঁ না বললেই নয়।
এর সাথে আবার শাপুর জাদরান, হামিদ হাসান, দওলত জাদরান দের গতিময়তা তোঁ আছেই...
সব মিলিইয়ে আফগানিস্তান এক কঠিন প্রতিপক্ষ গ্রুপের যে কারো জন্য...

ইংল্যান্ড



বর্তমানে ইংল্যান্ড মানেই তাদের ভারসাম্যপূর্ন ব্যাটিং অর্ডার!! অধিনায়ক এউন মরগান, আলেক্স হেলস, জো রুট, মইন আলি - প্রত্যেকে ফর্মে আছেন। সেইসাথে ঘড়োয়া ক্রিকেটের স্যাম বিলিংস, লিয়াম ডওসন দের আছে যে কোন প্রতিপক্ষ মোকাবিলা করার ক্ষমতা।
টপলি, উইলি, প্লাঙ্কেট এর মত অভিজ্ঞদের নিয়ে পেস অ্যাটাক বেশ সমৃদ্ধই বলা চলে তাদের, সেইসাথে ক্রিস জর্ডান এবং বেন স্টোকস এর পেস অলরাউন্ড টা বেশ কাজে দিবে ব্রিটিশদের। এদিকে আবার আদিল রশিদের লেগ-ব্রেক ও ভোগাতে পারে বিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। মইন আলি ও জো রূট এর অফ-স্পিন ও না বললেও নয়!! সব মিলিয়ে ইংল্যান্ড কে আমার বেশ বড়ই প্রতিপক্ষ মনে হচ্ছে।
গ্রুপে তাদের মোকাবিলা করতে হবে আফগানিস্তা, দক্ষিন আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কা কে। আফগান এবং লঙ্কার স্পিনে কিছুটা ভুগতে হতে পারে তাদের। এছাড়া দক্ষিন আফ্রিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের সাথে তাদের সমানে সমানে লড়াই ই হবার কথা :)

দক্ষিণ আফ্রিকা



ডু প্লেসি, আমলা, ডি কক, ডুমিনি, ডি ভিলিয়ার্স, রসৌ, মিলার - এই ব্যাটিং অর্ডার দেখার পর কোন বোলারটার ঢোক গিলতে হয় নাই??
এদের তো শুধু ব্যাটিং না, এদের বোলিং ও বেশ শক্তিশালী। উইসে, এবোট, স্টেইন, রাবাদা দের মত গতিমানব দের সাথে ফাঙ্গিসো আর তাহিরের স্পিন...
দক্ষিণ আফ্রিকা দল নিয়ে বেশি কি লিখবো আমি বুঝতেসি না!
স্বাগতিক ভারত এর পর শিরোপার দাবিদার কাউকে রাখতে বললে আমি তাদের রাখবো। যথেষ্ট ধারাবাহিক এবং ব্যালেন্সড দল নিয়ে ভারতে এসেছে তারা।
এই গ্রুপের মধ্যে তারাই গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে যাবে বলে আমার বিশ্বাস :)

শ্রীলঙ্কা



বর্তমান টি-২০ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন তারা! কিন্তু জয়াবর্ধনা, সাঙ্গা দের অভাব টা তাদের বেশ ভোগাচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও দিলশান, কাপুগেদারা, চান্দিমাল সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন সেই ঘাটতি বুঝতে না দেয়ার। তাদের সাথে ম্যাথুস, সিরিবর্ধনা'র অলরাউন্ড স্কিল ও সাহায্য করার ক্ষমতা রাখে।
লোয়ার অর্ডারের থিসারা পেরেরা'র ঝড় অনেক দিন দেখে না ক্রিকেট, তার ঝড় ভাল করেই চাইবে শ্রীলঙ্কা এই বিশ্বকাপে। আবার তার পেসের সাথে মালিঙ্গা, শানাকা, লাকমল এর গতির সমন্বইয় ঘটতে পারলে ভাল কিছুই পেতে পারে তারা। সাথে সাথে আবার হেরাথ আর সেনানেয়েকে এর স্পিন ও উপমহাদেশে কার্যকরী হতে পারে :)
সব মিলিয়ে শিরোপা ধরে রাখার মত দল নিয়ে শ্রিলঙ্কা ভারতে আসেনি!! কিন্তু দেখাই যাক কি হয় :(

ওয়েস্ট ইন্ডিজ



টি-২০ মানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সব বড় বড় আসরের হট কেক তোঁ তাদের খেলোয়ারেরাই!!
তাদের দলের ব্যাটসম্যান আর বোলার আলাদা করাই তোঁ কঠিন! দলটাই তোঁ অলরাউন্ডার। গেইল এর বাইরে আলাদা করে বলতে গেলে ব্যাটসম্যান আছেন এভিন লুইস, জনসন চার্লস, আন্দ্রে ফ্লেচার, রামদিন আর মারলন স্যামুয়েলস। এছাড়া ড্যারেন স্যামি, ডোয়াইন ব্রাভো, কার্লোস ব্রাফেট, জেসন হোল্ডার - যার কথাই বলেন না কেন, বোলিং এবং ব্যাটিং এ সমান পারদর্শী!
স্যামুয়েল বদ্রী, সুলেমান বেন, অ্যাশ্লে নার্স এর স্পিন এর সাথে জেরম টেইলর ও আছেন পেস অ্যাটাক নেতৃত্ত্ব দিতে।
এই গ্রুপে দক্ষিন আফ্রিকার পরেই ইংল্যান্ড এবং ক্যরিবিয়ান দের সমান সুযোগ!! এদের মধ্যে বেশ হাড্ডাহাড্ডি লড়াই এর আভাষ পাওয়া যাচ্ছে ;)

সব মিলিইয়ে ইন্ডিয়া কেই আমার সবচেইয়ে বড় ফেবারিট মনে হচ্ছে। এ ছাড়াও আমার মনে হয় সেমি-ফাইনাল খেলবে অস্ট্রেলিয়া এবং সাউথ আফ্রিকা। ওদিকে ইংল্যান্ড আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে ফাইট হবে। আর এদিকে বাংলাদেশ আর অস্ট্রেলিয়া ফাইট হবে সেমি'র জন্য।
কিনতি টি-২০ হল অনিশ্চয়তার আব্বা! কে জানে? আফগানিস্তান ও ফাইনাল খেলতে পারে!!

সকলের মতামত একান্তভাবে কাম্য :D

( দোষ-ত্রুটি নিজ গুনে ক্ষমা করবেন বলে সকলের কাছে আর্জি :) )
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৪১
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারত থেকে শেখ হাসিনার প্রথম বিবৃতি, যা বললেন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১২:৩২



জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে বিবৃতি দিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (২ নভেম্বর) বিকালে দলটির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এটি পোস্ট করা হয়। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার... ...বাকিটুকু পড়ুন

এখানে সেরা ইগো কার?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪






ব্লগারদের মাঝে কাদের ইগো জনিত সমস্যা আছে? ইগোককে আঘাত লাগলে কেউ কেউ আদিম রোমান শিল্ড ব্যবহার করে,নাহয় পুতিনের মত প্রটেকটেড বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করে।ইগো আপনাকে কোথায় নিয়ে গিয়েছে, টের পেয়েছেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবং আপনারা যারা কবিতা শুনতে জানেন না।

লিখেছেন চারাগাছ, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:২৮

‘August is the cruelest month’ বিশ্বখ্যাত কবি টিএস এলিয়টের কালজয়ী কাব্যগ্রন্থ ‘The Westland’-র এ অমোঘ বাণী যে বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এমন করে এক অনিবার্য নিয়তির মতো সত্য হয়ে উঠবে, তা বাঙালি... ...বাকিটুকু পড়ুন

=বেলা যে যায় চলে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৪:৪৯



রেকর্ডহীন জীবন, হতে পারলো না ক্যাসেট বক্স
কত গান কত গল্প অবহেলায় গেলো ক্ষয়ে,
বন্ধ করলেই চোখ, দেখতে পাই কত সহস্র সুখ নক্ষত্র
কত মোহ নিহারীকা ঘুরে বেড়ায় চোখের পাতায়।

সব কী... ...বাকিটুকু পড়ুন

মার্কিন নির্বাচনে এবার থাকছে বাংলা ব্যালট পেপার

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০২৪ বিকাল ৫:২৪


আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাংলার উজ্জ্বল উপস্থিতি। একমাত্র এশীয় ভাষা হিসাবে ব্যালট পেপারে স্থান করে নিল বাংলা।সংবাদ সংস্থা পিটিআই-এর খবর অনুযায়ী, নিউ ইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×